নগর তিলোত্তমা রয়েছে সুবর্ণ নগরের গণিকালয়েও।
মেহেদী তার হাতেও ওঠে।
ছিপি না খোলা পর্যন্ত বোতলের স্বাদ অনুভব করা যায় না। কৌমার্য হাতে নিয়ে উড়নচণ্ডী! অনেকে ছিপি খুলবার আগেই বিবসন হয়ে যায়। তিলোত্তমাদের তাতে কোনও ভ্রুকুটি নেই, নরাধমকে উত্তম-মাধ্যম দেবার ইচ্ছেটুকু তারা বেঁধে রেখেছে মধ্যমায়।
‘ঘরণী’ যদি নক্ষত্রের মত হাজার ইচ্ছের পাতা মনে পুষে বিভাবসু হয়, বিমুখ গণিকা তবে বিভাবরী। সে নিজেকে বিরজা ভাবতে পারে না, কেননা তা হতে নেই। লক্ষণাক্রান্ত রঙটা যেন শুধু ঘরণীর একার। লৌকিকতায় হয়ত নগর তিলোত্তমা’রা কখনওই সামিল হয় না। তবুও বেঁচে থাকার জন্য তস্কর হয় ক্ষণে ক্ষণে। উনিশ কুঁড়ির কৌমার্য হরণকারিণীও বলা যায় খানিকটা।
যুগ চলে যায়। গলি বদলায়। রয়ে যায় এই নগর তিলোত্তমা, যাদেরকে জন্ম দিই আমাদের মতই কেউ কেউ। যাদেরকে এড়িয়ে চলি। আমাদের মতই কিছু পামর! আবার শিস বাজাই তিলোত্তমাদের জন্য।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৭ ঘণ্টা, মার্চ ২, ২০১৫