প্রেমিং লনলি
হাই জীবন
তুমিও
বসে আছো মিটিমিটি
দেখি পৃথিবীর মাঝে কিছু
লজ্জাবতী গাছ
ঝাউবনের চিপায়
সময়
বিষ্টিতে পথঘাট ক্যাতক্যাতা হয়
তাহারো ভিতরে ময়লাঅলা
ময়লাই ঘাটে। সহজে
সিগারেট ফুঁকে সে
আমিও সিগারেট ফুঁকি।
বসে ময়লার গন্ধ হইতে দূরে যাই
এই দূরে যাওয়াটুকু বাদ দিলে আর
কোথায় যাব আমি
এই বিষ্টিতে
আমিও বসে থাকি। বসে থাকি
তোমার দিকে
এইখানে তুমি নাই। দেখি মৃত্যু
আসতেছে তেড়ে, সুরের মতোন
চিক্কন হয়ে
মৃত্যু। দূর হতে চলে আসে তাই
কত যে কাছে আসে আমার
তারে আমি তুমি ভেবে ভুল করি
ভুল করে মৃত্যুটিও যেন
তুমি হয়ে যায়। তোমারে মনে হয়
মৃত্যুর মতোই সহজ। আর
কত না কঠিন তুমি। ও রাণি!
তুমি
আঁখি দুই বুন্দিয়া থাকি আমি
মুন্দিয়া থাকি আঁখিরও পালক
ও পালক বন্ধ করিয়া মুই
তোমারই কথা ভাবি তাই
তুমি মোর কিনারে বসে
আঁখিতে আমার পালকে নীরবে
আস্তে আস্তে পরশ দিতেছো
অপেক্খা
একবার আমি নদটির কিনারে এসে দেখি উদীচী’র ঘর। তাতে কিছু ছেলেরা মেয়েরা গান করতে থাকে বিকালে। আমার তখন নৌকায় চড়তে মনে চায়। তাই দেখি যে সন্ধ্যা হয়ে আসে। সন্ধ্যাটি হইতে হইতে আমি সিঁড়িটুকু মাড়া দিয়া আরেকটু নিচে নামি। নদীর নিকটে চইলা আসি দ্বিধায়। আর ভাবি উদীচী’র ছেলেদের মেয়েদের গান। ভাবি ওই রবীন্দ্রনাথের মতোই একজন লোক। দেখি ওই দূর থেকে গানের শব্দের সাথে কইরা নৌকাগুলা আসে। মনে হয় তারা আর কবে আসবে। আসতে আসতে আমার ঘুম ধইরা যায়। মনে হয় আমি ঘুমায় পড়ি। তখন আর ঘুমাই না নদটির কিনারে দাঁড়ায়ে সন্ধ্যায়। হারমনিয়াম শুনি। হঠাৎ বুঝে ফেলি আমি আর শীতের মৌসুমে নাই। নৌকাগুলাও শীতের মতো আবার দূরে দূরে চইলা যায়। প্রতিপন্ন হই যে শীতকালে চড়া যাবে নৌকায়। বসে পড়ি বিলম্ব না কইরা বরং উদীচী’র গান শুনি। শীতকালের অপেক্ষা করি। আর বিরক্তি নেই মনে মনে। একটা গরমকাল হইতে একটা শীতকালে যাইতে কতগুলা শীত যে পার হইতে লাগে!
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৪, ২০১৬