বিবাহ-ব্যাঙ্ক
___________________________________
ভিড়ই তো, হাতখানা তো ধরো
যে ফুল আনবে আনো বেলী বা বকুল হাইড্রেঞ্জা
হলেই হলো
না হয় সন্ধ্যা বেলা ময়ূর তুলে মুগ্ধ করে ফেল
পামুক পড়তে দিও ‘দেশ’ দেখতে নিও
হলের গভীর অন্ধকারে মাথা রেখে
একটু ফিসফিসিও
প্লিজ বলো না কঠিন কথা
বন সজারু খোঁচা খোঁচা করুণতম যাতা
আর করো না পঁচা মাছের রিপিট
তা’লে কিন্তু তুলে নেব আমার ডেপোসিট
বার আগে তুলে নেব প্রগাঢ় চুম্বন
হাতটা টেনে নেব আমি নেব তাহার পর
কিনব না আর গ্যারি জে আর হিম সাগরের আম
খুঁজব তো না মোজা হারিয়ে যাওয়া বেল্ট
আনব না তো কিনে ঐ পুদিনার পিল
বাজব না আর গান, কারেন্ট যাওয়া রাতে
আর খাব না এক কাপ চা কক্ষনো একসাথে।
শুকনো সিকামোর
___________________________________
দূরে বহুদূরে ঐ নূজ্জ্ব নাসপাতি বা কষভরা করমচা বাগানে
তুমি হেসে হেসে হেঁটে যাচ্ছো কি যাচ্ছো না সেটা কথা না
এখানে সংসারের বিকট লন মোয়ারের শব্দে
আমি তার কিছুই শুনতে পারছি না
পারিনি গতকালও ময়লা কাপড়ের ঘূর্ণনে
আছাড়ে ওয়াশিং মেশিনের শব্দে
আরও আগে ডালের ফোঁড়নে পপকর্ন ফোটাফুটিতে
মাংস ও মগজ কোটাকুটিতে
আমি শুনি না বুঝি না তোমার মানসাংক
তারচেয়ে বরং সিকামোর প্রপেলারে ঘুরি
ভাত বসিয়ে কম্পিউটার ও কবিতা নিয়ে
উড়ি
গোমতী
___________________________________
ভুলে যাই আমার ও বন্ধ্যাকাল ছিল
পানকৌড়ির ওম নরম রোম ও রোদই ছিল রিং-টোন
বীজের ব্যাপক আকাঙ্ক্ষা ছিল
আসলে স্বাদু বিস্কুটের মত ছিল তার সেন্ট ও বৌন
তার তরল অভ্যাসগুলোই ছিল আমার চা
সুবাসে মাখন দিতাম—আর তাকে পান করতাম
নিজেকে আর বন্ধ্যা মনে হতো না।
তপ্ত দিনে আমার আর তার মেজাজের মাঠা বানাতাম
মধু মাসে ব্যাঙ্কের সর, কলা, আম ভাত ও স্মৃতির ক্রিম ভাসা সেমাই
দুধ ও পরিজের পিছলা একদম খেতাম না
প্রবাসী প্রিয়দের দেয়া প্রেশারপিল ডি-টক্স ও হামেশাই...
আসলে আমাদের নিজস্ব টক্সিকেই অভ্যাস ছিল কিনা
তাই ফিল্টারবিহীন টান মেরে মটকা মেরে পড়ে থাকতাম অচেনা।
তিনি পোর্সেলিন পিরিচে ফুঁ দিয়ে দিয়ে ঠাণ্ডা করে করে
পান করতেন আমাকে—আমার লকার খুলে উইদাউট সুগার ও চা
আর তখন কি আশ্চর্য আমাকে একদম বন্ধ্যা মনে হতো না!
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪২ ঘণ্টা, এপ্রিল ৬, ২০১৫
টিকে।