মেঘের তুমুল হাকডাক চলছে। কিছুক্ষণ আগেই শুরু হয়েছে মাত্র।
কিছুই দেখা যায় না। দু’এক ফোঁটা বৃষ্টি গায়ে পড়ছে। তার মানে শুরু হয়ে গেছে রিমঝিম। অত্যাধিক গরম পড়েছে। বৃষ্টি এসে তাপ বাড়িয়ে দিল। একটা পুকুরে কিছুক্ষণ ডুবে থাকলে হতো। বৃষ্টির মাত্রা বেড়ে গেলে অবশ্য একটু পরেই ঠিক হয়ে যাবে। দিনের বেলা রোদে চামরা ফেটে যাচ্ছিল। সন্ধের পর কোন একটা বাজারের পাশে মনে হয় স্কুল বা মন্দিরের বট গাছ তলায় কিছুক্ষণ বিশ্রাম নেয়া হয়েছে। তাও কোনও খাবার দাবার ছাড়াই। পানিটা খেতে পারলেও হতো। মাটিতে পা ছড়িয়ে কেবল বসা হয়েছে। নিঃশ্বাসগুলো কেবল স্বাভাবিক গতি পেয়েছে সেই সময় তারা দুজনেই আসলেন। দুজনই পান চিবুচ্ছেন। এটাকে বিশ্রাম বলে? আবার শুরু হলো হাঁটা।
দু’এক ফোঁটা হতে হতে মুষল ধারায় বৃষ্টি শুরু হলো। মেঘের হাসি কান্না চলতেই আছে। মাথার উপরে কোনও মেঘ চিৎকার করে উঠলে দূরের মেঘের বিরহী ডাক শোনা যায়। ভারী বৃষ্টির ফোঁটার আঘাত লাগছে পিঠে, চোখে, মুখে। বাঁশের ও গাছের মরা ভেজা পাতাগুলো লাগছে পায়ে। অন্ধকারে ঝিঁঝিঁ পোকাদের উৎসব চলছে। লুকিয়ে থাকা ব্যাঙেরা মেঘের ডাকে বেড়িয়েছে সাঁতারের নেশায়। সাপের সন্ত্রাসী শিকার কোনও এক ব্যাঙের করুণ চিৎকার ভেসে আসছে। সে সময় চারটি মহিষ বিদ্যুতের ঝলকানি আলোয় পেছন ফিরে তাকাল। ঝাঁপির নিচে মহিষের চোখ দেখে নিতাই আর সুমনের গা শিউরে উঠেছিল। সাপের মুখে ব্যাঙটার করুণ চিৎকার আস্তে আস্তে পেছনে চলে যায়। হাতে ধরা সাপের মতো পেঁচানো প্লাস্টিকের লাগামগুলোর দিকে তাকায় দুজন।
রাত প্রায় শেষের দিকে। মেঘের ডাকের সাথে মিলিয়ে গেছে বৃষ্টি। মহিষেরাও চলে এসেছে বেশ পরিচ্ছন্ন একটা রাস্তায়। দু’একটা ঘুমভাঙ্গা পাখির ডাক কানে আসছে। এবার নিশ্চয়ই নিতাই আর সুমন তাদের বিশ্রাম দেবে? খাবার দেবার কোনও সম্ভাবনাই নাই। কারণ ওদের দুজনের ঘাড়ে দুটো ব্যাগ। এই ব্যাগগুলো নিয়ে ছাত্র/ছাত্রীরা স্কুল যাওয়া আসা করে। মহিষেরা মাঝে মাঝে রাস্তায় দেখেছিল। নিতাই আর সুমনের ওইটুকু ব্যাগে লুঙ্গি আর একটা চাদর আছে। উদয় সিংয়ের মহিষের ফার্ম থেকে যখন