আমাদের তস্য মফস্বলে তখনও ইলিশ মাছ পহেলা বৈশাখের ব্র্যান্ডিং হয়নি, বিশেষ করে এমন শহরতলী যেখানে একটা রেলস্টেশন ঘিরে কয়েকটা স্টেশনারি দোকান, বাটা স্যু স্টোরের সবচে ঝকঝকে সাইনবোর্ড, অল্প দূরে বেশি ঢেউ দেয় না, বেহাল হয় না এমন সরু নদীর কাছাকাছি স্থায়ী বাজার। তবে এলাকাটার বাড়তি বিশেষত্ব একটা চিনিকল আর বাতিল হয়ে যাওয়া এয়ারোড্রাম।
ইলিশ ফিলিশ দূরে, বৈশাখের মেলাতেও আমাদের যাওয়া হয় না, বেশ দূরে নাকি সেসব মেলা। কখনও বন্ধুদের দু’একজন সুতা ধরে টানলে ট্যাট ট্যাট শব্দ করে একরকম গাড়ি আর মাটির ঘোড়া বা এ জাতীয় খেলনা নিয়ে ঘুরলে জানতে পারি, বৈশাখি মেলায় এসব পাওয়া যায়, চড়কি চড়া যায়। ক্লাশ থ্রি ফোরে পড়ুয়া আমাদের তখন বুকের মধ্যে চিন চিন হিংসা লাগে, ইশ কেউ যদি আমাদেরকে নিয়ে যেত!
চিনিকলের স্কুলে পড়ি বিধায় আমাদের পহেলা বৈশাখের অনুষ্ঠানাদি মূলত চিনিকল কেন্দ্রিক। আর বাড়িতে ভালোমন্দ রান্নার রেওয়াজ। ভালোমন্দ মানে মুরগির কোরমা, শাদা পোলাও, ঝাল মাংস সঙ্গে টমেটো পেয়াজের সালাদ। সালাদে গাজর লেটুসের চল তখনও সেই শহরে হয়নি, পাওয়াই যায় না। শেষপাতে রসগোল্লা, বাজার থেকে কিনে আনা, সকালেই তৈয়ার করা বলে কুসুম গরম।
কথিত থাকত—বৎসরের প্রথমদিন ভালোভাবে কাটালে সংবৎসর ভালো কাটবে (যেন আমরা সবদিন পোলাও কোরমা খেতাম!), এই প্রকোপ প্রথমে পড়ত খানাখাদ্য, তারপর আচরণবিধির ওপর। ঝগড়া, মারামারি সচেতনভাবে পরিহার্য। এমনকি ছুটির দিন সত্ত্বেও কিছুটা সময় বই নিয়ে বসতে হয়—যাতে সারা বছর পাঠাভ্যাস দূরে না চলে যায়। এসব সবারই জানা তবু মা চাচীরা মুহুর্মুহু মনে করিয়ে দেয়। অধিকাংশ মা চাচী মানে চিনিকলের কর্মকর্তা, কর্মচারীদের স্ত্রী। যারা আমাদের ম্যানেজার চাচী, ইঞ্জিনিয়ার চাচী-সিভিল চাচী, মেকানিক্যাল চাচী, কেমিস্ট চাচী। এদের মধ্যে যারা নৃত্য-গীতে পারদর্শী তারা পহেলা বৈশাখসহ বিভিন্ন জাতীয় দিবসে আমাদের মত শিশুকিশোরকে নিয়ে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। চাচাবাহিনী থাকে সাহায্যকারী হিসেবে।
চিনিকলের মূল ইন্ডাস্ট্রি, যানবাহন, রেললাইন আর অতিথিশালা ছাড়িয়ে আবাসিক এলাকা। অফিসার্স কোয়ার্টার্স আর ম্যানেজারের বাংলো। এই কম্পাউন্ড দেয়াল দিয়ে ঘেরা, মাঝখানে অফিসার্স ক্লাব, ভেতরে মাসান্তে নিজেদের প্রোগ্রাম হয়। এইসব ছাড়িয়ে আমাদের স্কুল।
