ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

কৃষি

স্কোয়াশ চাষ বাড়ছে ফেনীতে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২১২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২, ২০২২
স্কোয়াশ চাষ বাড়ছে ফেনীতে

ফেনী: ফেনীতে চাষ বাড়ছে মধ্যপ্রাচ্যের সবজি স্কোয়াশের। দেখতে শসার মত, কুমড়া জাতীয় শীতকালীন এই সবজি অতি পুষ্টিকর, সু-স্বাদু, স্বল্পমেয়াদী, উচ্চ ফলনশীল ও লাভজনক।

স্কোয়াশ চাষ করে সোনাগাজীতে বেশ সুনাম অর্জন করেছেন কৃষক মো. কাওসার। বর্তমান তার ক্ষেতে বিষমুক্ত স্কোয়াশের ভালো ফলন হয়েছে। সেই সঙ্গে বাজারে দাম ভালো থাকায় তিনি স্কোয়াশ বিক্রি করে অনেক আয়ও করছেন।

শীতকালীন এই সবজি আবাদ করে মাত্র দুই মাসেই লাভের আশা করছে ফেনীর কৃষকরা। এর সঙ্গে জেলার কৃষিতে যোগ হয়েছে নতুন সবজি।

পুষ্টি বিশেষজ্ঞদের অভিমত, স্কোয়াশ কুমড়ার একটি ইউরোপীয় জাত, যা খেতে অত্যন্ত সুস্বাদু এবং ডায়াবেটিস, ক্যানসার ও হার্টের রোগীদের জন্য বেশ উপকারী। স্কোয়াশ মূলত উত্তর আমেরিকা ও মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে চাষ হয়ে থাকে। দেখতে অনেকটা শশা আকৃতির। তবে শশার মতো লম্বা হলেও রঙ মিষ্টি কুমড়োর মতো। উচ্চ ফলনশীল জাতের এ সবজি ভাজি, মাছ ও মাংসের সঙ্গে রান্নার উপযোগী। বিশেষ করে চাইনিজ রেস্টুরেন্টে সবজি এবং সালাদ হিসেবে এর ব্যাপক চাহিদা রয়েছে।

সোনাগাজীর কৃষক শহীদুল্লাহ কাওসার বলেন, স্কোয়াশ আবাদের সুবিধা হচ্ছে অল্প সময়ে এবং সাশ্রয়ী মূল্যে উৎপাদন করা যায়। তাছাড়া এক বিঘা জমিতে যে পরিমাণ কুমড়া লাগানো যায়, তার চেয়ে দ্বিগুণ স্কোয়াশ লাগানো সম্ভব। পূর্ণবয়স্ক একটি স্কোয়াশ গাছ অল্প জায়গা দখল করে। স্কোয়াশের প্রতিটি গাছের গোড়ায় ৮ থেকে ১২টি পর্যন্ত ফল বের হয়। কয়েকদিনের মধ্যেই খাওয়ার উপযোগী হয় এটি। বাজারে প্রতি কেজি স্কোয়াশ বিক্রি হয়  ৪০ টাকা দরে।
 

সোনাগাজী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাজ্জাদ হোসেন বলেন, স্কোয়াশ চাষে আমরা কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে কৃষকদের সার-বীজসহ সব ধরনের পরামর্শ দিচ্ছি। এবার সোনাগাজীতে হলুদ স্কোয়াশও চাষ হচ্ছে। আগামীতে এই উপজেলায় আমরা ব্যাপকভাবে স্কোয়াশ চাষে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করব।

ফেনী জেলা কৃষি সম্পাসারণ অধিদপ্তরের উপ -পরিচালক কৃষিবিদ তারিক মাহমুদুল ইসলাম বলেন, কৃষি বিভাগের মাধ্যমে কৃষকদের ওষুধ, সার সরবরাহ করা হয়েছে। কৃষকদের  নিয়মিত পরামর্শ ও উৎসাহ দেওয়া হচ্ছে। রবি শস্যটি অপ্রচলিত হলেও খুবই লাভজনক। প্রতি গাছ থেকে গড়ে ১০টি ফলন হতে পারে। মানুষ এ সম্পর্কে জানতে পারলে উৎপাদন ও চাহিদা বাড়বে। এতে কৃষিতে স্বনির্ভরতা আসবে।

বাংলাদেশ সময়: ১২১২ ঘণ্টা, ২ ফেব্রুয়ারি
এসএইচডি/এমএমজেড

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।