তারা বের হয় তখনই ব্যাগে ঢোকাতে দেখেছিল। আর সামান্য কিছু বিস্কিট। বিস্কিটগুলো পরে বাজারের মোড়ে কিনেছিল। উদয় সিং কেন তাদের বিক্রি করল মাথায় না ধরলেও এ নিয়ে চারজনের মধ্যে বেশ হাসাহাসি হয়েছে রাস্তায়। হরিয়ানার এক সাধারণ গৃহস্থের বাড়ি থেকে তারা যখন চুরি হয়ে উদয় সিংয়ের ফার্মে ঢোকে, তখন উদয় সিংয়ের চেঁচামেচি দেখে হাসিই পাচ্ছিল। সে এত বেশি রুপিতে তাদের কিনতে চাইছিল না। কিন্তু উদয় সিং যখন তাদের কলকাতার এক গরু ব্যবসায়ীর কাছে বিক্রি করছিল তখন এত অল্প রুপিতে ছাড়তে চাইছিল না। অবশ্য এটা ঠিক উদয় সিং তাদের খাইয়েছিল ভালোই। চার মহিষ মনে করেছিল এবার বুঝি একটা স্থায়ী ঠিকানা হলো। কিন্তু দিন কয়েক পরে একদিন উদয় সিংয়ের বসার ঘর থেকে তাদের নিয়ে বেশ কথা শুনতে পায়। হরিয়ানার গ্রাম থেকে ছুটে আসা তাদের গৃহস্থের কণ্ঠও শোনা যায়। উদয় সিং গৃহস্তকে বলে, চার চারটে মহিষ চুরি যাচ্ছে, আর আপনারা কেউ টের পেলেন না। আমাকে উচিৎ মূল্য দিন, নিয়ে যান। আমি চুরি করা মাল ভাঙ্গাই না।
গৃহস্থকে দেখে খারাপই লাগছিল ওদের। সবশেষে কলকাতার এই ব্যবসায়ীর কাছে ডাবল দামে একটা রফা হলে গতকাল দুপুরে তাদের যাত্রা শুরু হয়। শুনেছে কলকাতার লোকেরাও বাঙালি। মহিষদের ভাত খাওয়ায়। এবং বেশ নরম শরম মানুষ তারা।
আকাশ একদম পরিষ্কার। সূর্য আজ মেঘের আড়ালেই থেকে যাবে মনে হচ্ছে। চারদিকে সজিব গাছপালা। তারা হেঁটে যাচ্ছে একটা উঁচু টিলার গায়ে লাগানো আঁল দিয়ে। আঁলের দুই পাশে গজিয়ে উঠেছে সবুজ ঘাস। চার মহিষের জিহ্বায় পানি এসে গেল। কিন্তু কোনও উপায় নেই, একটু থামলে নিতাই আর সুমন বাশের কঞ্চি দিয়ে পাছায় বাড়ি মারবে। এই মুহূর্তে বাঁশের কঞ্চির মার খাওয়া খুব কঠিন। জমিগুলোতে তিল আর বোরোর আবাদ। যতদূর চোখ যায় ফাঁকা। তবে দূরে একটা বেড়া চোখে পড়ছে। চোখের সীমানা পেরিয়ে চলে গেছে বহুদূর। ভোরের হাওয়া এসে গায়ে লাগছে। বেশ আরাম লাগছে তাদের। নিতাই আর সুমন একটু দুরে বসেছে। ভেজা ঘাসের ওপর। সম্ভবত খাবার খাচ্ছে। নিতাই আর সুমন অত্যন্ত কিপ্টে প্রজাতির মানুষ। মন বলে কিছু নেই। এতটা