সৃজনশীল মনের কৃতিত্ব হলো রেখা দিয়ে কোনো বাস্তব বা কাল্পনিক প্রসঙ্গকে উপস্থাপন করা। এ নিপুণতা নানান অর্থ ও ব্যাখ্যায় বিকশিত।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের ১৯৭৫-৮০ সালের গ্রাজুয়েট শিক্ষার্থী তারা। তাদের রং-তুলির আঁচড়েই বর্তমানে সজ্জিত জয়নুল গ্যালারি-২।
বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় এ প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন বরেণ্য চিত্রশিল্পী রফিকুন নবী।
এসময় তিনি বলেন, এ ছাত্রদের অনেকেই চুল পাকিয়েছে, নিজেকে বৃদ্ধ বলে দাবি করে। তবে তারা সবাই একত্রিত হয়ে যে এরকম একটি প্রদর্শনী করছে তা প্রসংশনীয়। এর ফলে বন্ধুদের মধ্যে আত্মিক যোগাযোগটা যেমন আরো মধুর হবে, তেমনি কাজের ফাঁকে ফাঁকে ছবি আঁকার ইচ্ছেটাও প্রাধান্য দেওয়া হবে। এতে প্রত্যেকেরই নিজের মূল্যায়ন বাড়বে। একে অপরের সঙ্গে নিজেদের ছবি নিয়ে আলোচনা করবে, যা শিল্পের জন্য অনেক অনেক বড় ব্যাপার।
এসময় তিনি কথা বলেন শিল্পীদের ছবি আঁকা নিয়ে। রনবী বলেন, এই ছবিটা ভালো না, ওই ছবিটা খারাপ, এমন কথা বর্তমান সময়ে বলা যায় না। কখন কার কাছে কোন ছবি ভালো লাগে তা কেউই বলতে পারে না। তবে শিল্পীর নিজের মধ্যে অবশ্যই তুলনামূলক বিবেচনা থাকতে হবে, যা দিয়ে শিল্পী নিজেকে উন্নীত করতে পারবে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন চিত্রশিল্পী অধ্যাপক আবুল বারাক আলভী ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক নিসার হোসেন। প্রদর্শনীতে অংশগ্রহণকারী শিল্পীদের পক্ষে এসময় স্বাগত বক্তব্য রাখেন শিল্পী রেজাউন নবী।
তিনি বলেন, দীর্ঘ সময় পার করে এসে এখন আমাদের অনেক বন্ধুই বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। অনেকেই আছেন দেশের বাইরে, ফলে সবাইকে একত্রিত করা সম্ভব হয়নি। যতটুকু পেরেছি, তারা সবাই মিলেই চেষ্টা করেছি একটা কিছু করার।
প্রদর্শনীতে শিল্পীদের বিভিন্ন সময়ে আঁকা প্রায় ৫০টি চিত্রকর্ম স্থান পেয়েছে। যা শিল্পানুরাগীদের ভালোলাগার আবেশে পৌঁছে দিতে সক্ষম বলেই মনে করেন শিল্পীরা।
প্রদর্শনী শেষ হবে আগামী ৩০ জানুয়ারি। সবার জন্য উন্মুক্ত এ প্রদর্শনী খোলা থাকবে প্রতিদিন দুপুর ১২টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৫, ২০১৮
এইচএমএস/এএ