অমর একুশে গ্রন্থমেলা থেকে বেরিয়ে দুর্বৃত্তদের হাতে খুন হওয়া বিজ্ঞান বিষয়ক লেখক অভিজিৎ রায়ের বই সরবরাহ না করার প্রতিবাদে অনলাইন বুকশপ রকমারি.কম থেকে বই প্রত্যাহার করে নিয়েছে প্রকাশনী সংস্থা শুদ্ধস্বর।
এ বিষয়ে শুদ্ধস্বরের প্রকাশক আহমেদুর রশীদ বাংলানিউজকে বলেন, ‘শুদ্ধস্বরের সব বই গত ২৭ ফেব্রুয়ারি থেকে রকমারি.কম অনলাইন দোকানে দেয়া বন্ধ রাখা হয়েছে।
উল্লেখ্য, অভিজিৎ হত্যাকাণ্ডে প্রধান সন্দেহভাজন আসামী হিসেবে গ্রেফতার হওয়া ফারাবী সাইফুর রহমানের—‘অভিজিতের বই সরিয়ে না নিলে রকমারি.কম কার্যালয়ে আক্রমণ করা হবে’—এমন হুমকির মুখে গত বছর অভিজিৎ রায়ের বই সরিয়ে নেয় রকমারি.কম।
আহমেদুর রশীদ আরও বলেন, ‘রকমারি বা অন্য যে কোনও বইবিক্রেতার সাথে চুক্তি হয় প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানের। কিন্তু প্রকাশকের সাথে আলোচনা না করেই ইচ্ছেমত বই সরিয়ে ফেলা এক ধরনের অনাচার। এই অনাচারের সাথে শুদ্ধস্বরের কখনওই আপোস হবে না। ’
বই সরিয়ে নেওয়ার ঘটনায় শুদ্ধস্বর প্রকাশিত অন্য লেখকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘বই সরিয়ে ফেলার কারণে আমাদের অনেক লেখক মনে মনে গোস্বা করেছেন, বুঝতে পারছি। যারা এখনও গোস্বা ধারণ করে রেখেছেন, তারা দয়া করে আগামীবার বইপ্রকাশের জন্য শুদ্ধস্বরে আসবেন না, প্লিজ। ’
দেশে বই মার্কেটিংয়ের যে অবস্থা, তাতে অনলাইনে বই না থাকা কি আসলেই কোনও সমস্যার ব্যাপার নয়? অন্য লেখকদের আপত্তি তোলা কি অযৌক্তিক?—এমন প্রশ্নের জবাবে আহমেদুর রশীদ বলেন, ‘পাঠকদের শুদ্ধস্বরের বই পেতে কোনও সমস্যা হবে না। দেশের সম্ভ্রান্ত বই দোকানগুলোর পাশাপাশি অনলাইনেও www.porua.com.bd এবং www.karigor.com-এ বই পাওয়া যাচ্ছে।
এছাড়া শুদ্ধস্বর-এর ০১৫৫২৪১০০০৭ নাম্বারে সরাসারি ফোন করে বইয়ের অর্ডার দিলে বা মেইলে অর্ডার দিলে কুরিয়ারে বই পাঠিয়ে দেয়ার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। ’—যোগ করেন তিনি।
কিন্তু অভিজিৎকে উপেক্ষা করা অফলাইন বা অনলাইন—কোনও প্রকার দোকানে শুদ্ধস্বরের কোনও বই থাকবে না—এটাই অফিসিয়ালি শুদ্ধস্বরের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত বলে দৃঢ়ভাবে জানান এই প্রকাশক।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৩ ঘণ্টা, মার্চ ১৬, ২০১৫