কবিতা সঙ্গীত ও চিত্রকলার প্রতি আমার আগ্রহ কে প্রজ্জ্বলিত করল আমি নিশ্চিত নই। হতে পারে তা চেতনের কবিতা, কিংবা কিরপাল চাওলার রুমে শোনা সেতার বাদন (চেতন ও কিরপাল চাওলা দুজনই লেখকের কলেজ জীবনের বন্ধু)।
শান্তিনিকেতনে অশোক সেনের বাবার জমিজমা আছে এবং সেখানে অনেকেই তাকে চেনেন। আমার জন্য একটি সুপারিশ পত্র লিখে দিতে তাকে অনুরোধ করলাম।
তিনি বললেন, “বেটা আকালি, তুমি শান্তিনিকেতনে গিয়ে কী করবে! (আকালি আন্দোলনের সময় আমি কালো পাগড়ি ধারণ করেছিলাম বলে তিনি সবসময়ই আমাকে আকালি সম্বোধন করেন। ) আমি কী করব তার জবাব দিলাম। তিনি একজন সদয় বুড়ো, সাথে সাথেই বিশ্ব ভারতীর রেজিস্ট্রারকে উদ্দেশ্য করে আমার সম্পর্কে লিখে ফেললেন।
আমি ঝিমুতে ঝিমুতে স্বপ্নের দেশে চলে গেলাম। দূরের সঙ্গীত ধ্বনি, আমি শুনতে পাচ্ছি আমার কাছে চলে আসছে। পরে বুঝতে পারলাম এটা স্বপ্ন নয়। আমি বিছানা ছেড়ে দরজার কাছে গেলাম এবং দরজা খুললাম। ঝিরিঝিরি বৃষ্টির ফাঁকে কুয়াশাচ্ছন্ন চাদরে আলো চুইয়ে পড়ছে। আমার চোখে পড়ল নিদাগ সাদা পোশাকে হারিক্যান ও মোমবাতি হাতে গান গাইতে গাইতে যুবক-যুবতী পথ ধরে এগিয়ে যাচ্ছে। যতক্ষণ না তারা আমাকে অতিক্রম করে গেল আমি দরজায় ঠায় দাঁড়িয়ে রইলাম। “এটাই বৃষ্টিকে স্বাগত জানানোর বর্ষামঙ্গল”—মঞ্জুশ্রী আমাকে বলল, “তারা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের গান গাইতে গাইতে ক্যাম্পাসের চারদিক ঘুরবে।
শান্তিনিকেতনে যাওয়াটাই আমার প্রথম একা একা রেলভ্রমণ। আমি তৃতীয় শ্রেণীর যাত্রী হিসেবে সফর করলাম, বোলপুরের ট্রেন ধরার জন্য হাওড়াতে ট্রেন বদলাতে হলো। কেবল বর্ষা এসেছে। হাওড়া থেকে বোলপুর পর্যন্ত পানির চাদর বিছানো। গরুর গাড়ি ভাড়া করলাম, একঘণ্টা পর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসকের কাছে আমার উপস্থিতির ঘোষণা দিলাম। আমাকে একটি বড় আসবাবহীন কক্ষ দেখিয়ে দেওয়া হলো, শ্রীলঙ্কা থেকে আসা মঞ্জুশ্রী নামের একজন তরুণ বৌদ্ধ পুরোহিতের সাথে আমাকে ভাগাভাগি করে সে কক্ষে থাকতে হবে। তারপর আমাকে ডাইনিং হল ও কলাভবন ঘুরিয়ে দেখানো হলো। আমার ক্যাম্পাস চক্কর শেষ হতেই চারদিক অন্ধকার হয়ে এলো এবং ঝিরঝির বৃষ্টি ঝরতে শুরু করল। আমি রুমে ফিরে এসে মেঝেতে আমার বিছানা ছড়িয়ে দিলাম। মঞ্জুশ্রী