প্রতিচ্ছবি
___________________________________
মাঝে মাঝেই ঝিলিক দিয়ে ওঠে শেওলাপড়া ঘাট
কাঁখ-কলসির চমকে দেয়া পিঠ, ঘটি-বাটির অবয়ব
ছায়াহীন হয়ে রয় মনঃসমীক্ষণের বাকি অংশ।
পানাপুকুর জুড়ে ছিল যে অযাচিত কোলাহল
রাজ্যময় ডুবুরী হয়ে আর্তনাদ করে চলে,
পূর্ণিমার পালাগান ক্রমান্বয়ে ডুবে যায়
অমাবস্যার এক পুকুর জলে।
মাঝে মাঝেই ঝিলিক দিয়ে ওঠে শেওলাপড়া ঘাট
এক ঘটি জল, শুকতারা প্রতীক্ষায়
আয়োজন
___________________________________
আর্টিকেলটি লিখে ফেলা প্রয়োজন।
শ্রাবণের সোঁদা গন্ধে হারিয়েছে যে দুরন্ত বিকেল,
জলভরা গান, ধরলার ক্রন্দন;
আচমকা ফুলে ফেঁপে ওঠে কান্নায় প্লাবিত করে দেয়
কালবোশেখি—হুঙ্কারের প্রচণ্ড মিতালীতে।
একদা শিহরিত করেছিল যে বর্ষণদুপুর, ভুঁইচাঁপার কোমলতা—
আজ শ্রাবণ-ঘনঘটায় আবারও তার ফেরার রকমারি আয়োজন;
আর্টিকেলটি তাই লিখে ফেলা প্রয়োজন।
যাত্রা
___________________________________
ডাক দিয়ে যায় প্রখর দিনের আলো
অস্তে যাচ্ছি অসময়ে—এই তো বোধহয় ভালো।
খেয়াপাড়ের ও ভাই মাঝি—
ভুল বুঝো না তামাক সাজি,
কষ্ট করে হ্যাজাক আলোয় পথটি না হয় চলো;
সম্মুখপান ঘন আঁধার পথটি টলমল
অস্তে যাচ্ছি অসময়ে—এই তো বোধহয় ভালো!
বাংলাদেশ সময়: ১৮০২ ঘণ্টা, মার্চ ১৯, ২০১৫