স্কুলের মাঠ পেরোলে আরেকটি বড় মাঠ। তার কোণায় চিনিকলের কর্মচারীদের ক্লাবঘর, সন্ধ্যাবেলা সবাই টেলিভিশন দেখতে আসে, বলাই বাহুল্য তখনও ঘরে ঘরে ওই বস্তু আসেনি। ক্লাবঘরের সঙ্গে লাগোয়া অনুষ্ঠানাদির জন্য স্থায়ী মঞ্চ। বেশ উঁচু ছাদ, সামনে টিন দিয়ে ঢাকা। অনুষ্ঠানের দিন সেটা সরিয়ে দিলে কালো পর্দা দেখা যায়। সামনে সারি সারি চেয়ার পাতা হয়, মোটা দড়ির ব্যারিকেড দিয়ে ঘিরে দেয়া হয় বসার জায়গা আর মঞ্চের একদম সামনে ত্রিপল পেতে ছোটদের বসার ব্যবস্থা, স্কুলের বয়-স্কাউটরা ভলান্টিয়ার, ওরাও সামনে বসে। নববর্ষ, জাতীয় দিবস বা বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা—সব কর্মকর্তা কর্মচারীদের অংশগ্রহণে এই মঞ্চে অনুষ্ঠিত হয়। অফিসারদের স্ত্রীরা তখন শ্রেণী ব্যবধান সাময়িকভাবে ভুলতে চেষ্টা করেন।
খেলা বা নাটক মঞ্চায়নের ক্ষেত্রে শ্রেণীভেদাভেদ কিঞ্চিৎ কম। ভালো অভিনেতা চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী হলেও মঞ্চে ওঠার চান্স পায়, পারদর্শিতাই আসল। অধিকাংশ নারী চরিত্র বিবর্জিত নাটক মঞ্চস্থ হয় অথবা একটি নারী চরিত্র থাকলে, আর তা গুরুত্বপূর্ণ হলে একজন অভিনেত্রীকে ‘হায়ার’ করে আনা হয়। একবার বগুড়া থেকে একজনকে আনা হলো, কল্যাণ মিত্র রচিত নাটকের কোনও একটা মঞ্চস্থ হচ্ছে। নায়িকা প্যান্ট শার্ট পরে মঞ্চে মাতালের অভিনয় করছে, তার হাতে গ্লাস, দেখে চাচীদের চক্ষু চড়কগাছ। এদের অনেকেই যাত্রাপালা দেখেছেন, জেলা শহরে প্রশাসকের আয়োজনে মীনা বাজার বা প্রদশর্নীতে (যার মুখ চলতি নাম, এক্সিবিশন) এনারা নিমন্ত্রণ পান। সেখানে যাত্রাপালা হয়, আর অবধারিতভাবে মেয়েদের উত্তেজক নাচগান থাকে। কিন্তু চিনিকলের মত কুলিন মঞ্চে ‘হায়ার করা’ নায়িকার বুক উজানো নৃত্যভাব আর মাতাল সংলাপ তাদের সংস্কারে লাগে, অথবা স্বামীদের কাছে তাদের বিরক্ত মনোভাব প্রকাশের কোনও ইতিবাচক দিক থাকে। কোন এক চাচা জোরসে শিষ বাজিয়ে দিয়ে উঠলে বেশ ঢি ঢি পড়ে যায়। আমরাও, সেই থ্রি কি ফোরে পড়ার কালে খুব লজ্জা পেয়েছি। গুজব উঠল সেই চাচা অভিনেত্রীর প্রেমে পড়ে গেছে। সে গল্প, মনে আছে বহুদিন গরু হয়ে গাছে গাছে ঘুরেছে।