কুপিবাতি জ্বালিয়ে পড়াশোনা করছে, আমাদের রুমে বৈদ্যুতিক আলোর ব্যবস্থা নেই। পুরোহিত ছেলেটি কোনো হিন্দুস্তানি ভাষা না জানায় আমরা ইংরেজিতে তথ্য আদান-প্রদান শুরু করলাম। সে শান্তিনিকেতন আর্কাইভে কিছু পালি পাণ্ডুলিপি নিয়ে কাজ করছে, সেই সাথে কৌমার্য ভঙ্গ না করার ব্রত নিয়েছে, আর তা করতে হলে মেয়েদের সাথে কথা বলার সুযোগ থাকে না। কিন্তু সে সবার আগে আমার চেনাজানা মেয়েদের সম্পর্কে জানতে চাইল।
আমি শক্ত মেঝেতে ঘুমোতে অভ্যস্ত নই, আমি থেকে থেকে ঘুমাচ্ছিলাম। ততক্ষণে মুষলধারায় বৃষ্টি শুরু হয়ে গেল। আমি ঝিমুতে ঝিমুতে স্বপ্নের দেশে চলে গেলাম। দূরের সঙ্গীত ধ্বনি, আমি শুনতে পাচ্ছি আমার কাছে চলে আসছে। পরে বুঝতে পারলাম এটা স্বপ্ন নয়। আমি বিছানা ছেড়ে দরজার কাছে গেলাম এবং দরজা খুললাম। ঝিরিঝিরি বৃষ্টির ফাঁকে কুয়াশাচ্ছন্ন চাদরে আলো চুইয়ে পড়ছে। আমার চোখে পড়ল নিদাগ সাদা পোশাকে হারিক্যান ও মোমবাতি হাতে গান গাইতে গাইতে যুবক-যুবতী পথ ধরে এগিয়ে যাচ্ছে। যতক্ষণ না তারা আমাকে অতিক্রম করে গেল আমি দরজায় ঠায় দাঁড়িয়ে রইলাম। “এটাই বৃষ্টিকে স্বাগত জানানোর বর্ষামঙ্গল”—মঞ্জুশ্রী আমাকে বলল, “তারা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের গান গাইতে গাইতে ক্যাম্পাসের চারদিক ঘুরবে। ”
শান্তিনিকেতনের সাথে এ আমার এক মধুর পরিচিতি। সেখানকার সঙ্গীত ও সুন্দরের মাধুরী বহু বছর ধরে আমাকে জড়িয়ে নিয়ে গেছে। কিন্তু আমি যখন সেতার শিক্ষক সুরেন্দ্র নাথ করের অধীনে কলা বিভাগের শিক্ষার্থী হিসেবে নাম রেজিস্ট্রি করি, আমার জন্য আরো বিস্ময়কর মাধুরী অপেক্ষা করছিল। সেতার কেনা এবং আমার চারপাশের পরিবেশের সাথে নিজেকে পরিচিত করতে দিনটা কেটে গেল। বিকেলে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এলেন ক্যাম্পাসে, উদয়শঙ্কর এবং তার ফরাসি নৃত্যসঙ্গীনি সিমকি ইউরোপে তাদের প্রথম সফর শেষ করে ফিরে এসেছেন, ঠাকুর তাদের সাথে শিক্ষার্থীদের পরিচয় করিয়ে দেবেন।
ঠাকুর বসলেন মঞ্চে হাতলওয়ালা একটি বড় চেয়ারে। বসেই তিনি শঙ্করকে আদেশ করলেন, “একটু নাচো তো দেখি। ”
বাংলার গ্রামের যে সৌন্দর্য আমাকে তা দেখার চোখ খুলে দেয় শান্তিনিকেতন। আমার জীবন কেটেছে পাঞ্জাবের খাকি সমতলে, গ্রীষ্মকাল কেটেছে কাসুলি বা সিমলায়। কিন্তু শান্তিনিকেতন সম্পূর্ণ ভিন্ন। এটি সাঁওতাল ভূখণ্ড, চলমান লাল পাথুরে পাহাড় শালবনে ঢাকা, উপর দিয়ে বয়ে গেছে দ্রুতগামী ঝর্নাধারা; কর্দমাক্ত জমিন।
