অফ দ্য রেকর্ড
দুঃখকে বিড়াল বলে মনে হয়। কারণ, বস্তাবন্দি করে বিড়ালটিকে নদীর ওপারে রেখে অাসার পরদিন সন্ধ্যায় দেখি, উঠোনের নিমগাছটা পেরিয়ে দুঃখবিড়াল ফের ঘরে উঠে পড়ছে।
দুঃখকে কতভাবে দেখতে পাওয়া যায়। দুঃখ চিক চিক করে জ্বলে, নাকছাবিতেও। ব্যক্তিগতভাবে, দুঃখকে অামার পেতে ইচ্ছে করে। দুঃখ পেতে চেয়ে কতরাত ঘুমাইনি, বলো? দুঃখকে অামার দেখতে ইচ্ছে করে, দুঃখকে অামার পড়তে ইচ্ছে করে। দুঃখরা গান হয়ে যায়। দুঃখ কার কাছে যায়?
অায়নায় তাকিয়ে দেখি দুঃখ, হাসতে চেয়েও হাসতে পারছে না। দুঃখ নির্বাক যুগের চিত্রের মতো নিজে নিজেকে দেখছে। দুঃখের চোখের নিচে কালি, চারপাশে লোক তবু খালি খালি খালি...তারপরও দুঃখকে নিয়ে কথা বলি, কারণ, বিড়ালটিকে দেখলেই মনে হয় যে, অারে, একে তো অামি চিনি, নদীর ওপারে ফেলে এসেছিলাম, তবু সে পরদিনই চলে এসেছিল। সে এক রহস্য, এই বিড়াল এই দুঃখ অামার কীরকম অাত্মীয়া, কীরকম পরিচিতা?
একদিন তোমাকে বলব, কোন প্রহরে রচিত প্রতিটি দুঃখই নিটোল কবিতা!
স্বাধীনতা পেলে
অারেকটু স্বাধীনতা পেলে
অামি অাকাশই ছুঁয়ে ফেলব
অারেকটু স্বাধীনতা পেলে
বলব, চল পাহাড় ডিঙিয়ে যাই
অার অারেকটু স্বাধীনতা পেলে
একা, নিজের মধ্যেই ডুবে মরব
বাংলাদেশ সময়: ১৭০৬ ঘণ্টা, মার্চ ১৬, ২০১৬