ঢাকা, রবিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিল্প-সাহিত্য

বিলকিস বিশ্বাস | আল-আমিন খান সাগর

গল্প / শিল্প-সাহিত্য | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩২৯ ঘণ্টা, মে ১৬, ২০১৫
বিলকিস বিশ্বাস | আল-আমিন খান সাগর

শার্টের বোতাম লাগাতে গিয়ে হিরা থেমে যায়।
ফুলিকে কয়েকদিন বোতামটি লাগানোর কথা বলেছে।

কিন্তু লাগায়নি। মেয়েটা ইদানীং কাজে ফাঁকি দিচ্ছে। কোনও কথাই ঠিকমত শুনছে না। ফুলিকে জোরে জোরে ডাক দেয়। না, ফুলির কোনও সাড়া শব্দ নাই। এমনকি বাড়ির কেউই তার ডাকে সাড়া না দেয়ায় হিরা এ ঘর ওঘর করে মায়ের ঘর দিয়ে উঁকি দিয়ে আসে। না বাড়িতে কেউ নাই। তাহলে সব গেল কোথায়?

হিরা ক্ষেপে ওঠে। ও ক্ষেপে গেলে সাংঘাতিক ব্যাপার ঘটে। কোনও কথাই ঠিক মতো বলতে পারে না। বিড়বিড় করে। দাঁতে দাঁত খিটখিট করে। অদ্ভুত একটা পরিবেশ সৃষ্টি হয়। আজ ঘটছে না। বাস্তবতার একটি অধ্যায় হিরা পার করে এসেছে। আজ ফুলি নাই। রাগও নাই। মানুষের রাগ করবার জায়গা থাকলে, রাগ মেনে নেয়ার মানুষ থাকলে মানুষ রেগে যায়। অসহায় একা মানুষ রাগ করতে পারে। নিয়তিকে দোষারোপ করে।

ফুলির মা হিরাদের বাড়িতে বছরওয়ারী কাজ করে। ফুলির মা থাকলে হিরার কোনও কাজে ব্যাঘাত ঘটত না। যখন যেটা প্রয়োজন ছিল সেটা সে বুঝতে পারত। চোখের পলকে কাজটি হয়ে যেত। সেবার বাড়ি গিয়ে ফুলিকে সাথে নিয়ে আসলো। হিরার মায়ের হাত ফরমায়েশ করার জন্য।

পুরো বাড়ির কাজ ফুলির মায়ের একা সামলাতে হয়। ঘর ঝাড়ু দেয়া, রান্নাবাড়া থেকে শুরু করে কাপড় চোপড় ধোয়া সব এক হাতে ফুলির মাকে সামলাতে হয়। তাই সেবার ফুলিকে সাথে নিয়ে এলো। ফুলিও বেশ হাত ফরমায়েশ করতে পারে। মাঝেমধ্যে হিরার মাথায় তেল দেয়া, চুল টেনে দেয়া। অল্পদিনের মধ্যে ফুলি সবার কাছে তার প্রশংসার বার্তা পৌঁছে দিল।

সে বেচারীও বাড়িতে গেছে। বৃদ্ধ পিতা মাতাকে দেখার জন্য। বছরে একবার করে হলেও পিতা মাতাকে দেখে আসে। ফুলির মা বাড়ি ফিরলে কয়েকদিন লাগে তার বাপের বাড়ির গল্প শেষ করতে। চলনে বলনে তার গ্রামের সব স্মৃতিকথা আওড়াতে থাকে।

হিরা দাঁতে দাঁত রেখে চেহেরায় বিরক্তের ছাপ তুলে খালি শরীরে হাতে শার্ট ঝুলিয়ে হনহন হেঁটে বিলকিসের বাড়ির দিকে রওনা দেয়।

বিলকিস বিশ্বাস। গ্রামের ছেলে মেয়েদের শার্ট-প্যান্ট, ফ্রক, মেয়েলোকের ব্লাউজ, সালোয়ার কামিজ তৈরিতে ওস্তাদ। হাতের যেকোন কাজের জন্য মানুষ বিলকিস বিশ্বাসকে খুঁজে ফেরে। কারও বাড়িতে অনুষ্ঠান, কনে সাজাতে হবে, ডাকো বিলকিস বিশ্বাসকে। রুমালে ফুল, পাঞ্জাবীতে নকশা, ধর্ণা দেয় বিলকিস বিশ্বাসের কাছে। ঈদ, পূজা পার্বণে হাতে মেহেদীর রঙ লাগানোর জন্যও বিলকিস বিশ্বাস। স্বামী বিদেশে থাকে; চিঠি লিখতে হবে, চলো বিলকিস বিশ্বাসের কাছে। সকল প্রয়োজনে বিলকিস বিশ্বাস।

