ঢাকা, শনিবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিল্প-সাহিত্য

দুই বাংলার মেলবন্ধন হবে গঙ্গা-যমুনা নাট্যোৎসব

ফিচার রিপোর্টার | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯৫৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ৪, ২০১৭
দুই বাংলার মেলবন্ধন হবে গঙ্গা-যমুনা নাট্যোৎসব সাংবাদিক সম্মেলনে অনুষ্ঠান সংশ্লিষ্টরা/ছবি: কাশেম হারুন

ঢাকা: সংস্কৃতিমনা মানুষদের মধ্যে তাদের নিজস্ব সংস্কৃতি বিনিময়ের মাধ্যমে মেলবন্ধন গড়ে ওঠে। আর সেই মেলবন্ধন যখন দু’টি দেশের মধ্যে হয়, তখন তা দেশের সংকট নিরসনেও কাজ করে। সংস্কৃতি বিনিময়ে গঙ্গা-যমুনা নাট্যোৎসবের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ-ভারতের পারস্পারিক সম্পর্ক আরও দৃঢ় হবে।

এমনটা বলছিলেন গঙ্গা-যমুনা নাট্যোৎসবের আহ্বায়ক ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব গোলাম কুদ্দুস।

বুধবার (৪ অক্টোবর) দুপুরে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির সেমিনার কক্ষে গঙ্গা-যমুনা নাট্যোৎসব ২০১৭ নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

 

দেশের বাইরে থেকে শিল্পী আনার ক্ষেত্রে আমলাতান্ত্রিক জটিলতার কথা উল্লেখ করে সরকারের পক্ষ থেকে তা আরও সহজ করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন ইন্ডিয়া বাংলাদেশ নাট্য ফাউন্ডেশন পরিষদ ও ভারতীয় হাইকমিশনের তানজীম আহমেদ রিজভী, বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক জোটের ঝুনা চৌধুরী, সম্মিলিত সাংস্কৃতি জোটের সেলিম সামসুল হুদা চৌধুরী, বাংলাদেশ পথনাটক পরিষদের মিজানুর রহমান, বাংলাদেশ আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদের রফিকুল ইসলাম, গঙ্গা যমুনা নাট্যোৎসবের মীর জাহিদ হাসানসহ সংস্কৃতি অঙ্গনের বিশিষ্ট ব্যক্তিরা।

বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি প্রাঙ্গণে আগামী ৬ থেকে ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত ১০ দিনব্যাপী হবে এবারের গঙ্গা-যমুনা নাট্যোৎসব। সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়, ইন্ডিয়া বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন এবং বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির সহযোগিতায় অনুষ্ঠেয় গঙ্গা-যমুনার এটি ষষ্ঠ আয়োজন। যা দুই বাংলার শিল্পী কলাকুশলীদের পারস্পরিক আত্মার বন্ধনকে আরও দৃঢ় করবে বলে জানানো হয় সংবাদ সম্মেলনে।

বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালা মিলনায়তন, পরীক্ষণ থিয়েটার হল ও স্টুডিও থিয়েটার হলে ভারতের ৩টি ও ঢাকার ২৬টিসহ মোট ২৯টি নাট্যদলের নাটক মঞ্চায়িত হবে এবারের উৎসবে। এছাড়া উৎসব প্রাঙ্গণের উন্মুক্ত মঞ্চে ৬৩টি সংগঠনের আবৃত্তি, সংগীত, নৃত্য ও পথনাটকের পরিবেশনা থাকছে বলেও জানান উৎসব আয়োজক কমিটি।

৬ অক্টোবর সন্ধ্যায় উৎসবের উদ্বোধন করবেন দেশ বরেণ্য অভিনেতা, নির্দেশক আলী যাকের। এসময় সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর, শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী এবং বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার হর্ষ বর্ধন শ্রিংলাসহ বিশিষ্টজনেরা উপস্থিত থাকবেন বলে জানানো হয়। উৎসব উৎসর্গ করা হয়েছে সদ্য প্রয়াত কলকাতার অনীক নাট্যদলের প্রধান নাট্যজন অমলেশ চক্রবর্তীর উদ্দেশ্যে।

নাট্যোৎসব দিয়ে শুরু হওয়া এ উৎসব বর্তমানে সাংস্কৃতিক অঙ্গনের একটা অনন্য আন্দোলনের রূপ নিয়েছে বলে জানান বক্তারা। ইতোমধ্যে এটি একটি সাংস্কৃতিক উৎসবে পরিণত হয়েছে বলেও মন্তব্য করেন বিশিষ্টজনেরা। বর্তমান সময়ের মঞ্চনাটকগুলোতে দর্শকদের চাহিদা পূরণ হচ্ছে উল্লেখ করে এ আয়োজনে দর্শকদের আমন্ত্রণ জানান তারা।

এবারের উৎসবে মঞ্চনাটক, যাত্রা, নৃত্য, আবৃত্তি, সঙ্গীত, মুকাভিনয় ও পথনাটকে ভারত ও বাংলাদেশের মোট ৯২টি দল অংশগ্রহণ করবে। উন্মুক্ত মঞ্চের সাংস্কৃতিক পর্ব প্রতিদিন বিকেল চারটা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টা পর্যন্ত এবং মঞ্চনাটক শুরু হবে প্রতিদিন সন্ধ্যা সাতটায়।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৫২ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৪, ২০১৭
এইচএমএস/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।