হীরণমতী
___________________________________
তাহলে হীরণমতি,
এই পর্যটনে দেখা হয়ে গেল
গোলার্ধময় ছুটে বেড়ানো কাঠবিড়ালির সাথে।
আর ফেটে চৌচির দুপুরের দিকে
যখন সে ঢুকে গেল
গ্রামীণ আধাপাকা রাস্তা পেরিয়ে
কোনও গাছের গুহায়,
যখন দোকানের ঝাপ ফেলে
সাইকেলে টুঙটাঙ করে
চলে গেল কেউ।
মোফাসসলে এভাবে ধুলায় দাগ রেখে তারা রোজই
অপেক্ষার কাছে যেতে পারে,
সেখানে দিঘিকে আরও পরানের কাছে পায়।
ছায়াকে আগলে ধরে বিকেলের বাগানে শুয়ে
আঁচলের খোটে পায় চকমকি পাথরের উষ্ণোজ্জ্বল ছটা—
তাই তারা যায়।
তাদের যাওয়ার পথে যে কোনও গাছের কোটরে,
পথে পথে সাইকেল চলে যাওয়া দাগে,
হ্যাঁগো হীরণমতী, আমার আক্ষেপ ছুটে যায়!
ডানা খসার আগে
___________________________________
আসলে নষ্ট ঘড়ি—
চলাচল নেই
ধরাধামে শুধু গড়াগড়ি আছে,
নন্দনের পাঠানো খাম
খুলে দেখি তাতে কোনও চিঠিটিঠি নেই।
বিঁভূইয়ে গাছের পাতারা ঝরে যায়,
বাহু থেকে ফসকে পড়ে হাত।
পুকুরের ঘাটে ভেজা বেড়াল পোহায় রোদ,
থাবায় ইঁদুর শিকারের গুপ্তজ্ঞান নিয়ে
কী নীরিহ তার বসে থাকা।
এইসব দেখে, বুঝে
যে কারও ছুড়ে ফেলা নষ্ট ক্যান লাথি মেরে মেরে
আনমনে উড়ে চলে কোন সে বালক
তার দুটো ডানা আজও খসে পড়ে নাই!
বাংলাদেশ সময়: ১৮১৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৬, ২০১৫