ধূম্রতা
___________________________________
এই যে অস্থিরতা
এর যেন কোনও হ্রাস-প্রবণতা নেই
ক্যালিফোর্নিয়া আকাশটা যেমন বেরসিক
পাইন পাতায় অপসৃত কিশোরী বাতাস
যেমন চঞ্চলে বিনুনি দোলায়।
তার চেয়েও অতীব খামখেয়ালীময়
বিচরণ এ হৃদমহাজনের।
এখন দর্শনমুখোর তরুণ বিকেল
অথচ কাঠফাটা নিশ্বাস ঠোঁটে হুমড়ি খেলো!
তুমিই বলো! একি খুব বেশি আবেগীয় ধূম্রতা নয়?
তোমার চোখে পাহুন মাখা হাসি
এর কেন্দ্রস্থলেই যে আমার উদ্বেগের ঘন ধোঁয়া জমে আছে।
সেখানেই যত পার্থিব ভ্রু সংকোচন, উদ্যত অক্ষেমার ধ্যানযুগ।
ওই চোখের কোণে শুষ্ক হাস্যরস গড়াচ্ছে
সেইসব বেখেয়ালি মর্মরতার পদধ্বনি গুনতে জানি
তুমি কি অবগত নও!
আমি আর এই অস্থিরতা, মর্মাহত এক প্রেইরি পেরিয়ে
তোমার অবধি পৌছুতে পারি!
স্বপ্নগ্রস্ত
___________________________________
উচ্ছিষ্টের মতই পতিত হয়েছি আস্তাকুঁড়ে,
দলামোচা ভুল অঙ্কের পাতার মত
মেঝের পিঞ্জরে গড়েছি নিবাসন
দিন ভেঙ্গে জেনেছি একেই বলে জীবন পদ্ম,
মৌসুমি-ফেরীর জলকাঁথা ছেঁড়া
হিমশৈল সুরের পতত্রী।
শেষতক অর্থবহ কালক্ষেপণের মন্থর নিয়তি টেনে
তুলেছে সেইসব রুদ্ধ গহ্বর হতে।
নীলনদের স্রোতল বাঁক পেরিয়ে
খড়কুটোর অনাচ্ছাদিত ভ্রমণ শেষে, ফলাফল পেলাম
অস্তিত্বের সংজ্ঞাবলী বরাবরই নিষ্কলুষ।
চোখের দিগন্তে আদিবাসী মেঘ
তো চিরদিন নিষ্পাপ স্বপ্নগ্রস্ত
অথচ জানি আত্মসম্পর্ক শূন্য সুখেরা হাসবে চারপাশে
লবণ-ঘোর আস্বাদনে পুড়িয়ে দেবে ঠোঁট
তবুও অধ্রুব নাইটিংগেল ডানা ঝেড়ে ফেলে দেবে
তন্দ্রাস্পর্শহীন কবন্ধ প্রহর।
সেই অপেক্ষাবৃক্ষের চূড়ায় বসে
স্বরচিত প্রত্যয় পান করি প্রতিরাত, ঘুমিয়ে যাবার আগে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৫ ঘণ্টা, মার্চ ২১, ২০১৫