একদিন সত্যি সত্যিই উদাস হবো:
বিস্মরণের ওপার থেকে পাললিক চোখে
দেখে নেবো
তোমাকেই:
স্মৃতির প্রদোষে
সূর্যাস্তের মেঘছায়া রোদে
পুরনো অ্যালবামে
কিংবা তোমার চোখের সিনেমাস্কোপ পর্দায়:
ঝাপসা বায়োস্কোপ
সামাজিক ঝঞ্ঝা-ঝড় অথবা প্রাত্যহিক আড়মোড়া
শার্টের বোতাম-বোতাম ছলা-কলা-আলো-ছায়া
শৈশব আতশি কাঁচময় আজকের বিশ্বায়ন মঞ্চে:
বেলা-অবেলায় খেলায় খেলায়
তোমায়-আমায় এবং এ বিশ্ব লয়ে
কী খেলা চলছে হে
দেখে নেবো ঠিক ঠিক, একদিন।
আজ সেই একদিন
দীর্ঘ শীতঘুম শেষে জাগবো আজ; এই বসন্তে;
লতার অতীত লহরী ও সুর ভেঙে পল্লবের হিমহিম কঙ্কাল মাড়িয়ে
গোপন কুয়াশা কুহক অবলীলায় দেবোই পাড়ি;
পৌঁছাবো তোমার বাড়ি বরফাবৃত ভূগোলে
সাথে নিয়ে ঋতুর উষ্ণতা;
তুষার পতন থামিয়ে সত্যিই
একদিন দেবোই উদাসী ডাক
কানেকানে:
‘কুহু’...
অনন্ত জীবন যদি
কাছে আসে
লুকোবো তোমার মুঠোর সিন্দুকে
অনন্ত বসন্তে
কুহু কুহু রবে
কুজনে কুজনে...
একদিন শীত শেষে তোমার-কোকিল হবো
তোমারই বুকের ভাঁজে
অন্তর্গত বাসন্তি বাগানে
কুহু রব কুজনে কুজনে...
জীবনে বসন্ত যদি দোলা দেয়
হাতছানি দিয়ে ডাকে কাছে:
আবার কোকিল হবো
রাত জেগে গান গাবো কুহু সুরে
তোমারই শরীরের গাছে
অনন্ত আকাশের তলে।
একদিন শীত শেষে তোমার-কোকিল হবো
তোমারই বুকের ভাঁজে
অন্তর্গত বাসন্তি বাগানে
কুহু রব কুজনে কুজনে:
একদিন ঠিক ঠিক দেখবো তোমাকে
একদিন ঠিক ঠিক গাইবো তোমাকে;
উদাসী হয়ে বসন্তের মাতাল বাতাসে
একদিন ঠিক ঠিক মিশে যাবো নিসর্গে;
একদিন ঠিক ঠিক উড়ে যাবো আকাশে
পাখির ডানায় ভেসে কুহু রব কুজনে কুজনে;
একদিন মাঝরাতে ঠিক ঠিক ঠিকই
ঠিক ঠিক দেখে নেবো দুজনে দুজনে।
বাংলাদেশ সময়: ২০০১ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৯, ২০১৬
এসএনএস