ট্রিগার
গোলাপে গোলাপে অস্থির বাগান
টুপটাপ দু’এক বিন্দু শিশির
ঝরে পড়ার শব্দের ভেতর দুর্বিনীত
রাত্রির ইঙ্গিত।
ভালোবাসাগুলো এমনই,
মৃত্যুগুলো এমনই।
সৌন্দর্যের বহ্নিশীষ থেকে উড়ে আসা
অন্ধকার
কেমন সান্ত্রীর মতো দাঁড়িয়ে থাকে
অবছায়ায়...।
দেখো, আঙুলের গ্রিপ থেকে ট্রিগার ফসকে গেলে
বাতাসের হা-মুখ দিয়ে
বেরিয়ে আসে কী অপরূপ কুহেলিচ্ছটা!
তমা
অমার মাঝে বসে আছে তমা
আবছায়া আপেলগাছে একটি দুটি রোদের কুঁড়ি
চুলের হিল্লোলে বেদনার বসন্ত আছে জমা।
তমা, মুখ তুলে দেখো—আধখাওয়া আপেলের পাশে
ক্ষীণকটী নদীর ঢেউ ছুঁয়ে
তৃষিত জলপিপি এক অবিরাম ভাসে...
ঢেউ সত্য, আরো সত্য নীল আঁধারের ফাঁস
অমার মাঝে বসে থাকে তমা
পাশে আপেলের ডাল ছুঁয়ে গুটিকয় তারার আভাস।
নক্ষত্র জ্বলে, জ্বালায়, ফের নিভে যায়
কালো-বামনের পাশে বসে থাকে তমা
জীবনের অসীম ক্ষমায়...
একটা তুলি, কিছু পালক
উদ্বেগক্ষত রাস্তার ধারে
নিরুদ্বিগ্ন সূর্যাস্ত; বুদ্বুদের মতো কিছু পাখি
ভেসে ওঠে সন্ধ্যায়...
তারপর মিলিয়ে গেলে জলরং
পড়ে থাকে একটা তুলি, কিছু পালক।
ও ক্যানভাস, কিছুই তো ধরে রাখো না
না বিক্ষোভ, না প্রতিঘাত
না সংগত অসংগত বিবিধ আঁচড়
তবু ভারাক্রান্ত হয়ে থাকো
সময়ের আশ্চর্য বক্রতার নিচে।
রাস্তার ধারে তবু তাঁবু ফেলে সভ্যতা,
পালকের অগ্নির নিচে তেতে ওঠে
মাংসের সুঘ্রাণ, সিগ্রেটের ধোঁয়ায়
ঘন হয়ে ওঠে কুহেলি;
অরণ্য কাঁপানো হরিতের ডাকে
এইসব ছবি আহা
ক্লোরোফিলের মতো দুলে দুলে ওঠে!
তারপর শুনশান,
ক্যানভাস ফুঁড়ে একটু একটু করে সূর্য ওঠে
আর তোমার চোখে কী অপূর্ব নির্লিপ্তি নিয়ে
ফের ডুবে যায়।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪০ ঘণ্টা, আগস্ট ১০, ২০১৫