কোনো সাজসজ্জা, মেকআপ নেই, কোনো যন্ত্রপাতি নেই, মঞ্চে নাচের আলো নেই, কোনো অর্কেস্ট্রা নেই, আছেন কেবল সরোদশিল্পী তিমির বরণ। উদয়শঙ্কর নাচলেন তাণ্ডব নৃত্য, সিমকি নাচলেন পার্বতীর ভূমিকায়। আমি এর আগে কখনো সত্যিকার অর্থে কোনো ভারতীয়কে নাচতে দেখিনি—ব্যতিক্রম হিজড়াদের অসংবৃত চক্রাকারে ঘুরে ঘুরে নাচ। শঙ্কর ও সিমকির শরীরের যে সর্পিল সঞ্চালন তা আমাকে নিশ্চল ও স্তব্ধ করে দেয়। সে রাতে আমি ঘুমোতে পারিনি—সঙ্গীত ও নৃত্য আমাকে এতটাই আন্দোলিত করেছে।
বাংলার গ্রামের যে সৌন্দর্য আমাকে তা দেখার চোখ খুলে দেয় শান্তিনিকেতন। আমার জীবন কেটেছে পাঞ্জাবের খাকি সমতলে, গ্রীষ্মকাল কেটেছে কাসুলি বা সিমলায়। কিন্তু শান্তিনিকেতন সম্পূর্ণ ভিন্ন। এটি সাঁওতাল ভূখণ্ড, চলমান লাল পাথুরে পাহাড় শালবনে ঢাকা, উপর দিয়ে বয়ে গেছে দ্রুতগামী ঝর্নাধারা; কর্দমাক্ত জমিন। বর্ষাকাল হওয়াতে জলধারা উপচে পড়ছে। যখন বৃষ্টি থামল, চারদিকে ছড়িয়ে আছে ছোট ছোট সাপ আর বৃশ্চিক। আমাকে সতর্ক করে দেওয়া হলো। এই সাপগুলো যে নির্বিষ এবং মোটেও ক্ষতিকারক নয় তা জানার আগেই আমি দুটোকে মেরে ফেলি। (মেয়েদের আতঙ্কিত করার একটি জনপ্রিয় পদ্ধতি হচ্ছে তাদের বিছানার চাদরের নিচে এমন কয়েকটি সাপ ছেড়ে দেওয়া। )
একদিন প্রবল বৃষ্টিপাতের মধ্যে আমি কোমরসমান কাদাপানিতে। আমি কাঁটাবনের একটি শাখা টেনে ধরি, দেখি এটাকে জড়িয়ে আছে সাপ, বৃশ্চিক, ব্যাঙ ও মেঠো ইঁদুর। বিপদ সবার জন্যই, কেউ কারো কোনো ক্ষতি করছে না। যখন গ্রামের দিকে হেঁটে যাই, প্রায়ই সামনে পড়ে যায় অর্ধনগ্ন সাঁওতালি মেয়েরা—মাথায় খড়ি নিয়ে হেঁটে যাচ্ছে। ভয়ঙ্কর কালো গায়ের রঙ, সুষম দেহগঠন, মঞ্চের নৃত্যশিল্পীদের মতো তারা হেঁটে যায়। গুরুদেব ঠাকুর সাঁওতাল রাজা হিসেবে পরিচিত হতে পছন্দ করেন।
প্রাসাদোপম ভবন উত্তরায়ণে আমরা সপ্তাহে একবার রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের দর্শন পেতাম। তিনি সাধারণত ডেন্টিস্টদের চেয়ারের মতো বড় চেয়ারে বসতেন। আর এই চেয়ার ঢাকা থাকত মশারিতে, ভেতরে কয়েক কাপে ধূপ জ্বলত। নন্দলাল বসু এবং তাঁর মতো আরো ক’জন গুরুত্বপূর্ণ মানুষ গুরুদেবের পা ধরার অনুমতি পেতেন। শিক্ষার্থীরা মেঝেতে বসে তার শশ্রুমণ্ডিত মুখ ও ঘন গোঁফের ভেতর থেকে বেরিয়ে আসা জ্ঞানের মুক্তোবিন্দুর জন্য অপেক্ষা করত।
