শুধু শহরের বিদ্যালয়গুলোতে দেয়াল পত্রিকা বের করলেও গ্রামের বিদ্যালয়গুলোতে এর প্রভাব খুবই কম। কিন্তু মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সেকেন্ডারি এডুকেশন কোয়ালিটি অ্যান্ড অ্যাকসেস এনহেন্সমেন্ট প্রজেক্টের (সেকায়েপ) পাঠাভ্যাস উন্নয়ন কর্মসূচি বার্ষিক কর্মসূচির মূল্যায়ন কর্মশালার পাশাপাশি দেয়ালিকা উৎসবের আয়োজন করে।
নাজিরপুর বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মাঠে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের আয়োজনে উপজেলার ৬৬টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ক্ষুদে লেখিয়াদের হাতে ফুটে ওঠে চমকপ্রদ সব দেয়ালিকা।
নাজিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রেজাউল করিমের সভাপতিত্বে কর্মশালায় প্রধান অতিথি ছিলেন- উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. নজরুল ইসলাম খান। বিশেষ অতিথি ছিলেন- সেকায়েপের প্রকল্প কর্মকতা মাহফুজা ইয়াসমিন। অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো. মশিউর রহমান।
মঙ্গলবার (১০ জানুয়ারি) সকালে প্রধান অতিথি মো. নজরুল ইসলাম খান উপজেলার ৬৬টি প্রতিষ্ঠানের প্রধান ও সংগঠকদের নিয়ে এক উৎসবমুখর পরিবেশে দেয়ালিকা উৎসবের উদ্বোধন করেন। পরে অতিথিরা ঘুরে ঘুরে সবগুলো প্রতিষ্ঠানের দেয়াল পত্রিকা দেখেন।
এরপর প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর মো. শহিদুল ইসলাম পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে সেকায়েপ প্রকল্প ও পাঠাভ্যাস উন্নয়ন কর্মসূচির লক্ষ্য-উদ্দেশ্য ও কার্যক্রম তুলে ধরেন।
কর্মশালায় উপস্থিত সবাইকে একটি করে পাঠাভ্যাস উন্নয়ন কর্মসূচির নোট বই, কলম, অনুষ্ঠানসূচি ২০১৭ সালের কার্যক্রমের কর্ম পরিকল্পনা ও পাওয়ার পয়েন্ট উপস্থাপনার মুদ্রিত কপি দেওয়া হয়।
প্রোগ্রাম অফিসার রিপন আহসান জানান, উপজেলার ৬৬টি প্রতিষ্ঠানে এ কর্মসূচির আওতায় বই পড়া সদস্য সংখ্যা বর্তমানে ৯ হাজার ৩৮৮ জন। এ বছরে মূল্যায়ন পরীক্ষায় উপজেলার সব প্রতিষ্ঠানই শতভাগ উপস্থিতি নিশ্চিত করে।
পুরো অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন রিপন আহসান।
বাংলাদেশ সময়: ২২০৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১১, ২০১৭
আরবি/এইচএ/