স্বপক্ষীয় আলোচনা
___________________________________
বাতাসে যে সব পাখিদের
স্বগোক্তি মানুষদের দুঃখ সংবাদের
সাঁজোয়া ভঙ্গি—
তারা থাকে কাছাকাছি—অন্ধকার
অবচেতনে মগজবন্দী সারারাত;
ভেতরের পথে সারি সারি সাঁকো—
পারাপার নেই বহুকাল! হয়ত ওইটুকুই
জীবন—ফেলে রাখা হাড় ও
হাহাকারের নাতিদীর্ঘ কঙ্কাল;
বাস্তুগ্রন্থ ঘেঁটে আমি মূলত
জানতে চেয়েছিলাম
পাখিদেহে বীথিদের
প্রয়োজনীয়তা কিংবা জীবনের
নিরাময়পত্র—কত জনম আর পশমের
প্রতিভা নিয়ে তাঁতঘরের গোপন
আলোচনা?
কবি (মৃত)
___________________________________
সন্ধ্যার এইসব
একঘেয়ে মর্মান্তিকতা কেউ একদিন
খুঁড়ে দেখতে আসবে...অজস্র
কৌতূহলে; অথচ সে অন্ধ কচ্ছপ
কিংবা নির্লিপ্ত এক কাঁটানটের
ঝোপ ছাড়া আদৌ কিসসু ছিল না!
ভাঙা খাটের
নিচে একটা জং ধরা ট্রাংক
ঘেটে পাওয়া গেল—বহুবছর আগেই
পৃথিবীর
দিনপঞ্জি থেকে ঘুমোতে যাওয়া
কবেকার বীথিময় বৃহস্পতিবার
মিসিং মোমেন্ট
___________________________________
কোথাও যাওয়া যাইতে পারে—
যেইখানে গেছিলাম
আমরা অনেকদিন আগে; যাওয়া আর
আসার মাঝে যতটুকু
জড়িয়ে ধরেছিলে—
তা মনে পড়লে ইচ্ছা জাগে
থাবড়াইয়া কানের নিচে আবার
তারে ডাকি কাছে—তাসের
ঘরে মিছে মিছে—মহুয়ার
বোতলে চুমুক দিতে দিতে—বহুতদিন
আমরা কেউ রাখি না হাত
কারও হাতে!
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫২ ঘণ্টা, মার্চ ১৪, ২০১৫
শিল্প-সাহিত্য
তিনটি কবিতা | হাসিবুল আলম
কবিতা / শিল্প-সাহিত্য | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।