ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিল্প-সাহিত্য

একগুচ্ছ কবিতা | পদ্ম

কবিতা ~ শিল্প-সাহিত্য | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮০৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১২, ২০১৬
একগুচ্ছ কবিতা | পদ্ম

*
এই ঢিমা তাল আর ভাল্লাগে না
মহাসমুদ্রের উত্তাল ঢেউ আমাকে
আজ আর জাগাতে পারে না
আমি ভেঙে গেছি দেশের মতো


হঠাৎ তুই

এক রেস্টুরেন্টে কালো একটা প্রজাপতি
মন ভালো করে দিল আমার।
তুই কে রে নীল?
কালোর ভিতরে লাল চম্বুক!
আকাশ না মৃত্যুর, শেষ না সকালের গান?
দূর পাল্লার জাহাজের তীক্ষ্ণ হুইসেলের ফণা আমার
মনহারা অমানুষ, যন্ত্রাংশের কারাগার।


ছড়ানো কাচের রক্তে রাঙানো
আঁধারের দাগ।


রাস্তায়

মেয়েদের হাত
প্যান্টের জিপার আর
রাষ্ট্রের আইন আমাকে আটকাতে চায়,
লালবাতি আমাকে থামাতে পারবে না।


করলা আমি খাই না

ছোটবেলায় আম্মু জোর করে আমাকে করলা খাওয়াতে চাইত
করলায় নাকি খুব উপকার
কিন্তু সেটা আমি কখনোই বুঝতে চাই নি
এই জন্য আম্মুর হাতে কয়েকবার মাইরও খাইছি
আমার যে সব বন্ধুরা ছোট বেলায় করলা খাইতো না
বড় হয়ে দেখি তাদের অনেকেই করলা খায়
ওরা বলে করলা নাকি খুব মজা
আমি বুঝি না তিতা কিভাবে মজা হয়!
তবে চারুকলায় পড়ার সময় অনেকবার করলা আঁকছি
করলার ড্রইং খুব মজার।


কাওরানবাজার‬

কাওরানবাজারের রুটি তাওয়ার উপরে উঠে
লাফায়ে লাফায়ে নাচে খ্যাম্টা নাচন
ঝাপটা দিয়ে ঐ সপাটে সমান বাড়ি
ধাক্কাধাক্কি বাঁধে ঘোর
আমিও হেলান দিয়ে পাশ ফিরে বাড়ি ভরতি লোক
একদিন ছিল যারা তারাও তো আছে!
এই হাত থামবে না জানি তাই মেশিনের আগে
কড়া পড়ে গেলে আরো ভার নিতে সোজা খুব
বাড়ি ভরতি লোক কচুরিপানার মতো ফুটে আছে।



বাংলাদেশ সময়: ১৮০৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১২, ২০১৬

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।