হ্যামলেট
কোলাহল স্তব্ধ হয়ে গেছে। মঞ্চে উঠে আসি।
দরোজার খুঁটিতে হেলান দিয়ে
সুদূরের প্রতিধ্বনি থেকে আমি অনুমানে বুঝে নিতে চাই
কী হবে ঘটনা এই জীবনে আমার।
আমাকে তাকিয়ে দ্যাখে রাতের আঁধার
সহস্র দূরবীনের দৃষ্টিসীমা থেকে।
ও পিতা, ঈশ্বর, যদি সম্ভব হয়
আমার সমুখ থেকে এ-পেয়ালা চলে যাক তবে।
ভালোবাসি অনিবার্য অভীপ্সা তোমার,
রাজি আমি অভিনয়ে চরিত্রে আমার।
তবুও এখন যেই পৃথক নাটক এক হচ্ছে অভিনীত
সেটাতেও অংশ নিতে দাও।
নাটকের অংকগুলো সযত্নে সাজানো,
এবং পথের শেষে পালাবার নেই তো উপায়।
আমি একা। ভণ্ডের কপটতায় সবাই নিমজ্জিত।
বেঁচে থাকা মাঠের উপর দিয়ে হাঁটার মতন সোজা নয়।
বাতাস
এখন আমার শেষ, বেঁচে রও তুমি।
বাতাস, যে কাঁদে আর ফরিয়াদ করে,
কাঁপায় গৃহকে, আর বনভূমিকেও,
প্রতিটি বৃক্ষকে নয় আলাদা আলাদা করে
বরং একত্রে সবাকেই,
সীমাহীন ব্যবধির অন্তর্গত যারা;
যেন কোনও পাল-তোলা জাহাজ-কাঠামো
চলমান, উপসাগরের তীরে ফেলতে নোঙর;
ঝাঁকায় তাদের, কোনও দুরভিসন্ধি নিয়ে নয়,
লক্ষ্যহীন ক্রোধ নিয়ে নয়,
বরং তোমাকে দিতে খুঁজে—ওর বেদনাবোধের থেকে—
ঘুমপাড়ানিয়া কোনও গানের আলাপ।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৮ ঘণ্টা, মার্চ ৪, ২০১৫