পথ নিয়ে এলো একবারও খাবারের কথা বলল না। কোথাও একটা বিকট শব্দ হলো। কিসের শব্দ? নিতাই আর সুমন উঠে দাঁড়ায়। চারপাশে তাকাচ্ছে। ভয়ের কিছু কি? নিতাই আর সুমন জানে। আরেকটা আওয়াজ ভেসে এলো। মনে হলো কানের পাশ দিয়ে কী যেন ছুটে গেল। নিতাই আর সুমন রকেটের মতো দৌড় দিয়ে কোন দিকে চলে গেল? মহিষ চারটা আর একমুহূর্ত দেরি করল না। চিৎকার দিতে দিতে দৌড়াতে লাগল।
দুই |
মঈনুলের আজ ভালো ঘুম হয়েছে। প্রথম বর্ষা। বৃষ্টি আর ব্যাঙের ডাকাডাকিতে কখন ঘুমিয়েছে বলতে পারে না। ভোর রাতেই তার ঘুম ভেঙে গেল। তবে মহিষের ডাকে। এই গ্রামে তার জানামতে কারও মহিষ নেই। তবে ডাকছে কোথায়? কয়েক মুহূর্ত ভয় হলো তার। পরক্ষণেই মনে পড়ল সীমান্তের এই গ্রামের রাস্তা দিয়ে প্রায়ই ভারতীয় গরু মহিষ ব্যবসায়ীরা নিয়ে যায়। তবে মহিষের ডাকগুলো রাস্তার উল্টো দিক থেকে ভেসে আসে বলে সন্দেহটা বেড়ে যায়। সীমান্তের কাছ থেকে মহিষের ডাকগুলো ভেসে আসছে নিশ্চিত হয়ে সে বিছানা থেকে ঝটপট উঠে পড়ে। মঈনুলের বাড়ির পেছনে মাত্র পঁচিশ গজ দূরেই বর্ডার। সে বের হতেই আবার মহিষের ডাক শুনতে পায়। তার মুতুর চাপ আসে। শুকানো পুকুরে একটু একটু পানি জমেছে। ব্যাঙেরা ডাকাডাকি করছে সেখানে। মঈনুল মুতু করতে বসেই কয়েকটা মহিষের বিকট চিৎকার শুনতে পেল।
লাফিয়ে উঠল সে। চারটি মহিষ একসাথে সমান তালে দৌড়াচ্ছে আর চিৎকার করছে। মঈনুলের বুঝতে বাকি রইল না মহিষ চারটা ভারত থেকে পালিয়ে এসছে, অথবা চোরের হাত থেকে ছুটে এসেছে। মুতু বাদ দিয়ে মঈনুল মহিষ চারটাকে আটকানোর চেষ্টা করল। কিন্তু এত বড় বড় মহিষ তার পক্ষে আটকানো সম্ভব না। আটকাতে পারলে ভালোই হতো। চারটে মহিষের বাজার মূল্য কয়েক লাখ হবে। বর্ডার ক্যাম্পে আর থানা পুলিশের হাতে কিছু টাকা দিতে পারলেই চার মহিষের মালিক বনে যেত সে। কিন্তু তা সম্ভব নয়। কারণ মঈনুলের হাতে টাকাও নেই, চারটে মহিষ ধরার শক্তিও নেই। সে তার ঘরে গিয়ে বিজিবিকে ফোন দেয়। সীমান্তে বাড়ি, বিপদে আপদে এগিয়ে আসে বিজিবি। তাই নাম্বারটা খুঁজে পেতে সময় লাগে না।
-স্যার চারটা মহিষ
-হ্যাঁ তো কী হয়েছে?
