জলের ক্রিয়াপদ
বৃষ্টি আঁকতে গিয়ে আমি এঁকে ফেলেছিলাম তোমার স্নানাঘার। কৃত্রিম
ঝরনার ছবি খুঁজতে গিয়ে যেদিন প্রথম শুনেছিলাম বর্ষাবৃক্ষের গান—
মনে পড়েছিল সেই দিনটির কথা।
স্মৃতিপ্রতারক রাত আমার অনুকূলে সাক্ষী দেয়নি কখনোই। তারপরও
আমি সেই রাতের কাছেই পাঠ নিয়েছিলাম জোসনা বিভাজনের।
কড়ি কুড়াতে গিয়ে আমি তুলে এনেছিলাম কড়ার সাম্রাজ্য। ঘুমকালীন
ভোরের উপকূলে জেগে থাকে যে গোলাপ—
ভালোবাসাটুকু দিতে চেয়েছিলাম তাকেই। মানুষের কান্নাই ফুটে থাকে
পাপড়ি হয়ে—একথা শোনার পর শুধুই তাকিয়েছিলাম তোমার
স্নানধ্যানের দিকে।
অপেক্ষায় ছিলাম; তুমি কতোটুকু ভিজে যেতে পারো!
আকার ও পাঠবিশ্বাস
আকার আত্মস্থ করে ক্রমশ নিম্নগামী হয় মেঘ। কোন পাহাড়ের
গায়ে ঝরবে বৃষ্টি হয়ে, কোন পাখির পালকে ছোঁয়াবে তুষার—
সবকিছুই লিপিবদ্ধ করে রাখে যে আকাশ, মেঘ জানে তার আয়তনও।
এই মেঘকেই একদিন প্রাণভরে ভালোবেসেছিল জলবংশের মেয়ে। বেদেনী
বিকেলের প্রান্ত ছুঁয়ে মধ্যনদীতে উঁকি দিত যে প্রেম—
নৌকো থেকে নৌকোতেই প্রতিস্থাপিত হতো তার ছায়া।
জলকুমার-জলকুমারীরা চুম্বনে চুম্বনে সেরে নিত পাঠবিশ্বাস। নদীতেই
রাজ হংসের মতো ভেসে বেড়াবে আগামী প্রজন্মও, ঢেউয়ের সাথে
তারা করত এমন স্বপ্নযোগ। মূলত তারা খুঁজত আত্মার আকৃতি।
কারণ তারা জানত—
উলঙ্গ পৃথিবীর প্রকৃত কোনো আকার থাকে না।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৮ ঘণ্টা, আগস্ট ৪, ২০১৫