ঢাকা, মঙ্গলবার, ৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ শাওয়াল ১৪৪৫

কৃষি

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আমন আবাদের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হলেও ফলন নিয়ে শঙ্কা

মেহেদী নূর, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৩১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৯, ২০২২
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আমন আবাদের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হলেও ফলন নিয়ে শঙ্কা

ব্রাহ্মণবাড়িয়া: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মাঠ জুড়ে চলছে রোপা আমনের আবাদ। প্রায় দুই সপ্তাহ আগে শুরু হওয়া আবাদ চলবে এ মাসের শেষ পর্যন্ত।

 

নিচু এলাকায় জেলায় রোপা আমনের আবাদ কিছুটা দেরিতে শুরু হয়। তবে সার, সেচ ও শ্রমিকের দাম বেড়ে যাওয়ায় উৎপাদন খরচ বেড়ে গেছে। তাছাড়া এর সঙ্গে বাড়তি যোগ হয়েছে বিদ্যুৎ সংকট।

কৃষকরা বলছেন, এ বছর মৌসুমের শুরুতে বৃষ্টিপাত কম হয়েছে। এতে আবাদ নিয়ে তাদের কিছুটা সমস্যা হয়েছে। আবাদের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হলেও উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে শঙ্কা রয়েছে।

কৃষি বিভাগ জানায়, চলতি মৌসুমে জেলায় আমন আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৫১ হাজার ৭৪০ হেক্টর জমিতে। উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে এক লাখ ৪৯ হাজার মেট্রিক টন। এ লক্ষ্যকে সামনে রেখে কৃষকরা বিআর- ৪৯, ব্রি ধান-২২, খাসাসহ বিভিন্ন জাতের ধান রোপণ করছেন। এ পর্যন্ত মোট আবাদের ৬৫ ভাগ সম্পন্ন হয়েছে।  

কৃষক রহমত আলী বাংলানিউজকে বলেন, জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধি, বিদ্যুৎ বিভ্রাটসহ কৃষি উপকরণের দাম বাড়ায় উৎপাদন খরচ বৃদ্ধির পাশাপাশি আমনের কাঙ্ক্ষিত ফলন নিয়ে আমরা চিন্তিত।  

প্রবীণ কৃষক আব্দুস ছাত্তার বাংলানিউজকে বলেন, কানি প্রতি উৎপাদন খরচ বেড়ে প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে। ঘন ঘন লোড শেডিংয়ের কারণে নিয়মিত সেচের অভাবে ফসল উৎপাদন ব্যাহত হওয়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে। বাড়তি টাকা দিয়েও শ্রমিক মিলছে না।

কৃষক জয়নাল মিয়া বাংলানিউজকে বলেন, আগে প্রতি কানি জমি করতে চার হাজার টাকা খরচ হতো, এখন সাত/আট হাজার টাকা খরচ হচ্ছে। সব ধরনের কৃষি উপকরণের দাম দ্বিগুণ হয়ে গেছে। এখন কৃষি জমি করে তেমন লাভবান হওয়া যাচ্ছে না।

জেলা কৃষি সম্প্রাসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক সুশান্ত সাহা বাংলানিউজকে বলেন, কোনো এলাকায় বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারণে সেচের সমস্যা দেখা দিলে তাৎক্ষণিক বিষয়টি কৃষি বিভাগকে জানাতে বলা হয়েছে। আমন উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে কৃষকরা যাতে জমিতে নিরবচ্ছিন্নভাবে সেচ দিতে পারেন, সেজন্য প্রয়োজনীয় নির্দেশনার পাশাপাশি স্বল্প মেয়াদের উচ্চ ফলনশীল ধান আবাদের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এতে শুধু লক্ষ্যমাত্র অর্জনই নয়, কৃষকরা সাথি ফসল হিসেবে সরিষা আবাদেরও সুযোগ পাবেন।  

বাংলাদেশ সময়: ১৫২৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৯, ২০২২
এসআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।