ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

কৃষি

আধুনিক পদ্ধতিতে লাভজনক মাছ চাষ

মো. আমিরুজ্জামান, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭৩৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৩, ২০২১
আধুনিক পদ্ধতিতে লাভজনক মাছ চাষ ছবি: বাংলানিউজ

নীলফামারী: আধুনিক পদ্ধতিতে চাষ করা হচ্ছে প্রায় হারিয়ে যাওয়া দেশি মাছ। প্রতিটি ইউনিয়নে প্রদর্শনী পুকুরে চাষিদের উদ্বুদ্ধ করছে বিষয়টি।

ফলে একদিকে যেমন চাষিরা মাছ চাষ করে লাভবান হচ্ছেন, অন্যদিকে আমিষের চাহিদা পূরণ হচ্ছে।

বর্তমানে রংপুরের আটটি জেলার ইউনিয়ন পর্যায়ে ৫৭৩টি পুকুরে দেশি মাছ চাষ করা হচ্ছে। এরমধ্যে রয়েছে নীলফামারীর সৈয়দপুরও। সেখানে পাঁচটি ইউনিয়নের ১২টি পুকুরে চলছে মাছ চাষ। এসব পুকুরে শিং, মাগুর, পাবদা, গলদা চিংড়ি, গুলশাসহ নানা ধরনের মাছ রয়েছে।

সৈয়দপুর উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা সানী খান মজলিস বাংলানিউজকে বলেন, মাঠ পর্যায়ে পুকুর নির্বাচন করে মাছ চাষের জন্য প্রস্তুত করা হয়। চাষিদের পোনা মাছ ও খাদ্য সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। নির্বাচন করা হচ্ছে আরও পাঁচজন বন্ধু চাষি। যাতে তারাও উদ্বুদ্ধ হয়ে মাছ চাষে আগ্রহী হয়ে ওঠেন।  

অন্যদিকে, এসব পুকুরে সার্বক্ষণিকভাবে নিয়োজিত রয়েছেন একজন চিকিৎসক। তাকে লিফ ম্যানও বলা হয়। ছোট ধরনের সমস্যা হলে তিনিই সমাধান করে থাকেন।

ইউনিয়ন পর্যায়ে মৎস্য চাষ প্রযুক্তিসেবা সম্প্রসারণ প্রকল্পের (দ্বিতীয় পর্যায়) উপ-প্রকল্প পরিচালক বদরুজ্জামান মানিক বাংলানিউজকে বলেন, রংপুরে ৫৭৩টি পুকুরে আধুনিক পদ্ধতিতে দেশি মাছ চাষ করা হচ্ছে। প্রকল্পের মাধ্যমে চাষিদের উপকরণ সহায়তা বাবদ ৫০ হাজার টাকা করে দেওয়া হয়েছে। চাষিরা আগ্রহ নিয়ে মাছ চাষ করছেন, আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছেন।

সৈয়দপুর বোতলাগাড়ী ইউনিয়নের খোর্দ্দ বোতলাগাড়ী গ্রামের চাষি মোহেবুল্লাহ সরকার বাংলানিউজকে বলেন, ৪০ শতক পুকুরে শিং, মাগুর ও অন্যান্য মাছের চাষ করছি। মাত্র কয়েক মাসেই বাজার উপযোগী হয়েছে মাছ। আশা করছি, এবার আমার পুকুরে ১ হাজার ৩৩৩ কেজি মাছ উৎপাদিত হবে। আর উৎপাদিত মাছের বাজারমূল্য দাঁড়াবে প্রায় ৩ লাখ ৩ হাজার টাকা। এতে খরচ বাদেও প্রায় ১ লাখ ৬৪ হাজার টাকা লাভ থাকবে।

বাংলাদেশ সময়: ০৭৩৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৩, ২০২১
এনএসআর/এসআরএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।