ছোটকাগজ খড়িমাটির উদ্যোগে ২২ মে শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টায় থিয়েটার ইনস্টিটিউট চট্টগ্রাম মিলনায়তনে ‘জীবনের ভাষা’ শীর্ষক নারীস্বরের কথা ও কবিতা পাঠ অনুষ্ঠিত হয়। এতে আলোচনা করেন কবি শ্যামলী মজুমদার, সেলিনা শেলী, হাফিজ রশিদ খান, খালেদ হামিদী, মানজুর মুহাম্মদ ও ভাগ্যধন বড়ুয়া।
এসময় প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন কবি ও অনুবাদ আলম খোরশেদ এবং কবি ও সাংবাদিক বিশ্বজিৎ চৌধুরী।
কবি হাফিজ রশিদ খান বলেন, মেয়েরা কবিতা লিখছে কিংবা যা লিখছে, সেখানে ছেলেদের আচরণ কেমন? তা নিয়ে ভাববার প্রয়োজন রয়েছে। আশির দশকে সুরাইয়া খানমের কথা জানি, তার কবিতার থেকে তার রূপ লাবণ্যের প্রশংসা শুনেছি বেশি। আমি দেখেছি, কবিতা লিখতে গিয়ে একজন মেয়ে কবিকে পেলে হলো। সমাজে তাকে কতরকমভাবে টিজ করা যায়, এটা ইদানীং আর হচ্ছে কিনা আমি জানি না। কিন্তু আমার সময়ে দেখেছি। ...
কবি সেলিনা শেলী বলেন, নারীরাই বলুক পুরুষ কবিরা সহযোগিতা করুক। কেন নারীরা কবিতা লিখলে তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করা হয়। তারা আবার কী লিখবে। আজকের শিরোনাম জীবনের ভাষা। এই শিরোনাম আমার পছন্দ হয়েছে। আসলে কবিতা তো সাধারণ কোনও ভাষা না, বাহ্যিক কোনও ভাষা না। এটা হচ্ছে আমার ভেতরের ভাষা। আমি বাহ্যিকভাবে এই ভাষায় বলতে পারি না। তা কবিতায় বলি। এটা জীবনের ভাষা। একজন পুরুষ কবির ক্ষেত্রে এটা জীবনের ভাষাই হবে। আর একজন পুরুষ কবি যা বলতে পারেন, নারীরা তা পারে না। কাজেই কবিতায় একজন নারী একমাত্র নারীই হয়ে ওঠে।
অনুষ্ঠানে কবিতা পড়েন শ্যামলী মজুমদার, সেলিনা শেলী, অনুপমা অপরাজিতা, ফারহানা আনন্দময়ী, সারাফ নাওয়ার, নাজমুন নাহার, আখতারী ইসলাম, তনুজা বড়ুয়া, ফরিদা ইয়াসমিন সুমি, রোমেনা আফরোজ ও রিমঝিম আহমেদ।
বাংলাদেশ সময়: ১২২৬ ঘণ্টা, মে ২৩, ২০১৫