-স্যার আমার বাড়ির সামনে দিয়ে ক্যাম্পের দিকে ছুটে গেল।
দেখছি বলে হাবিলদার ফোনটা রেখে দেয়। মঈনুল বিছানায় বসে। চার চারটে মহিষ, যে ধরতে পারবে সেই মালিক। সে প্রথমে দেখে কিছু করতে পারল না। অবশ্য চেয়ারম্যানকে খবরটা দিলে বকশিস পেতে পারে। কিন্তু চেয়াম্যান অত্যন্ত ধূর্ত। চারটে মহিষ একাই নিয়ে নেবে। নামমাত্র টাকা দিয়ে। তা হোক, চেয়ারম্যান তো খুশি হবে। ভবিষ্যৎ আছে না। মঈনুল চেয়ারম্যানের নাম্বারে কল দেয়।
তিন |
প্রায় দুদিন পর এরকম একটু আরাম করছে চারটে মহিষ। কাঁঠাল গাছের ছায়ায় ঠনঠনে মাটিতে পা ছড়িয়ে বেশ আরাম করে বসে আছে তারা। সামনে অনেক খাবার। বোরো ধানের খর। ভালোই লাগছে খেতে। কিছুক্ষণ আগে কাঁঠালের মথা দিয়েছিল। আহ কী মিষ্টি। এটা কোথায় তা তারা জানে না। তবে সবুজ জামা আর মোটা বুট জুতো পরা লোকদের খারাপ মনে হয়নি। তাই তারা চারজনই স্বেচ্ছায় তাদের হাতে ধরা দিয়েছিল। তা ছাড়া পেটে কিছু ছিল না বলে দৌড়ানো যাচ্ছিল না। সব মানুষ তো আর খারাপ নয়। তবে একটু দূরে একটা গোল ঘর। সেই ঘরে কয়েকজন বসে আছে। মহিষদের দিকেই তাকিয়ে তাকিয়ে কথা বলছে তারা। মনে হচ্ছে তাদের নিয়েই। তবে আলাপের ঢং আর ইশারা দেখে মনে হচ্ছে আবার দরকষাকষি চলছে। একটা মোটর সাইকেল এসে থামল। একজন চিকন আর লম্বা লোক বাইক থেকে নেমে ঘরে ঢুকতে যাচ্ছিলেন। ঘর থেকে কেউ একজন মহিষদের অবস্থান জানালে তিনি ঘরে না ঢুকে মহিষদের কাছে এলেন। চারটে মহিষকেই নিখুঁতভাবে দেখে আরেকজনকে ইশারা দিয়ে বললেন
-দুই আড়াই। কই সুবেদার কই ।
সুবেদার সাহেব ক্যাম্প থেকে বের হলেন। তারপর গোল ঘরে গিয়ে আলোচনা শুরু করলেন। চেয়ারম্যান স্থানীয়ভাবে আইনের জটিলতায় না গিয়ে ক্যাম্পেই মহিষ চারটার নিলামের ব্যবস্থা করার অনুরোধ করলেন। তাহলে তার সুবিধা হয়। কিছুদিন পরেই বোনের বিয়ে। অনেক বড় দাওয়াত হবে। সারা ইউনিয়নের কয়েক হাজার মানুষ ভোজে অংশ নেবে। দুটো মহিষ লাগবে। অনেকেই মহিষের মাংস খায় না, তাতে কী? গরু বলে চালিয়ে দিলে কেউ টেরও পারবে না। বাকি দুটো কসাইদের দিয়ে দেয়া যাবে। কিন্তু না, সুবেদার সাহেব আইনের বাইরে যাবেন না। তিনি মহিষ চারটাকে কাস্টমসে দিয়ে দেবেন বলে চেয়ারম্যানকে জানিয়ে দিলেন। সেখানে সবার সম্মুখে নিলামে ওঠানো হবে।
কাঁঠালের ছায়ায় বেশ ঘুম ঘুম লাগছে মহিষগুলোর। বিকেল হয়ে গেছে। সামনের খাবারগুলো শেষ হয়ে আবার নতুন খাবারও এসেছে। ব্যথায় টান টান শরীরের রগ আর চামড়াগুলো কেবল স্থিতি পেয়েছে। কাঁঠাল ছায়ার বাইরে ভীষণ রোদ। রোদের তাপ গায়ে লাগছে। একটা চার চাকার বড় ট্রাক এসে থামল ক্যাম্পের সামনে। মহিষেরা বুঝে নিল আর বেশিক্ষণ এখানে নয়। তবে খবর ভালো, তাদের হাঁটতে হবে না।
