ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

কৃষি

সৌর বিদ্যুতের সেচ প্রকল্পে বদলে যাচ্ছে কৃষকের ভাগ্য

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৩৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ৭, ২০২২
সৌর বিদ্যুতের সেচ প্রকল্পে বদলে যাচ্ছে কৃষকের ভাগ্য

বরিশাল: কৃষি মন্ত্রণালয়ের ‘সৌর শক্তি ও পানি সাশ্রয়ী আধুনিক প্রযুক্তি সম্প্রসারণের মাধ্যমে ফসল উৎপাদন বৃদ্ধি’ নামের পাইলট প্রকল্প বাস্তবায়নের ফলে সুবিধাভোগী কৃষকদের ভাগ্যে বদল হতে শুরু করেছে।

এরইমধ্যে প্রকল্পের সুবিধাভোগী কৃষকদের আর্থিক সচ্ছলতার পাশাপাশি ফসল উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে বলে দাবি করেছেন সংশ্লিষ্টরা।

জানা গেছে, সৌর শক্তি ও পানি সাশ্রয়ী আধুনিক প্রযুক্তি সম্প্রসারণের মাধ্যমে ফসল উৎপাদন বৃদ্ধি পাইলট প্রকল্পের আওতায় বরিশালের গৌরনদী উপজেলার মাহিলাড়া ইউনিয়নের উত্তর বিল্বগ্রাম ব্লকে ২৫ হেক্টর কৃষি জমি সৌর শক্তির মাধ্যমে সেচ কার্যক্রম পরিচালনার জন্য ভূ-গর্ভস্থ (বারিড পাইপ) প্রদর্শনী করা হয়।

উত্তর বিল্বগ্রাম পানি ব্যবস্থাপনা কৃষক সংগঠনের সভাপতি ও ব্লক সুপারভাইজার মো. মিজানুর রহমান জানান, পূর্বে তার ব্লকে ইরি মৌসুমে ডিজেল চালিত মেশিন দিয়ে সেচ কার্য পরিচালিত হতো। তাতে প্রতি ২০ শতক  জমি সেচ কার্যের জন্য ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা পর্যন্ত গুনতে হতো কৃষকদের।

তিনি জানান, গত বছর ওই ব্লকে ‘সৌর শক্তি ও পানি সাশ্রয়ী আধুনিক প্রযুক্তি সম্প্রসারণের মাধ্যমে ফসল উৎপাদন বৃদ্ধি’ প্রকল্প বাস্তবায়ন হওয়ায় কৃষকদের সেচ খরচ অর্ধেকেরও কমে নেমে এসেছে।  

তিনি আরও জানান, দিনের বেলায় সূর্যের তাপে সৌর প্যানেলগুলো সচল থাকায় সেচ কার্য পরিচালনা করা যায়। কিন্তু রাতের বেলায় বন্ধ থাকে। সৌর প্যানেলের সঙ্গে ব্যাটারি সংযোজন করা হলে রাতের বেলাও সেচ কার্য করা যেত। ফলে অধিক পরিমাণ জমি সৌর সেচের আওতায় নিয়ে আসা যেত।

এ বিষয়ে মাহিলাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সৈকত গুহ পিকলু জানান, আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ এমপি’র প্রচেষ্টায় গৌরনদী উপজেলার মাহিলাড়া ইউনিয়নের উত্তর বিল্বগ্রাম ব্লকে পাইলট প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হয়েছে। যার ফলে গ্রামীণ জনপদের ক্ষুদ্র কৃষকদের ভাগ্যের উন্নয়ন ঘটছে। ইউনিয়নের অন্যান্য ব্লকগুলোতে প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে এ এলাকায় কৃষি বিপ্লব ঘটবে।

এ বিষয়ে গৌরনদী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. মামুনুর রহমান জানান, প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হওয়ায় ইতোমধ্যে ওই ব্লকের প্রায় ৭০-৮০ জন কৃষক আর্থিকভাবে লাভবান হতে শুরু করেছেন। প্রকল্পটি বাস্তবায়নের ফলে ফসল উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে বলেও কৃষি কর্মকর্তা আশা প্রকাশ করেন।

বাংলাদেশ সময়: ২১৩৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৭, ২০২২
এমএস/কেএআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।