বৃহস্পতিবার (১৭ জানুয়ারি) সকাল ১১টায় বাংলাদেশে শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালায় এ সম্মেলনের উদ্বোধন করেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর।
উদ্বোধন শেষে আলোচনা পর্বে মন্ত্রী বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে অনেকগুলো সাহিত্য সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
আসাদুজ্জামান নূর বলেন, সাহিত্যের এ সম্মেলনগুলো আমাদের মাটির সঙ্গে সম্পৃক্ত। তবে একটা বড় বিষয় যা লক্ষ্য করি, তা হলো নির্দিষ্ট কয়েকজন বা অতিথিরা ছাড়া ইদানিং এ সম্মেলনে সাহিত্যিকদের অংশগ্রহণ অনেক কম। অনেক বড় বড় আয়োজনেও দেশের বরেণ্য সাহিত্যিকদের হাতেগোনা কয়েকজন ব্যতীত আর কাউকে চোখে পড়ে না।
এ সময় রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের আধিকারিক ঋতিক ব্যানার্জি বলেন, সর্ববঙ্গীয় লেখক শিল্পী সম্মেলনের মতো বড় আয়োজন বর্তমানে খুব কমই হচ্ছে। বাংলাদেশে এ ধরনের চর্চা চালু আছে এবং তা নিয়মিত দেখে ভালো লাগছে।
বাংলাদেশের আতিথেয়তায় মুগ্ধতা প্রকাশ করে তিনি বলেন, আতিথেয়তা হিসেবে যতটুকু ভেবেছিলাম, তার থেকে অনেক বেশিই পেয়েছি। সত্যি বললে বাংলাদেশের আতিথেয়তায় আমাদের প্রাপ্তির ঘড়া পূর্ণ।
অনুষ্ঠানের সভাপতি ও বিশিষ্ট কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন বলেন, সাহিত্য সম্মেলনের মধ্য দিয়ে আমাদের এক দেশের শিল্প-সাহিত্যের সঙ্গে অন্য দেশের শিল্প-সাহিত্যের বিনিময় ঘটে। এটা এ অঙ্গনের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার। আগামীতেও এ ধরনের আয়োজন অব্যাহত থাকবে।
এর আগে প্রদীপ জ্বেলে বঙ্গীয় সাহিত্য সংস্কৃতি সংসদের সর্ববঙ্গীয় লেখক শিল্পী সম্মেলন ১৪২৪ এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়। পরে শুরু হয় আলোচনা পর্ব।
আলোচনা অনুষ্ঠানে দর্শকমুগ্ধতা বাড়াতে আয়োজন করা হয় আবৃত্তি ও নৃত্যের। নৃত্য পরিবেশন করেন কথামালা সংগীত নৃত্য পরিষদ, রাচ্যাল প্রিয়াংকা পেরিস ও কলকাতার শিল্পীবৃন্দ। আবৃত্তি করেন বঙ্গীয় সাহিত্য সংস্কৃতি সংসদের শিশু কিশোরেরা।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বঙ্গীয় সাহিত্য সংস্কৃতি সংসদের সাধারণ সম্পাদক কামরুল ইসলাম। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন রূপা চক্রবর্তী।
বাংলাদেশ সময়: ১৫১৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৭, ২০১৮
এইচএমএস/এমজেএফ