বিলকিস বিশ্বাসও সদা হাস্যোজ্জ্বল। হাসি মুখে মানুষের প্রয়োজনে নিজেকে ব্যস্ত রাখে। বিলকিস বিশ্বাস জানে তার বেঁচে থাকাই হচ্ছে ব্যস্ত থাকা। সকলকে আনন্দ দেবার জন্য বিলকিস বিশ্বাস, কিন্তু বিলকিস বিশ্বাসের আনন্দের উৎস কোথায়? একটা অতৃপ্ত বাসনা তাকে কুড়ে কুড়ে খায়। সে সাথে নিজেকে খুব অসহায় মনে হয়।

বারান্দায় সেলাই মেশিন নিয়ে নিজেকে সারাদিন ব্যস্ত রাখে বিলকিস বিশ্বাস। কাজের ফাঁকে ফাঁকে গুনগুন করে গান গায়। সে গানের অর্থ কেউ বোঝে, কেউ বোঝেও না। তাল দিয়ে পাশ কেটে চলে যায়। বিলকিস বিশ্বাস গলা ছেড়ে দেয়, ‘ভোমর কইয়ো গিয়া... । ’ সে গানের অন্তরা গাইতে গিয়ে থেমে যায়। দেখে সামনে হিরা অপলক তাকে দেখছে।

কোঁকড়ানো চুল। খালি শরীর দেখে বিলকিস বিশ্বাস আতকে ওঠে। কী বলবে ঠিক বুঝে উঠতে পারে না। তার না বলার শব্দ কয়টি হিরার চোখে আটকে থাকে। জ্বলজ্বল চোখে হিরা চেয়ে আছে। দৃষ্টি ভেদ করে দেখে সে দৃষ্টির গভীরে কামনা বাসনার কোনও পথই বিলকিস বিশ্বাস খুঁজে পায় না। তবু এ কেমন দৃষ্টি হিরার চোখে মুখে। একটা নীরব শিহরণ খেলে যায় বিলকিস বিশ্বাসের শরীরে, আপনি?

জেগে ওঠে হিরা। সহসা কোনও ভাষা খুঁজে পায় না। হাত তুলে ধরে। বিলকিস বিশ্বাস দেখে হিরার চোখ মুখ কেমন ফ্যাকাশে হয়ে উঠেছে।

যে মানুষটিকে দেখে গ্রামের ছোট বড় সবাই ভয়ে পাশ কেটে চলে যায় সে কিনা বিলকিস বিশ্বাসের কাছে এসে এমন বোকা বনে যাবে। ভাবতে গিয়ে ঠোঁটের কোণায় হাসি ফুটে ওঠে। গলায় ভর দিয়ে বিলকিস বিশ্বাস কেশে ওঠে, এটা কী, কী করতে হবে?
আমার শার্ট।
তা তো দেখতেই পাচ্ছি। কিন্তু কী করব?
ও হ্যাঁ; বোতাম—
বোতাম! 

বিলকিস বিশ্বাস শার্টের বোতামগুলো দেখে নেয়। দেখে বুকের ওপরের বোতামটি নাই। বোতামের সাথে মিল করে একটি বোতাম লাগিয়ে দেয়।



কত টাকা দিব?
টাকা লাগবে না।
তা তো হয় না।
হিরা একশ’ টাকার একটি নোট বাড়িয়ে দেয়। বিলকিস বিশ্বাস চশমা খুলে অবাক চোখে তাকায়। দাম্ভিক হিরার আপাদমস্তক দেখে হেসে ফেলে, একটা বোতামের দাম একশ’ টাকা হয় না। এটা আপনি ভালো করেই জানেন।
এটা আপনার কাছে রেখে দিন।
হিরা টাকা দিয়ে মানুষকে মূল্যায়ন করছেন কেন? আমরা একই গ্রামে আছি। একটা বোতাম লাগানোর জন্য টাকা নেব, এটা কেমন!
আচ্ছা ঠিক আছে। আসি।

হিরা চলে যায়। বিলকিস বিশ্বাসের ভেতরটা নড়ে ওঠে। কী যেন তার বুকের ভেতর থেকে বের হয়ে  গেল। কোনওভাবেই তাকে আটকাতে পারল না। বিলকিস বিশ্বাস উঠে দাঁড়ায়। কাজে মন দিতে পারে না। ঘরে গিয়ে বিছানায় শুয়ে পড়ে।

এমনটা আর একদিন হয়েছিল তার। স্বামী ঢাকায় প্রাইভেট ব্যাংকে চাকরি করে। ছুটি নাই। তিনদিনের ছুটি নিয়ে এসেছিল। বিয়ে করে চলে যাবার সময় বিলকিস বিশ্বাস এমনটা অনুভব করেছিল। স্বামীকে বুঝে ওঠার আগেই যেন ঝড় সব তছনছ করে দিল।

