কবিতার মূল্য কী? কেউ হয়ত বলবেন অনেক কিছু, আবার কেউ বলবেন কিছুই না। অনেকে হয়ত তেড়ে আসতে চাইবেন কবিতার মূল্য জানার ধৃষ্টতা দেখানোর অপরাধে।
চমকে দেওয়ার মত হলেও ঘটনাটি সত্যি। ১৮৬২ সালে প্রতিষ্ঠিত জুলিয়াস মেইন নামের ভিয়েনার এক কফি বিপণন প্রতিষ্ঠান কবিতার এই মূল্য নির্ধারণ করেছে। আর তাই ২১ মার্চ, বিশ্ব কবিতা দিবসে বিশ্বব্যাপী ২৩টি দেশে এক হাজার একশ’ কফিশপ, বার ও রেস্টুরেন্টে কবিতার বিনিময়ে কফি পান করানোর কর্মসূচি পালন করেছে প্রতিষ্ঠানটি। তালিকায় যুক্তরাজ্যসহ ইউরোপের দেশগুলো ছাড়াও রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও অস্ট্রেলিয়া।
উল্লেখ্য, ১৯৯৯ সালে প্যারিসে ইউনেস্কোর ৩০তম অধিবেশনে ২১ মার্চকে বিশ্ব কবিতা দিবস হিসাবে ঘোষণা করা হয়। এরপর থেকেই প্রতিবছর এই দিনটি কবিদের দিন হিসাবেই পালিত হয়ে আসছে।
এ বছর বিশ্ব কবিতা দিবসকে আরও রঙিন করে তুলতেই জুলিয়াস মেইনের এই উদ্যোগ। এই কর্মসূচির শর্ত হল, কবিতার বিনিময়ে এক কাপ কফি পান করতে হলে কবিকে তার স্বরচিত একটি কবিতা ক্যাশে দায়িত্বরত ক্যাশিয়ারকে দিতে হবে। কবিতার মানের ওপর নির্ভর করেই এরপর কবিকে পরিবেশন করা হবে তার প্রাপ্য কফি।
তবে অনেকেই রসিকতা করে বলছেন, এই কর্মসূচি পালন করতে গিয়ে বেশ গলদঘর্মই হতে হয়েছে ভিয়েনার ওই প্রতিষ্ঠানের ক্যাশিয়ারদের। যেখানে পণ্যের পরিমাণ ও গুণগত মানের ওপর নজর রাখার কথা, সেখানে তাদের কবিতার মান যাচাই করতে হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১২১২ ঘণ্টা, মার্চ ২৩, ২০১৫