ঢাকা, শুক্রবার, ১৭ কার্তিক ১৪৩১, ০১ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ রবিউস সানি ১৪৪৬

শিল্প-সাহিত্য

বিভাবসু এবং বিভাবরী | অরুদ্ধ সকাল

মুক্তগদ্য / শিল্প-সাহিত্য | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৪৬ ঘণ্টা, মার্চ ২, ২০১৫
বিভাবসু এবং বিভাবরী | অরুদ্ধ সকাল

নগর তিলোত্তমা রয়েছে সুবর্ণ নগরের গণিকালয়েও।
মেহেদী তার হাতেও ওঠে।

সানাই—সেও শোনে, তবে সেটা কোনও আয়োজনের জন্য নয়। এই ঘরানার থার্ডক্লাস টাইপের মেকাপ বক্সও থাকে তার পার্সে। অভিনয়ে মন জয় করবার জন্য নয়, সেটা বিনিময়ের জন্য। দুরন্ত কিশোরীর মত সেও শিস মারতে জানে। তফাৎ এই যা, ‘ঘরণী’ লেবেল আঁটা আর তিলোত্তমারা লেবেলবিহীন।

ছিপি না খোলা পর্যন্ত বোতলের স্বাদ অনুভব করা যায় না। কৌমার্য হাতে নিয়ে উড়নচণ্ডী! অনেকে ছিপি খুলবার আগেই বিবসন হয়ে যায়। তিলোত্তমাদের তাতে কোনও ভ্রুকুটি নেই, নরাধমকে উত্তম-মাধ্যম দেবার ইচ্ছেটুকু তারা বেঁধে রেখেছে মধ্যমায়।

‘ঘরণী’ যদি নক্ষত্রের মত হাজার ইচ্ছের পাতা মনে পুষে বিভাবসু হয়, বিমুখ গণিকা তবে বিভাবরী। সে নিজেকে বিরজা ভাবতে পারে না, কেননা তা হতে নেই। লক্ষণাক্রান্ত রঙটা যেন শুধু ঘরণীর একার। লৌকিকতায় হয়ত নগর তিলোত্তমা’রা কখনওই সামিল হয় না। তবুও বেঁচে থাকার জন্য তস্কর হয় ক্ষণে ক্ষণে। উনিশ কুঁড়ির কৌমার্য হরণকারিণীও বলা যায় খানিকটা।

যুগ চলে যায়। গলি বদলায়। রয়ে যায় এই নগর তিলোত্তমা, যাদেরকে জন্ম দিই আমাদের মতই কেউ কেউ। যাদেরকে এড়িয়ে চলি। আমাদের মতই কিছু পামর! আবার শিস বাজাই তিলোত্তমাদের জন্য।



বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৭ ঘণ্টা, মার্চ ২, ২০১৫

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।