স্বামী চলে যাবার পর থেকে বিলকিস বিশ্বাস মনে প্রাণে বিশ্বাস করে বিবাহিত মেয়েদের স্বামী ছাড়া একদিনও চলে না। স্বামী ছাড়া ঘর নরকে পরিণত হয়। রাতের গভীরতার সাথে যন্ত্রণাও বাড়তে থাকে। সে যন্ত্রণার দায়ভার অন্যকারও সাথে ভাগ করে নিতে পারে না, বোঝাতেও পারে না। নিজের কাছে গোপন রেখে সুখ কাটার মতো করে লালন করে যেতে হয়।

হিরার খোলা বুক। হ্যাঁ, হিরার খোলা বুক বিলকিস বিশ্বাসকে এলোমেলো করে দেয়। স্বামীর কথা স্মরণ করিয়ে দেয়। স্বামীর প্রয়োজন বাড়িয়ে দেয়। অশনি সংকেত ছড়িয়ে পড়ে বিলকিস বিশ্বাসের অবয়য়ে। জানালা খুলে দেয়; হিরাকে দেখতে পায়। হাত তুলে ডাকতে যায়। হাত নেমে আসে। চারদেয়ালের মধ্য থেকে হাত তুলে ইশারা করলে কেউ টের পাবে না। তবে, মনে প্রাণে হিরাকে দেখার, কথা বলার জন্য ব্যস্ত হয়ে ওঠে। জানালার কাছে মুখ এনে ডাক দেয়, হিরা, এই হিরা একটু শুনবেন?

হিরা যেন আমতলায় দাঁড়িয়ে বিলকিসের জানালাটা পাহারা দিচ্ছে। ডাক শুনে এদিক ওদিক না তাকিয়ে জানালার সামনে দাঁড়িয়ে, আমাকে ডাকছো?
একটু ভেতরে আসবেন?

স্বামী আশফাক হোসেন স্বল্প বেতন পায়, তাই মেসে থাকে। সস্ত্রীক ফ্ল্যাট বাসায় থাকবার সাহস করতে পারে না। মাস শেষে স্ত্রীকে খরচ বাবদ টাকা পাঠায়। চিঠি লেখে। খোঁজ খবর নেয়। বিলকিস বিশ্বাসও স্বামীর খোঁজ নেয়, চিঠি লেখে। চিঠির ভাষায় আশফাক বিচলিত হয়ে ওঠে; অস্থির হয়ে সেবার রাতে এসে  ভোরে চলে গেছে। সে রাতের স্মৃতি বিলকিস বিশ্বাস ভুলতে পারে না। শরীরের প্রত্যেক কোণায় কোণায় আশফাকের স্পর্শ আদর অনুভব করে। আলিঙ্গনের সে রাত ছিল বিলকিস বিশ্বাসের পরম আদরে পাওয়া রাত। সে রাত ছিল শুধুই ভালোবাসার।

আশফাক যাওয়ার সময় বিলকিস বিশ্বাসের পিঠে হাত বোলাতে বোলাতে বলে গেছে, বিলকিস আমার পদোন্নতিসহ বদলী হয়েছে। নতুন অফিসে জয়েন করার পর আমাকে ফ্ল্যাট দিবে।
আমাকে নিয়ে চল। আমার একা থাকতে ভালো লাগে না। রাতে ঘুম আসে না। প্লিজ।
লক্ষ্মী আমার; রাগ করে না। আর মাত্র কিছুদিন।
আর কতদিন জান! তুমি ছাড়া আমার ভালো লাগে না। আমায় সাথে নিয়ে যাও।
আমার চিটাগাং বদলী হয়েছে। ওখানের পরিবেশ কেমন দেখে এসে তোমায় নিয়ে যাব।
ঢাকায় থাকতে বছরে একবার দু’বার আসো। এখন চট্টগ্রাম, সে তো অনেক দূর...।
না সোনা। তুমি চিন্তা করো না। যতদূরেই থাকি না কেন চোখ বন্ধ করলেই দেখবে আমি তোমার সাথে আছি। এতদিন নিজের বেতনের চিন্তা করেছি। এখন সে ভাবনা দূর হয়েছে। অল্প ক’দিনের মধ্যে তোমায় নিয়ে যাব। ভালো থাকো সোনা।

