ঢাকা, শুক্রবার, ১৭ কার্তিক ১৪৩১, ০১ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ রবিউস সানি ১৪৪৬

শিল্প-সাহিত্য

নিউইয়র্কের একটি বইমেলা নিয়ে জ্ঞান ও সৃজনশীল প্রকাশক সমিতির অনাস্থা

শিল্প-সাহিত্য ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৪৪ ঘণ্টা, মার্চ ১৫, ২০১৫
নিউইয়র্কের একটি বইমেলা নিয়ে জ্ঞান ও সৃজনশীল প্রকাশক সমিতির অনাস্থা

নিউইয়র্কে ‘মুক্তধারা ফাউন্ডেশন’ আয়োজিত ‘বাংলা উৎসব ও বইমেলা’য় অংশ নিচ্ছে না বাংলাদেশ জ্ঞান ও সৃজনশীল প্রকাশক সমিতি। অভিযোগ, ‘নিউইয়র্কের উক্ত বইমেলাটি একটি ব্যক্তিমালিকানাধীন বারোয়াটি মেলায় পরিণত হয়েছে এবং সেখানে বাংলাদেশের বইয়ের চেয়ে ভারতীয় বইয়ের প্রদর্শনী ও বিক্রি প্রাধান্য পাচ্ছে।



গত ১১ মার্চ বুধবার সমিতির সভাপতি ও আগামী প্রকাশনী’র স্বত্ত্বাধিকারী ওসমান গনির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কার্যনির্বাহী কমিটির এক সভায় সর্বসম্মতিক্রমে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ জ্ঞান ও সৃজনশীল প্রকাশক সমিতির পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘মুক্তধারা ফাউন্ডেশনের কর্ণধার বিশ্বজিত সাহার বিভিন্ন অবৈধ কর্মকাণ্ড সম্পর্কে বাংলাদেশ জ্ঞান ও সৃজনশীল প্রকাশক সমিতি উদ্বিগ্ন। এই ব্যক্তি এবং তাঁর প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে সমিতির কাছে বিভিন্ন অভিযোগ আছে।

তিনি নিউইয়র্কে দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে বাংলাদেশ প্রকাশনা জগতের পথিকৃৎ একুশে পদকপ্রাপ্ত প্রয়াত চিত্তরঞ্জন সাহা প্রতিষ্ঠিত “মুক্তধারা”র নাম ও লোগো ব্যবহার করে আসছেন। এ ব্যাপারে অসংখ্যবার তাকে মৌখিক ও লিখিতভাবে সতর্ক করা হলেও তিনি তা গুরুত্ব দেন নি এবং অবৈধ কর্মকাণ্ড বন্ধ করেন নি। ’

সমিতি জানায়, লোগো ব্যবহার প্রসঙ্গে চিত্তরঞ্জন সাহা প্রতিষ্ঠিত মুক্তধারার বর্তমান পরিচালক জহর লাল সাহা ২/৬/২০১৩ ইং তারিখে বিশ্বজিত সাহার নিউইয়র্কস্থ ঠিকানায় উকিল নোটিশ পাঠান। এবং ৪/৬/২০১৩ ইং তারিখে বিষয়টি উল্লেখ করে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব বরাবর চিঠি পাঠানো হয়।

‘কিন্তু বিশ্বজিত সাহা তা গ্রাহ্য না করে অতীতের মত এবারও নিউইয়র্কের ‘বাংলা উৎসব ও বইমেলা’য় সম্মতি ছাড়াই বাংলাদেশের বিশিষ্ট জনদের নাম যুক্ত করেছেন। ’ বিষয়টিকে অনৈতিক এবং প্রতারণামূলক বলে মনে করছে বাংলাদেশ জ্ঞান ও সৃজনশীল প্রকাশক সমিতি।

এদিকে, নিউইয়র্কস্থ মুক্তধারা ফাউন্ডেশনের সঙ্গে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান ‘বাংলাদেশ রপ্তানী উন্নয়ন ব্যুরো’র সম্পৃক্ত হওয়ার একটি বিষয় পরিকল্পনাধীন। সমিতির পক্ষ থেকে উক্ত সম্পৃক্ততার বিষয়ে প্রতিবাদ জানিয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ও রপ্তানী উন্নয়ন ব্যুরোর ভাইস চেয়ারম্যান বরাবর চিঠি পাঠানো হয়েছে বলেও সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।

বাংলাদেশ জ্ঞান ও সৃজনশীল প্রকাশক সমিতি মনে করছে, ‘একটি ব্যক্তির ব্যবসার সঙ্গে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের যুক্ত হওয়া সমীচীন নয়। ব্যক্তি উদ্যোগের পেছনে প্রায়ই নানারকম ব্যক্তিগত স্বার্থ কাজ করে। তাতে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের নেতিবাচকভাবে ব্যবহৃত হওয়ার আশঙ্কা থাকে। ’

সমিতির নির্বাহী পরিচালক ও পাঞ্জেরী পাবলিকেশনসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কামরুল হাসান শায়ক স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে—বাংলাদেশ রপ্তানী উন্নয়ন ব্যুরোকে অনতিবিলম্বে নিউ ইয়র্কস্থ মুক্তধারা ফাউন্ডেশনের সঙ্গে নিজেদের সংশ্লিষ্টতা বা সম্পৃক্ততা প্রত্যাহার করে নিতে অনুরোধ জানানো হয়েছে।



বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৫ ঘণ্টা, মার্চ ১৫, ২০১৫

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।