বৈমানিক
___________________________________
ভেসে যাচ্ছো তুমি আকাশ থেকে আকাশে,
সাদা মেঘমালার গভীর অভ্যন্তরে, সবুজ উদ্ভিত ভেদ করে
জেগে উঠছে তোমার সৌরভময় শ্রুতি;
শুভ্র নির্মল লাল আকাশ,
নীল আকাশ,
সুগভীর সম্পর্ক
স্বপ্নময় হয়ে ওঠে।
অনর্গল প্রবাহিত হয়েছো অনৈসর্গিকের দিকে ,
যেখানে রোদ,
বৃষ্টি,
কুয়াশা,
শিশির,
অরণ্য
কোনও কিছুই নেই।
অনিন্দ্য যুবরাজ থেকেছো অন্তরিত।
ছড়িয়েছো চন্দনের প্রলাপ;
হৃদয়ের অভ্যন্তরে নিয়েছো লবঙ্গের জল,
উদ্ভিদ হয়ে ওঠে পাললিক শিলা,
বাঙলার ভূভাগে রেখে যাওনি কোনও
মোহনীয় সুসম্পর্ক,
যার জন্য আবার প্রত্যাবর্তন করতে পারো এখানে।
জ্যোৎস্নাময় স্নিগ্ধ রাত কখনও তোমার জন্য হ’য়ে ওঠে
কৃত্তিমত্তায় উদ্ভাসিত।
বাঙলার কীর্তনখোলা, শীতলক্ষ্যা, মধুমতী,
কর্ণফুলী, দুধকুমার
পেরিয়ে তুমি পাড়ি জমাও পশ্চিমের সুদূর কোনও দেশে !
যেখানে তুষার স্তূপ পর্বতগাত্র বেয়ে নিম্ন দিকে ধাবিত
হতে থাকে,
কখনও কখনও ওই শীতলতা তোমাকে করে
তুলেছে আরও গভীর হিমশীতল। অনির্বচনীয় স্বপ্নময়তা, নিসর্গে
ফিরে যাক প্রবাহিত ধারায়,
চন্দনের প্রলাপ আজ জরাজীর্ণ স্মৃতি। স্বপ্নময়তাকে আলো আঁধারে
করে তুলেছো আরও নিবিড় দীপ্তিময়।
জ্যামিতিক কাঠামোতে আবর্তিত, কৃষ্ণচূড়ার লাল মেঘ
তোমারই, বিচ্ছিন্ন কোনও পথ তোমার আজ জানা নেই;
যেখানে ছড়াতে পারো মৃদু আঙুলের সুরের কম্পন।
এসো, তুমি নাচবে আমার সঙ্গে
___________________________________
এসো তুমি সুন্দরী প্রিয়তমা, আমার বাহুতে
হৃদয় আর শরীরে;
হাতে হাত রাখো,
আমার হাতে
তোমার হাত,
আর একটু উঠে এসো, আমাকে লক্ষ্য করে
আজ বিধ্বস্ত হোক অতীতের সব
মধুর সম্পর্ক,
এসো তবে আমারই দিকে, এইতো আমি
সুন্দরী প্রিয়তমা!
নক্ষত্র, অরণ্য, স্পন্দনহীন সান্ধ্য আলোর
ছায়া সবই আমাদের;
এই যে আমার পায়ের দাগ, অপার্থিব সৌন্দর্য,
চন্দনের চিহ্ন, জ্যোতির্ময় উদ্ভাসিত আলো;
এসো তবে আমার স্মৃতিময় গভীর পথে, নিসর্গে
পায়ে পা রাখো; গোপনে গোপনে,
হারানো সুরে
হাতে হাত রাখো আলতো করে, তোমার হাতের
কম্পন যেন বেগমান বিদ্যুৎ,
তার প্রবাহিত রচিত শোভা,
উঠে এসো, ধীরে ধীরে,
নির্জন সম্পর্ক ধুয়ে মুছে,
এসো আমাকে লক্ষ্য করে,
আশ্চর্য আলোয়,
লাল টুক টুকে রক্তজবা;
আমার রচিত গাঢ় সূর্যমুখী,
স্টেজ আজ তোমার-আমার,
ঝড়াব বৃষ্টি লাল মেঘে মেঘে;
নাচব আমি আজ তোমার সঙ্গে
সঙ্গপানে সব কিছু মাতিয়ে;
নাচবে তুমি আমার সঙ্গে
সব কিছু কাঁপিয়ে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৪ ঘণ্টা, মার্চ ১৮, ২০১৫