ট্রাকে উঠতে উঠতে অনেক সময় লেগে গেল। বাঁশ দিয়ে সিড়ি বানিয়ে তাদের বেঁধে অনেকগুলো লোক ট্রাকের ওপর তুলল। কাশ্মির থেকে হরিয়ানার গৃহস্থ বাড়িতে এসেছিল ট্রাকে চড়ে, মনে পড়ল তাদের। বেশিক্ষণ চলল না ট্রাক। আলো ঝলমলে শহরের একটা ঘুপচি বাড়ির খোঁয়াড়ে রাখা হলো তাদের। খাবারও দেয়া হলো। তারপর এভাবে রাত কেটে গিয়ে সকাল হলে দুজন লোক তাদের রাস ধরে টানাটানি শুরু করল। লোক দুজন তাদের নিয়ে একটা বড় বিল্ডিংয়ের সামনে এনে গাছের সাথে বেঁধে রাখল। অনেক লোকের সমাগম এখানে। লোকদের মধ্যে চিৎকার চেঁচামেচি চলছে।
চার |
কাস্টমস অফিসার অফিসের বারান্দায় বসেছেন। অনেক লোকের ভিড়। অফিসের ভেতর জায়গা হবে না বলে চেয়ার টেবিল নিয়ে বাইরে বসেছেন তারা। একজন কর্মচারীকে লক্ষ্য করে অফিসার বললেন
-কয়টা বিডি জমা পড়েছে?’ কমর্চারী বললেন
-স্যার ১৪ টা।
অফিসার বললেন, ১৪ টা বিডির জন্য কয়েকশ মানুষ আশ্চর্য তো। সবাইকে ডাকেন। ’ সবাই আসলো। অফিসার বললেন, মহিষ চারটার দাম রাখা হয়েছে চারলাখ টাকা। এবার আপনারা কত দিয়ে ডাকবেন বলুন।
মহিষ চারটা কেনা বেচার জন্য কয়েকশ মানুষের মধ্যে তীব্র বাকবিতণ্ডা চলছে তখন। কে কিনবে এই নিয়েই তর্ক। তাদের কারও মধ্যে কেনার তেমন জোর নেই। একমাত্র গরু ব্যবসায়ী লাভলু কিনতে চাচ্ছে বলে তার কাছেই সবাই। সবার এক কথা সবাইকে ম্যানেজ করতে হবে লাভলুকে। লাভলুও শর্ত দিয়ে বসেছে ম্যানেজ করা যাবে যদি কেউ অতিরিক্ত ডাক না দেয়। বেলা প্রায় পড়ে এসেছে। এখনও সিদ্ধান্ত নিতে পারছে না কেউ। বারান্দায় বসা অফিসার গরমে ঘামে ভিজে গেছে। ঠিকাদাররা ম্যানেজ হলেও রাজনৈতিক নেতাদের কম টাকায় মানানো যাচ্ছে না। তারা ৪ দলের জন্য অনেক টাকা দাবি করে বসে আছে। রাজপথে মুখোমুখি শত্রু হলেও এখানে তাদের বেশ মিল। অফিসারের সামনে বসে আছে কয়েকজন কসাই। বস্তা ভরা ছুরি আর মাংস কাটার বটি প্রস্তুত। লাভলুর সাথে মুটামুটি দরদাম হয়ে গেছে। আগামীকাল ছুটির দিন। ভালোই বিক্রি হবে মহিষের মাংস। এই শহরের মানুষেরা অনেকদিন মহিষের মাংস খায়নি। সময় চলে যাচ্ছে বেশি রাত হলে মাইকিং করা যাবে না। মাইকিং না করলে মানুষ জানবে কী করে আগামীকাল দুইটা মহিষ জবাই হবে।
পাঁচ |
সবাই চলে গেছে। কেবল কযেকজন এসে মহিষগুলোর কাছে এসে দাঁড়াল। তাদের একজন বলল
-নারে ঠকিনি। দশমণ মাংস হবেই।
আরেকজন বলল
-বাকি দুইটা?
লাভলু চিটাগাং পাঠাবে। ওখান থেকে মাংস প্রসেস হয়ে সিংগাপুর যাবে।
মহিষ চারটি এবার নড়েচড়ে উঠল মনে হয়। একে অপরের দিকে তাকাল একবার। তাদের চোখ জলে টলমল। এবার বুঝি পৌঁছে যাবার সময় হলো তাদের।
বাংলাদেশ সময়: ১৬০৫ ঘণ্টা, মে ২৫, ২০১৫