সেবারে চিনিকলে উৎপাদনের অবস্থা ভালো না। আখের চাষ ভালো হয় নাই, না কি উৎপাদিত চিনি বিক্রি হয় নাই, চোরাচালানের ইন্ডিয়ান চিনিতে বাজার সয়লাব অথচ দেশি চিনি গোডাইনে পঁচে যায় ইত্যাদি সমস্যা নিয়ে বড়রা আলাপ করে। অস্থায়ী কর্মচারীরা বেতন পায় না, স্থায়ীদের বোনাস দেয়া হয়নি—এইসব নিয়ে অসন্তোষ আছে। শ্রমিক ইউনিয়ন হইচই করে। একদিন কী কারণে যেন লাল ফেট্টি বেঁধে আরও কয়েকজন লোক নিয়ে আমাদের স্কুল ঘুরে গেল বিলাইয়ের বাবা, শুনলাম তারা শ্রমিক নেতা।
বিলাই আমাদের এক ক্লাস উপরে পড়ে। সাইকেল চালিয়ে স্কুলে আসে। কলোনিতে থাকে না। নদীর কাছে কোথাও বাড়ি। ওর ভালো নাম কেউ বলে না, ফর্সা রং কটা চোখ তাই সবাই বলে বিলাই চোখ। আর ও ক্ষেপে ওঠে। ওকে ক্ষ্যাপাতে সবাই আরো বেশি বেশি বিলাই বিলাই ডাকে।
তো সেবার পহেলা বৈশাখ খুব ঘটা করে উদযাপনের সিদ্ধান্ত নিল চিনিকল কর্তৃপক্ষ। সাধারণত অনুষ্ঠান শেষে লুচি মিষ্টি পরোটা এসব খাই আমরা। সেবার ইলিশ খাওয়া হবে। উত্তরবঙ্গের এই অঞ্চলকে মাছের দিক থেকে মোটাদাগে ‘খোট্টার দেশে ডালরুটি খাইয়া’র পর্যায়ে ফেলে দেয়া যায়। কাঠের কার্টুন ভর্তি ইলিশ মাছের চালান এসে রেলস্টেশনে থামলে, বৈশাখে ইলিশ সহযোগে খাবার সম্ভাবনায় সবার ফুর্তিতে দেখার মত দৃশ্য তৈরি হয়।
তো পহেলা বৈশাখে আমরা বাচ্চারা উদ্বোধনী কোরাস গাই। এর আগে স্বয়ং ব্যবস্থাপকের স্ত্রী’র তত্ত্বাবধানে অসংখ্যবার রিহার্সেল হয়ে গেছে। আমরা ম্যানেজার বাংলোর গোলাপবাগানে বসে কণ্ঠের তাল লয় বারবার গেয়ে একসুরে বাঁধি আর বিস্কিট, সিঙাড়া ইত্যাদি দিয়ে আপ্যায়িত হই। তবলচি’র সঙ্গে তাল দিয়ে গাওয়ার প্র্যাক্টিসও একেবারে কম করি না।
ঠিক হয় স্বয়ং ম্যানেজার চাচীই এবার নববর্ষের অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করবেন। উনি ফর্সা, ভদ্র, অতি চর্চিত আর সুকণ্ঠী, বলাবাহুল্য সব কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দ্বিধাহীন সমীহ জোটে তার।
