বস্তুত সে আর বেঁচে নেই
কেবল তার কঙ্কাল আমাকে ঘিরে আছে।
পার্থিব প্রয়োজনে বার বার তাকে আমি
আবাহন করি ক্ষমায়,
হয়ত কিছুটা আবেগ ও ভালবাসায়।
কঠিন হাড়ের স্তুপ পেরিয়ে পেরিয়ে
পাঁজরের অস্থির নমুনা দেখে দেখে—
তবু খুঁজে ফেরে দুস্থ ভালবাসারা
হৃৎপিন্ডের অলিন্দ,
অতঃপর আরও গভীরে হৃদয়ের সিম্ফনি।
সেখানে অস্পষ্ট গুঞ্জন,
কাদের যেন পদচিহ্ন
এলোমেলো বিভ্রান্ত
ইতস্তত রক্তের দাগ।
লাল ওড়না, নারীর স্খলিত চুল, কালো মুখোশ ইত্যাদি।
একটি দুস্থ শিশু এবং তার পাশে
এক নারীর অস্থি-মাংসের ছিন্নভিন্ন অবশেষ।
কী জানি তারা র--ন--ত--হ--অ-কিনা?
অথবা অন্য কেউ।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৯, ২০১৫