শব্দহীন পশ্চাতে কোলাহল নদী ছেড়ে
অতীত মিছিলে নির্মেদ মেঘের শুনিছে কান্না!
সেই থেকে কথা বলা পুতুল আর হাসে না!
ও প্লাবনের সুখ! জানো কোথায়; কোথায় আমার নির্বাসন?
কোন ঘাটে, কোন বাটে?
কানাগলি পথে পথে ছড়াই ভ্রম। দণ্ডে সাজাই মুখ আমার!
উল্টো চোখে আর্শিকোণে দেখি অন্ধ ফটোগ্রাফ!
সাদাকালো অথবা সাদা, কালো!
তোমার রোগা চোখে ভয়ংকর অসুখ
নির্মুক্ত মোহ আছে অথবা আছে আজলা চোখের আঁশ!
গড়িয়ে পড়া ফোঁটায় ফোঁটায় লাল!
প্রেমহীন সোহাগ মাতম!
মধ্যরাতের প্রেম, বানেছা পরীর দেশে যাও
উন্মত্ত আশ্রয়ে ভেঙে পড়ো সজোরে
এরপর জাপটে ধরো মুখ, রোধ করো শ্বাস!
গহর বাদশা নির্বাসনে আছে পরী, অনন্ত রাজপুর তাই তোমার!
এবার আমার চণ্ডাল হাতে লেগেছে বোধিস্বত্ব রং
গাঢ় জমাট!
আমি সুখী হই চলছে আত্মার নির্বাসন এবার।
ধুলোয় মলিন আচম্বিত ¯পর্শে –
ক্ষত-প্রেম বুকে নিয়ে নাচে না মাতঙ্গী বিহঙ্গী সাজে!
দুহাতে বাঁধা অষ্টক মন গলেছে জোছনার জলে!
ভেসে ভেসে থাক, গলে গলে যাক!
আঁচল জুড়ে সেকেলে তৃষ্ণা
না বাঁধি না সাধি।
রাত দেখি, ফেনিল গর্জনে হুসহাস বাতাস কাঁদে
আমার উল্টো বোধেরা এবার নোঙর ফেলেছে সেই পুরনো
বেহুলার ঘাটে!
দেখেছি তোমার তামাটে বুকের প্রেমরঙ!
কুচ্ছিত বড়!
সবুজ ছেড়েছে পথ তোমার!
গায়ে ঢোলা জামায় কেবলি খয়েরি আবরণ!
দেখো চেয়ে -
রাত ভুলে রেখে যাই সুখঘর, জমাট অন্ধকারে নেই আর
তোমাতে আমার অবোধ প্রেম আলাপন!
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৫ ঘণ্টা, আগস্ট ৩১, ২০১৭
এসএনএস ।