বিপত্তি বাঁধে অনুষ্ঠানের দিন, একেবারে অকুস্থলে মঞ্চে উঠে। পহেলা বৈশাখের সন্ধ্যা। মঞ্চের পর্দা উঠে গেছে। প্রতিবারের মত এবারও—‘এসো হে বৈশাখ’ দিয়ে শুরু। আমরা ফ্রক পরে, রিবন দিয়ে দুই পনিটেইল বেঁধে যেই না—‘তাপস নিঃশ্বাস বায়ে’ শুরু করেছি অমনি মঞ্চের সামনে বসে থাকা বয়-স্কাউটের একদঙ্গল বেয়াদব ছেলে আমাদের কোরাসের সঙ্গে গাওয়া শুরু করল! মঞ্চের ওপরে ইমন কল্যাণ আর কাহারবা’র তবলা সঙ্গতে আমরা গাই এক সুরে, আর নিচে ত্রিপলের ওপর থেকে আরেকটা বেসুরো সুর গা গুঁতোগুঁতি করে উঠে আমাদের শিল্পীসত্ত্বাকে ধূলিস্মাৎ করে দেয়! আমাদেরকে পই পই করে হাসিমুখ ধরে রাখতে বলা হয়েছে। কিন্তু সে কি সোজা কাজ! কাছাকাছি দাঁড়িয়ে থাকা একজন আরেকজনকে মৃদু ধাক্কা দেই, দশ কি বারোজনের সামনে তিনটি মাত্র মাইক্রোফোন, মুখগুলি সুচালো হয়ে মাইকের কাছে জোর ঘেষতে চায়। আরও জোরে কণ্ঠ ছেড়ে—‘বৎসরের আবর্জনা দূর হয়ে যাক যাক’ গাইতে থাকি, যেন আমাদের সুরের কাছে নিচে বসে থাকা ছেলেগুলোর হেড়ে গলা চাপা পড়ে যায়। অন্তরা আর সঞ্চারীর মাঝখানে যখন হারমোনিয়াম আর তবলা বাজে তখন কেউ একজন ফিঁসফিঁসিয়ে দাঁত খিঁচিয়ে বলে—এই গানটা সামনেরবার বড়দেরকে গাইতে হবে।
বড়রা আনকমন গান গায়। ম্যানেজার চাচী হারমোনিয়ামের রিড চেপে, লম্বাটে মুখ উর্ধ্বমুখী করে—‘হলো না লো হলো না সই ই হায়’ গাইলে সবাই চুপ করে শোনে। আমরা আবার সব গান গাইতে পারব না, হতে হবে ঋতুর গান, আনন্দের গান আর কোরাস গান। এবার শুধু একজনের ভাগ্যে শিকে ছিঁড়ল। নতুন বদলি হয়ে আসা ডাক্তার চাচীর মেয়েটি হঠাৎ বায়না করে একদম আনকমন গান গাওয়ার সুযোগ পেয়ে গেল। আমরা কিন্তু মুখ বেকাই। ক্লাশ ফাইভে পড়েই কেমন মঞ্চে কাৎ হয়ে বসে বেশ চোখ মুখ নাচিয়ে ও গাইতে পারে—‘ওগো তোমার আকাশ দুটি চোখে আমি হয়ে গেছি তারা। ’ আমরা ওর ভঙ্গি দেখে আর গান শুনে লজ্জা পাই। ইশ কি বেহায়া মেয়েরে বাবা। এর চেয়ে—‘ওই মহাসিন্ধুর ওপার হতে কী সঙ্গীত ভেসে আসে’টা অনেক ভালো না? কিন্তু ওটা কি পহেলা বৈশাখের গান? আমাদের ধন্ধের সমাধান ছাড়াই মঞ্চের কালো পর্দা নেমে আসে।
নীল আলোর সঙ্গে আবারও পর্দা ওঠে, মঞ্চের মাঝখানে একটি মাত্র মাইক্রোফোন। ম্যানেজার চাচী লাল পাড় গরদ পরে, খোঁপায় তাজা বেলীর মালা। ধীরে ধীরে সুধীমণ্ডলীকে আবারও নববর্ষের শুভেচ্ছা জানিয়ে কোনও কবিতার লাইন আবৃত্তি করছেন। দর্শকমণ্ডলীর ভেতর থেকে হঠাৎ অশ্রাব্য ভাষায় একটি খিস্তি উড়ে এলো, একেবারে পেছনদিক থেকে, যেখানে চেয়ারের পরেও জনতা দাঁড়িয়ে আছে। মিসেস ব্যবস্থাপক থেমে গেলেন। তার থমথমে মুখ। ঘাড় ঘুরিয়ে উইংসের পাশে তাকালেন, মাইক্রোফোনের