ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিল্প-সাহিত্য

রংধনুর সাত রং দৃক গ্যালারিতে!

ফিচার রিপোর্টার | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩০৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২১, ২০১৭
রংধনুর সাত রং দৃক গ্যালারিতে! প্রদর্শনী ঘুরে দেখছেন দর্শনার্থীরা। ছবি: হোসাইন মোহাম্মদ সাগর

ঢাকা: প্রদর্শনীর নামের মধ্যে ‘রংধনু’ থাকলেও পুরো গ্যালারির একটি ছবিতেও রংধনু নেই। তবে হুবুহু রংধনু ছাড়াও যে রংধনু হতে পারে এবং রংধনুর সাতটি রঙে প্রকৃতি তার নিজেকে যে কতটা সুন্দর করে সাজিয়ে তুলতে পারে- তারই অনন্য এক বিশ্লেষণ যেন ‘স্পা ট্যুর ডি রেইনবো’ চিত্র প্রদর্শনী।

ভ্রমণপিপাসুদের চোখে প্রকৃতির সাধারণ সৌন্দর্যই উঠে এসেছে এখানে। সাধারণ মানুষ রংধনু কীভাবে দেখে, তার জন্যই যেন এ প্রদর্শনী।

যা দেখে মুগ্ধ হবেন যে কেউ।

ঘুরতে যাওয়ার প্রবণতা আগের চেয়ে বেড়েছে অনেকাংশে। আর সেই ঘোরাঘুরির সময়গুলোকে স্মৃতি হিসেবে স্মরণে রাখতে কত আয়োজন! এর মধ্যে অন্যতম হলো ছবি তোলা। তবে কি শুধু নিজের ছবি? প্রকৃতির কোনো রূপ দেখে মুগ্ধ হয়ে অপরূপ প্রকৃতির ছবিও তোলেন ভ্রমণপিপাসুরা। আর সেই সব ছবি নিয়েই আয়োজন এ চিত্র প্রদর্শনীর।

মাছরাঙার পালকের রং, শঙ্খচিরের ডানার গন্ধ, পাহাড়ি নদী, ঝরনা, গ্রামের মেঠোপথ, রাখাল বালক, পাখির ছানা, শাপলার বিল আর প্রজাপতির ডানা যেন প্রদর্শনীর নামে থাকা রংধনুরই আরেক রূপ। তাইতো প্রদর্শনী দেখতে এসে প্রকৃতির সেই রূপেই যেন মুগ্ধ হলেন ড্যফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী মারিয়া আলম, এস কে সুকান্তসহ তাদের বন্ধুরা।

প্রদর্শনী ঘুরে বাংলানিউজের সঙ্গে কথা হলে তারা বলেন- প্রকৃতি যে কত সুন্দর, তার রংগুলোর যে কত মাধুর্য, এই প্রদর্শনীর ছবিগুলো যেন তারই প্রমাণ। ইট-পাথরের এ শহরে এমন একটা আয়োজন, প্রকৃতিকে মানুষের কাছে আনার চেষ্টাটা যেন সফল। তা না হলে প্রকৃতির এই রং-রূপে মনে প্রশান্তি আসতো না!’

একই কথা বললেন আরেক দর্শনার্থী ফৌজিয়া রহমান সিঁথি। তিনি বলেন, প্রফেশনাল ফটোগ্রাফাদের বাইরে ভ্রমণপিপাসু মানুষের চোখে ধরা পড়া প্রকৃতির সৌন্দর্যবোধই উঠে এসেছে এ প্রদর্শনীতে। ফলে প্রকৃতির প্রকৃত রূপটা একদমই সাধারণভাবে উঠে এসেছে এখানে। আর এটাই এ প্রদর্শনীর সবচেয়ে বড় সৌন্দর্য।

প্রদর্শনীতে স্থান পাওয়া আলোকচিত্রসম্প্রতি পুরো আগস্টজুড়ে স্পা ড্রিংকিং ওয়াটার তাদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি প্রতিযোগিতার আয়োজন করে। প্রতিযোগিতায় জমা পড়া ৫শ জন প্রতিযোগীর প্রায় ১৮শ ছবি থেকে এ প্রদর্শনীতে স্থান পেয়েছে ৪৫ জনের ৯০টি চিত্রকর্ম। আর এই ৪৫ জনের মধ্য থেকে বিচারকদের রায়ে প্রথম ১৫ জন স্পা ড্রিংকিং ওয়াটারের সৌজন্যে সুযোগ পাবেন ভারতের মেঘালয় ভ্রমণের। বাংলানিউজকে এমনটাই জানালেন স্পা ড্রিংকিং ওয়াটারের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর রেজাউল করিম।

ধানমন্ডির দৃক গ্যালারিতে বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) শুরু হওয়া এ চিত্র প্রদর্শনী চলবে শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) পর্যন্ত। এছাড়া প্রতিদিন বিকেল ৩টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত এ প্রদর্শনী সবার জন্য উন্মুক্ত বলেও জানান তিনি।

বাংলাদেশ সময়: ১৯০২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২১, ২০১৭
এইচএমএস/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।