ঢাকা, শুক্রবার, ১৭ কার্তিক ১৪৩১, ০১ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ রবিউস সানি ১৪৪৬

শিল্প-সাহিত্য

সোহেল আমিন বাবুর উপন্যাস ‘বউড়ি’

বুক রিভিউ / শিল্প-সাহিত্য | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৪১ ঘণ্টা, এপ্রিল ২, ২০১৫
সোহেল আমিন বাবুর উপন্যাস ‘বউড়ি’

সোহেল আমিন বাবুর উপন্যাস ‘বউড়ি’ এক কথায় আবহমান বাংলার সরল নির্ঘণ্ট। বাল্যবিয়ের কুফলের বার্তাটিই উপন্যাসের মূল উপজীব্য।

উপন্যাসটিতে গ্রামীণ ডিটেইলসের ব্যবহারে লেখক—বিভুতিভূষণের স্টাইল দ্বারা কখনও কখনও প্রভাবিত হয়েছেন।

উপন্যাস থেকে কয়েকটি অংশ:

ব্যক্তির বেদনাকে প্রকৃতির মধ্যে ছড়িয়ে দেয়া। গড়াই নদীর বুক জুড়ে চাঁদ। ঘরের মধ্যে চাঁদ—চাঁদের মন পাগল করা আলো। ঘোর লাগা রাত। কৌতুকের উন্মাতাল অবস্থা কতদিন পর গুনতে দিলে রাতফুল। এক দুই তিন... হাজার ফুলের রহস্য। আহা সাকীজান। খোঁপায় হাত বোলালেই সে কী যেন বলতে চায়, চমকে ওঠে। কৌতুকের ভেতর- বাহির চাঁদ শরীর মাখামাখি। (পৃষ্ঠা ৩০)

জড়সড় হয়ে একপাশে সরে দাঁড়ালো লতিফা। আবার সুনসান। গড়াই নদীটা যে দোলনায় দুলতে দুলতে ঘুমিয়ে পড়েছে। ঢেউ আছড়ে পড়ছে তটভূমিতে, বালি উপরে মিলিয়ে যাচ্ছে। দূরে কুমারখালী শহেরর কুণ্ডুদের লাল সাদা দালান আর ঘরবাড়ি অসম্ভব সুন্দর নারেকল বিথি যেন হাসছে। চারপাশ যেন গম্ভীর, শান্ত, পবিত্র। এরই মধ্যে অয়নের কাঁপা কাঁপা কণ্ঠ ভেসে উঠল। (পৃষ্ঠা ৯৮)।

যখন দোলাচল: জোসনালোকে লতিফার জোনাকি মনটা রঙিন আলোয় অবিরাম সাঁতরাতে থাকে। কোথায় কূল, কোথায় কিনারা? হয়ত লতিফা জানে, হয়ত জানে না। (পৃষ্ঠা ৯৯)

বেহুলা লখিন্দর, মদনকুমার-মধুমালা-লাইলি-মজনু-ইউসুফ-জুলেখা- আদম-হাওয়া ইত্যাদি মিথের উল্লেখ ও  আঞ্চলিক ভাষার ব্যবহার উপন্যাসটির একটি লক্ষণীয় বিষয়।

প্রেমাটিয়া নামের বই, বাল্যবিবাহ আইন ও ঘন ঘন নারীনেত্রী রুবি আপার উপস্থিতি পুরো উপন্যাসের মূল প্রবাহের সঙ্গে সবক্ষেত্রে খাপ খায়নি। কখনও কখনও এসব অন্তর্ভুক্তিকে আরোপিত বলে মনে হতে পারে পাঠকের।

উপন্যাসটির প্রকাশ করেছে সূচীপত্র প্রকাশনী। কমিশন পরবর্তী বিনিময় মূল্য ১৫৮ টাকা।

| বুক রিভিউ ডেস্ক |



বাংলাদেশ সময়: ১২৪১ ঘণ্টা, এপ্রিল ২, ২০১৫

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।