সামনে দাঁড়িয়ে কথা না বলা মানে দর্শকদের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলা। ম্যানেজার সাহেব দর্শকসারিতে বসে ছিলেন। দ্রুত মঞ্চে উপস্থিত হলেন। এবং যে লোক একটি গালি ছুঁড়েছে তাকে সামনে আসতে হুকুম দিলেন। শ’ পাঁচেক কি তারও বেশি দর্শকের ভেতর থেকে সেই লোকের সাধ্য কি সামনে এসে ধরা দেয়! আর মঞ্চের বাইরে আলো বলতে প্রায় অন্ধকার। সাঁ করে ম্যানেজার চাচীর কান ঘেঁষে একটি ইটের টুকরা ছিটকে মঞ্চে পড়ল। উনি ডুকরে কেঁদে উঠলেন। চিনিকলের কর্মচারীদের জন্য অনুষ্ঠান করতে এসে এত বড় অপমান! তাকে দু’হাতে জড়িয়ে মঞ্চের পেছনে আনা হলো। ততক্ষণে দর্শকরা দু’ ভাগ হয়ে গেছে। ‘দুনিয়ার মজদুর এক হও’ শ্লোগান দিচ্ছে একদল। ‘বেতন চাই, বোনাস চাই। ইলিশ মাছের পহেলা বৈশাখ, চাই না চাই না। ’
মঞ্চের কালো পর্দা আবারও নামিয়ে দেয়া হলো।
ম্যানেজার চাচা মিনিট দশেক সময় নিলেন। স্ত্রীর অপমান গায়ে না মেখে অনুষ্ঠান চালিয়ে যাওয়া ভালো ব্যবস্থাপনা না—এটিই সাব্যস্ত হলো। অনুষ্ঠান হবে কি হবে না, এই সিদ্ধান্তের জন্য গ্রিন রুমের কাঠের চেয়ারে বসে থাকতে থাকতে আমাদের ঘুম পায়। নববর্ষ উপলক্ষে আগত ইলিশ মাছ, গেস্ট হাউসের কিচেনে রান্না করা। কারা খেয়েছিল জানি না।
হতে পারত, কিন্তু হয়নি—অনুষ্ঠান শেষে ক্ষুব্ধ মনে ঘুম ঘুম চোখে বাড়ি ফিরে আসি। পরের দিন সকালে স্কুল নেই, বারান্দায় দাঁড়িয়ে ছেলেদের খেলা দেখি। রোদের মধ্যেও বিলাই সাইকেল নিয়ে চলে এসেছে। একা একা ঘুরে ঘুরে সাইকেল চালায়। আমার ওকে ডাকতে ইচ্ছে করে, ওর সাইকেলটা একটু চালাতেও।
- এই বিলাই?’ ও প্রথমে শোনে না।
- এই, এই বিলাই এই?
- কী ডাকলি?
- বিলাই।
- তোর বইনেরে সিলাই’—ও জোরে জোরে চেঁচায়।
এই বাক্যের অন্তর্নিহিত অর্থ বুঝি আবার বুঝি না। কিন্তু অপমানে আমার মুখ অন্ধকার হয়ে যায়। পহেলা বৈশাখ গতকাল পার হয়ে গেছে। খুব ইচ্ছে করে বিলাইকে ডেকে একচোট আজেবাজে বকে দেই। রাস্তা থেকে একটা ভাঙ্গা ইট কুড়িয়ে ছুঁড়ে মারতেও ইচ্ছে করে। কিন্তু সারাবছর ভালো কাটানোর অঙ্গীকার করেছি বাসায়। বিলাইয়ের অপসৃয়মাণ সাইকেলের দিক থেকে মুখ ঘুরিয়ে ফেলি।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৫০ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৩, ২০১৫