আশফাক চলে যায়। ডুকরে কেদে ওঠে বিলকিস বিশ্বাস। তার চলে যাওয়ার পথে এখনও চেয়ে আছে। সে আসবে। মাসের পর মাস কেটে যায় আশফাক আসে না। শুধু মাসের পনের বিশ দিনের মধ্যে পিয়ন এসে টাকা দিয়ে যায়। টাকা হাতে নিয়ে বিলকিস বিশ্বাস চোখের জল ফেলে দেয়। টাকা দিয়ে সব প্রয়োজন মেটানো যায় কিন্তু কিছু কিছু প্রয়োজন সে যে তোমাকে খোঁজে। তুমি সেটা বোঝ না। নির্লিপ্ত চোখের জল ফেলে নিজের সাথে কিছু কথা বলে বিলকিস বিশ্বাস দৌড়ে বিছায় গিয়ে উপুড় হয়ে শুয়ে অনেকক্ষণ কাদে। সে কান্নার অন্ত নাই।

ক’দিন আগে চিঠি লিখেছে, চিটাগাং এসে প্রথম খুব খারাপ অবস্থায় পড়েছিলাম। এখন ভালো আছি। ভাবছি চাকরিটা ছেড়ে দিয়ে একেবারে তোমার কাছে চলে যাব। তোমাকে ছাড়া আমি আর থাকতে পারছি না।

আশফাকের জন্য বিলকিস বিশ্বাসের হৃদয় কাঁদে। মানুষটাকে ঠিক বুঝে উঠতে পারে না। সামান্য কিছু টাকা রোজগারের জন্য দিনের পর দিন স্ত্রীকে ছাড়া মেসে ব্যাচেলর জীবন যাপন করছে। কী খাচ্ছে না খাচ্ছে; ঠিক মতো ঘুমাতে পারছে কিনা নানান প্রশ্ন বিলকিস বিশ্বাসের রাতের ঘুম কেড়ে নেয়। আশফাক চিঠিতে যদিও তার ভালো থাকার কথা লিখে যায় কিন্তু বিলকিস বিশ্বাস সেটা বিশ্বাস করে না। আশফাক ভালো নেই; আশফাকের জন্য বিলকিস বিশ্বাস নাওয়া খাওয়া ছেড়ে কঙ্কালসার হয়ে যায়। না তবু আশফাক আসে না। শরীরের ভাঁজে ভাঁজে আশফাকের স্পর্শ চায়; আশফাক এসে একটু ছুঁয়ে দিলেই বিলকিস বিশ্বাস আবার প্রাণ ফিরে পাবে; সতেজ হয়ে জেগে উঠবে। মরা গাছে ফুল ফুটবে বিলকিস বিশ্বাসের বিশ্বাস।

বিলকিস বিশ্বাস স্বামীবিরহে কাতর, ঠিক সেই সময় হাফিজ উদ্দিন তার কিন্ডার গার্টেন স্কুলের ছেলে মেয়েদের পোশাক তৈরির জন্য বিলকিস বিশ্বাসকে দায়িত্ব দেয়।

সে থেকে বিলকিস বিশ্বাস স্বামী আশফাকের বিরহ যন্ত্রণা থেকে এতটুকু হলেও রেহাই পেল। ধীরে ধীরে এ পাড়া ওপাড়ায় বিলকিস বিশ্বাসের হাতের কাজের সুনাম ছড়িয়ে পড়ে।

আমায় ডেকেছো?
প্রচণ্ড গরমে বিলকিস বিশ্বাস বালিশে মুখ গুঁজে কাঁদছিল। ‘আমায় ডেকেছো’র শব্দ ক’টি শোনা মাত্র হুড়মুড় করে উঠে বসে। একটু অপ্রস্তুত হয়ে, আপনি এখানে! কী মনে করে?
তুমি আমায় ডাকলে যে।
আমি আপনাকে ডেকেছি!
হ্যাঁ তুমিই তো ডাকলে। ওই জানালার কাছে মুখ নিয়ে; হাতের ইশারায়।
না তো। আমি আপনায় ডাকিনি।
সত্যি করে বলো; তুমি আমায় ডাকোনি?

বিলকিস বিশ্বাস থেমে যায়। হ্যাঁ সে তো ডেকেছিল। হিরার উন্মুক্ত একটা বুক। ওই বুকে কিসের জাদু ছিল যে, বিলকিস বিশ্বাস সব ভুলে আনমনে হাত তুলে ওভাবে ডেকেছিল। এখন কী বলবে হিরাকে। মিথ্যে বললে ও রেগে যাবে। আর রাগলে একটা অঘটন ঘটবে। না; হিরাকে রাগানো যাবে না। তারচে একটু মিথ্যে বলি।
কী ভাবছো?
না কিছু না। আপনার শার্ট।
আমার শার্ট মানে?
বোতাম ঠিক ছিল কিনা? এ জন্য।
মিথ্যে বলে সত্যটাকে লুকালে?
ছিছি সেটা কেন হবে।



বাংলাদেশ সময়: ১৩৩১ ঘণ্টা, মে ১৬, ২০১৫

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।