কবোষ্ণ বুকের গভীরে
___________________________________
কবোষ্ণ বুকের গভীরে একটা গাঢ় ক্ষত
জল ঝরছে অবিরাম
তুমি থামাতে পারছো না
হোয়োনা উচাটন হে স্মৃতিভ্রষ্ট নাবিক
তোমার অস্থিতে অমলিন কশেরুকা
কী বলব তোমাকে?
বসন্ত বাউড়ি নাকি কোনও ঝরাপাতা?
ভাষা দিয়ে গেঁথেছো নীরব ঘণ্টাধ্বনি
চৈত্রের দাবদাহে বুনো ঝড় হয়ে এলে
টুপটাপ ঝরে পড়ছো হাস্নাহেনার
শ্বেত শরীরে
সিকিয়া ঝোরা
___________________________________
১.
বইছে তাজা খুন। নজদের বুকচেরা নির্জনতায়
ভেতরে মরু ঝড়, বাইরেটা শান্ত
ছেঁড়া পুস্তক, আজটেকদের মুখোশ।
সিকোয়া ঝোরা তোমার চোখ যেন আমি হই
আর আমার হৃদয় তুমি
একই রাস্তার সন্ধিস্থলে আমাদের যেন দেখা হয়, নির্জনে...
২.
আজ রাতে আকাশে মেঘ
চাঁদের শরীর ধোঁয়ায় ঢাকা
কবরগুলো খুলে যাচ্ছে
পথে কালো বিড়াল
আজ রাত তোমাকে একা করে দিল
তুমিও দিলে নিজেকে
যতই চোখে কাজল মাখো
ধুয়ে যাবে নোনা জলে
আজ রাত কথা বলছে না
তুমিও নীরব
চন্দ্রমল্লিকার গোলাপি শরীর
উষ্ণ ঠোঁটে
বাংলাদেশ সময়: ১৮২৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৩, ২০১৫।