ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

কৃষি

ক্রেতাদের নজর কাড়ছে হলদে তরমুজ

মেহেদী নূর, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮০৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৩, ২০২২
ক্রেতাদের নজর কাড়ছে হলদে তরমুজ তরমুজের ফালি। ছবি: বাংলানিউজ

ব্রাহ্মণবাড়িয়া: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সাড়া ফেলেছে বিশেষ জাতের লেনফাই তরমুজ। বাজারের অন্যান্য তরমুজের চেয়ে ১৫ গুণ বেশি মিষ্টি ওই তরমুজ।

এর ভেতরের অংশ হলুদ বর্ণের। ফলে ক্রেতাদের কাছে বেশ সমাদৃত।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় প্রথমবারের মতো আবাদ হয়েছে এমন বিশেষ জাতের তরমুজ। সারা বছরই আবাদ যোগ্য ওই তরমুজের চাষ ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। জেলা কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা যায়, জেলায় গত বছর ১৪ হেক্টর জমিতে তরমুজের আবাদ হলেও এবার আবাদ হয়েছে ১৭ হেক্টর জমিতে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর ছাড়াও কসবা, নবীনগর,বাঞ্ছারামপুর,নাসিরনগর আখাউড়ায় তরমুজের আবাদ হয়।

জেলায় দেশীয় জাত ছাড়াও ব্ল্যাকবেরী, সুইটবেরী লেনফাইসহ বিভিন্ন হাইব্রিড জাতের তরমুজ চাষ হয়।  ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার সুলতানপুর গ্রামের কৃষক খলিল মিয়া লেনফাই নামে হাইব্রিড জাতের তরমুজের আবাদ করে ব্যাপক সাড়া ফেলেছেন।

তিনি বাংলানিউজকে বলেন, প্রথমবারের মতো আমি পরীক্ষামূলক চাষ করলেও লাভজনক হওয়াই দ্বিতীয়বারের মতো আবারও এক বিঘা জমিতে আবাদ করি। এতে আমার খরচ হয়েছে ৫৫/৬০ হাজার টাকা। ফলন ভালো হওয়াই বিক্রি করতে পারলে আমার উৎপাদন খরচ বাদ দিয়ে প্রায় ৭০ হাজার টাকা লাভ হবে। সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, গাছের পাতার মধ্যে ফাঁক দিয়ে উঁকি দিচ্ছে তরমুজ। কৃষকরা ক্ষেতের আগাছা পরিষ্কার কাজে ব্যস্ত আছেন। বিভিন্ন জেলা থেকে পাইকাররা আসছেন তরমুজ কিনতে।

খলিলের ক্ষেতে পরিচর্যাকারী শ্রমিক হুমায়ুন মিয়া বাংলানিউজকে বলেন, তরমুজ চাষ ঝামেলামুক্ত। নিয়মিত আগাছামুক্ত করা ছাড়া তেমন কোনো পরিচর্যা করতে হয় না। তবে, তরমুজ জলাবদ্ধতা সহ্য করতে পারে না। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় আমাদের ফলন ভালো। বিভিন্ন জেলা থেকে আসা লোকজন ক্ষেত থেকেই তরমুজ কিনে নিয়ে যাচ্ছে। নতুন ধরনের তরমুজের দামও বেশ ভালো পাওয়া যাচ্ছে। তার সফলতায় উৎসাহী হয়ে অন্যান্য কৃষকরাও হলদে তরমুজ চাষের দিকে ঝুঁকছেন।

কৃষক সালাম মিয়া বাংলানিউজকে বলেন, খলিল মিয়ার তরমুজক্ষেত দেখে প্রতিদিন বিভিন্ন জেলা থেকে লোকজন আসছেন। আমিও এখন থেকে তরমুজ চাষ করব বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছি। ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মনোয়ার আহমেদ বাংলানিউজকে বলেন, কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করার জন্য কারিগরি সহযোগিতাসহ প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে।  জেলা কৃষি সম্প্রাসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক রবিউল হক মজুমদার বলেন, এখন পর্যন্ত মাঠের পরিবেশ ভালো। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এ বছর গড়ে হেক্টর প্রতি ১৪ টন তরমুজ পাওয়া বলে আশা করছি। লাভের বিষয়টি বিবেচনা করেই কৃষকরা তরমুজ চাষে ঝুঁকছেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৮০৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৩, ২০২২
এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।