তিনি কদাচিৎ দু’একটির বেশি বাক্য আমাদের শোনাতেন। আমি এই সাপ্তাহিক আয়োজনটিকে ভুয়া মনে করতাম।
শান্তিনিকেতনে থাকাকালে আমি কলকাতা আসার সিদ্ধান্ত নিলাম। রমা বিশ্বাসের সাথে দেখা করার চেষ্টা করব, তিনি কলকাতায় ছুটি কাটাচ্ছেন। আমাদের দুজনের চিঠিপত্র আদান-প্রদানে একটু প্রেমের ভাব জেগেছিল। আমি ভেবেছিলাম তাকে দেখে আসাটা সুফল বয়ে আনবে। আমি বোলপুর-হাওড়া সপ্তাহান্তে ছুটির দিনের রিটার্ন টিকেট কিনে নিলাম। একটি খামে, ভেতরে আমার কেবল কিছু দশ টাকার নোট ছিল। আমি হাওড়া ব্রিজ পেরিয়ে হেঁটে হেঁটে জনাকীর্ণ বাজারের ভেতর দিয়ে এগিয়ে যাই। তার এপার্টমেন্ট খুঁজে বের করতে আমার তিন ঘণ্টার বেশি সময় লেগে গেল।
আমি দরজার বেল বাজাই। কোনো সাড়া নেই। দরজায় ধাক্কা দিই। কেউ দরজা খুলল না। একজন প্রতিবেশি বেরিয়ে এসে সন্দিহান চোখে আমার দিকে তাকালেন। বললেন, সপ্তাহান্তের ছুটি কাটাতে চলে গেছে।
প্রাসাদোপম ভবন উত্তরায়ণে আমরা সপ্তাহে একবার রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের দর্শন পেতাম। তিনি সাধারণত ডেন্টিস্টদের চেয়ারের মতো বড় চেয়ারে বসতেন। আর এই চেয়ার ঢাকা থাকত মশারিতে, ভেতরে কয়েক কাপে ধূপ জ্বলত। নন্দলাল বসু এবং তাঁর মতো আরো ক’জন গুরুত্বপূর্ণ মানুষ গুরুদেবের পা ধরার অনুমতি পেতেন। শিক্ষার্থীরা মেঝেতে বসে তার শশ্রুমণ্ডিত মুখ ও ঘন গোঁফের ভেতর থেকে বেরিয়ে আসা জ্ঞানের মুক্তোবিন্দুর জন্য অপেক্ষা করত।
আমার নাম লিখে রেখে যাবার জন্য পকেটের খামটার একাংশ ছিঁড়ে ফেলি। কিন্তু পরে দেখে আতঙ্কিত হলাম, খাম ছেঁড়ার সময় আমার নোটও ছিঁড়ে ফেলেছি। ব্যাঙ্ক বন্ধ থাকায় আমি যে এগুলো পাল্টাব তারও কোনো উপায় নেই। কী করব কিছুই সিদ্ধান্ত নিতে না পেরে হাওড়া স্টেশনে ফিরে আসি। আমি কোথায় রাত কাটাব, কী খাব আমার জানা নেই। আমি একটি মারোয়ারি ধর্মশালায় গেলাম। ম্যানেজার নির্দেশ দিলেন, “বেরিয়ে যাও। এটা কেবল মারোয়ারিদের। তুমি তোমাদের গুরদোয়ারা গিয়ে থাকো গে। ”
