বনান্তের সংসার
___________________________________
ডাহুক বিদ্যা মন সহচর
ভোজন প্রজাপতি,
উল্টো মেঘে দূর পাল্লায়
যাচ্ছে বৃহস্পতি।
রোদ তাড়িত শর্ষে ছবি
কাঁচ পৃষ্ঠায় লিখি,
অতর্কিতে হল্লা করা
বন হরিণীর ধিকি।
বিগত শরৎ
___________________________________
শরৎ ছিল ভিন্ন মোহে,
তীব্র ধূমল জলের দ্রোহে।
তুচ্ছ প্রেমে আত্মাহুতি,
উপুড় চোখে আকাশ নারী।
মিশ্র তর্কে আঙুল আদর,
প্রিয় দর্শন ভাঙল পোশাক।
সুতীব্র সব শুভ্র জবাব—কাতরতায় কাতরতায়
শরৎ দুঃখ, যায় কি ভোলা,
আবেগ দোষে দুষ্ট বলেই?
চিরজীবন দৃষ্ট ভাষায়,
প্রেমগুলো তো এমনি ছিল।
প্রতারণার উঠতি দিনে,
অতীত পীড়ন খুব স্বাভাবিক।
পাতার শীর্ষে সবুজ ঝলক,
শরৎ দেহে শোভন সড়ক।
একটু শুধু দুঃখ জমা।
মিহি কান্নায় একটা নারী,
শরৎ রোদে শয্যা পেতে,
যীশুর মত চিকিৎসাহীন।
তারপরেও ভাষণ হবে।
কবির চোখে আহুতি রবে।
মোহন রাতে শরৎ বদলে
শিশু আসবে, দোষ কি তাতে?
মেঘের পাড়ায় দুঃখ রেখে,
আসছে শরৎ আমিও নেব।
আঙুল ছায়ায় শোকের চিহ্ন,
কাঁদেও যদি, তাড়িয়ে দেব।
চোখের মায়া ফিরিয়ে নেব।
শারদ পূজোয় মুগ্ধ রব।
কাশ ব্যানারে দীর্ঘ হব।
তারপরেও শরৎটাকে—বিদায় জানাই, বিদায় জানাই
ফিরে আসুক আর্তি রাখি।
প্রস্তাবনায় শর্ত দিলাম,
দগ্ধ আমি হচ্ছি না আর।
বাংলাদেশ সময়: ১৬০৪ ঘণ্টা, মার্চ ১৭, ২০১৫