আমার পুত্রের জন্মদিনে ইচ্ছা ছিলো তুলবো ছবি পুবের ধানি মাঠে, আমার পুত্রের জন্মদিনে ইচ্ছা ছিলো ঘুরতে যাবো মনু নদীর চরে। মনে ছিলো মাখবো গিয়ে লেখাবিলের হাওয়া, পুবের ধানি বিল পেরিয়ে অনেক দূরের গ্রাম ছাড়িয়ে ধরবো গিয়ে উড়াল দেওয়া শীতের পাখির ছায়া।
আমার পুত্রের জন্মদিনে ডেকে উঠবে ঘুঘু পাখি টিনের চালায় বসে, ছাতিম গাছে বসবে এসে শালিক পাখির দল, উড়াল দেবে তবলা শতজালালী কইতর। তিরতিরে ওই জলের উপর ফুটে উঠবে কলমি ফুলের রং! বলবে হেঁকে গাছগাছালি, বলবে ডেকে পাখপাখালি জন্মদিন আজ তোর।
হেনোতেনো কতো কিছুই ইচ্ছা ছিলো ঘরহারা এই বুকের ভিতর।
হুরুবেলা
আমি যখন ছোট্ট ছিলাম, শুকতারাকে ভেবেছিলাম দূর আকাশের চোখ! সাতটি তারা কাদের বুবু ভাবতে বসে শুধুই পেতাম কাজলা দিদির মুখ।
নয়া চাঁদকে ভেবেছিলাম ফুফুর গলার হার, ভরা চাঁদকে ভেবেছিলাম ঘরটি দাদী মার! জোনাক দেখে ভেবেছিলাম রাতের নাক ফুল সে কি তবে রুপার নোলক, না কি আমার ভুল!
আমি যখন ছোট্ট ছিলাম, আসলে আমি চাঁদ দেখিনি, জোনাক তারা তাও দেখিন আমি শুধু যা চেয়েছি তা দেখেছি, স্বীকার করে নিলাম।
এখন আমি চাঁদকে দেখি, কেবল ফাঁকা চাঁদ! এখন আমি তারা দেখি, কাজলা দিদি বাদ! এখন আমি জোনাক দেখি, শুধুই জোনাক যা হুরুবেলার মতো কেনো চাঁদ জোনাক আর তারা ছাড়া কিচ্ছু দেখি না!
বাংলাদেশ সময়: ১৩৪৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৭, ২০১৭
এসএনএস