আমি হাওড়াতে গুরদোয়ারা খুঁজে বের করলাম। অন্যান্য পর্যটকদের সাথে একটি কক্ষে ঘুমানোর সুযোগ করে দিলেন গুরদোয়ারার গ্রন্থি। রান্নাঘর থেকে সরবরাহ করা বিনে পয়সার ডাল-চাপাতি রুটিতে আমার খাওয়া হলো। আমার পাগড়ি পেঁচিয়ে বালিশ বানিয়ে মেঝেতে ঘুমোলাম। কলকাতার হাওড়া ব্রিজ আর শহরের জনাকীর্ণ বাজার ছাড়া আমার আর কিছুই দেখা হয়নি। পরদিন সকালের প্রথম ট্রেনে বোলপুর রওয়ানা হলাম।
সত্যিকারের ভালোবাসার পথ কখনো মসৃণ নয়। তাছাড়া এটাকে ভালোবাসাও বলা যায় না—অপেক্ষাকৃত একজন বয়স্ক নারীর জন্য এক তরুণের কামনার বিস্ফোরণ, সে নারী প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন আমার সমস্যাগুলো সহানুভূতির সাথে শুনবেন।
আমার আবিষ্কার করতে বেশি সময় লাগেনি যে আমার পক্ষে চিত্রশিল্পী হওয়া সম্ভব নয়। কয়েক সপ্তাহ স্কেচ করার চেষ্টা চালিয়ে যাবার পর আমি তা ছেড়ে দিই। সেতারে আমি বরং ভালো করি। আমি সেতার শিক্ষকের কাছ থেকে একটি পুরনো যন্ত্র কিনি, তিনি স্পষ্টতই আমার সাথে এই ব্যবসাতে ভালোই লাভ করেছেন। এরপর তিনি আমার দিকে বেশি মনোযোগ দেন এবং তার বাড়িতে গিয়ে রাগ শুনিয়ে আসার জন্য বলেন। আমি আমার রুমে ঘণ্টার পর ঘণ্টা সেতার চর্চা করতে থাকি—আমার একমাত্র শ্রোতা শ্রীলঙ্কার পুরোহিত। মেহের নামের একটি পার্শি মেয়ের সাথেও আমার বন্ধুত্ব হয়। মেহের আমার বাদন গুনতে এবং আমার সাথে খোশগল্প করতে আসত। বৌদ্ধ পুরোহিত কখনো তার সাথে কথা বলেনি। কিন্তু মেয়েটি চলে যাবার পরপরই আমাকে জিজ্ঞেস করত মেয়েটির সাথে কতদূর এগিয়েছি। “তুমি কি হাত ধরেছো? তুমি কি চুমু খেয়েছো?”
আমার ব্যর্থতার কথা শুনে সেও হতাশ হয়ে পড়ে।
শান্তিনিকেতনে আমার অবস্থান হঠাৎ বন্ধ করে দিতে হয়। আমার চারপাশে মশারি, এবং আমার শরীরের অঙ্গ প্রত্যঙ্গে মশক প্রতিরোধক ক্রিম মাখাবার পরও ভয়ঙ্কর রকম মশার কামড় খেয়ে যাচ্ছি। আমার শরীর মশার কামড়ের দাগে ভরে গেছে। ডাক্তার বললেন, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব শান্তিনিকেতন ছেড়ে যাও। যাদের সাথে আমার বন্ধুত্ব হয়েছে তাদের কাউকে না বলে, বিদায় না নিয়ে, কেবল ভিক্ষু মঞ্জুশ্রীর পা ছুঁয়ে আমি দিল্লি রওয়ানা হলাম। লাহোর কলেজে আমার নতুন টার্ম শুরু হবে; এবার আমার সাথে আছে সেতার এবং তাল নির্দেশ করার মেট্রোনোম।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৮ ঘণ্টা, আগস্ট ৬, ২০১৫