বুধবার (৩১ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় লালমাটিয়ার বেঙ্গল বই প্রাঙ্গণে এ পুরস্কার দেওয়া হয়। প্রথমবারের মতো এবছরই দেওয়া হচ্ছে ‘জীবনানন্দ-ভুমেন্দ্র গুহ পুরস্কার’।
পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে ড. আনিসুজ্জামানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রবীন্দ্র-বিশেষজ্ঞ মার্টিন কেম্পশেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে মঞ্চে ছিলেন বেঙ্গল ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান আবুল খায়ের এবং কালি ও কলম সম্পাদক আবুল হাসনাত।
শুরুতেই পুরস্কার প্রবর্তনের প্রেক্ষাপট তুলে ধরেন বেঙ্গল ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক লুভা নাহিদ চৌধুরী। এসময় মার্টিন কেম্পশেনকে পরিচয় করিয়ে দেন আবুল হাসনাত।
অনুষ্ঠানে রবীন্দ্রনাথ বিষয়ে একক বক্তৃতা রাখেন জার্মান বংশোদ্ভূত রবীন্দ্র গবেষক মার্টিন কেম্পশেন। তিনি প্রায় ৪০ বছর ধরে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সাহিত্যকর্ম নিয়ে গবেষণায়রত আছেন, অনুবাদ করেছেন গুরুত্বপূর্ণ রবীন্দ্র-সাহিত্য।
তিনি বলেন, ‘রবীন্দ্রনাথের গীতাঞ্জলি পাঠ করে আমি বিমুগ্ধ হয়ে যাই। তখনও বুঝতে পারিনি যে রবীন্দ্র-সাহিত্য আমার জীবনের এতো বড় অংশ হয়ে উঠবে। পরে রবীন্দ্রনাথের বাংলা কবিতা ও তার অনুবাদ পড়ে আমি বাংলা পঙক্তি ও ছন্দের শক্তির জায়গাটা অনুধাবন করতে পারি। ’
অনুবাদক হিসেবে নিজের অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন তিনি। ‘রবীন্দ্রকাব্যের একনিষ্ঠ পাঠক হিসেবে অনুবাদ করতে গিয়েও জটিলতার মুখে পড়তে হয়েছে। বাংলা ভাষা ও ছন্দ যুগপদভাবে ইউরোপীয় ভাষায় অনুবাদ করা কঠিন ছিলো। অনুবাদ করতে গিয়ে আমিও নিজের মধ্যে সত্যিকারের কবিত্ব অনুভব করি’।
আলোচনা শেষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সৈয়দ মোহাম্মদ শাহেদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন অতিথিরা। পুরস্কার হিসেবে এক লাখ টাকা, স্মারক ও একটি সনদ দেওয়া হয়।
অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে ড. আনিসুজ্জামান বলেন, মার্টিন কেম্পশেন নিজে কবি না হলেও তার মধ্যে একজন কবি লুকিয়ে আছে। সৈয়দ মোহাম্মদ শাহেদের বই নতুন চর্যাপদ বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস নিয়ে যারা গবেষণা করেন তাদের বিশেষ কাজে আসবে। কেননা এ ধরণের গবেষণা বাংলা সাহিত্যে বিরল।
বাংলাদেশ সময়: ০১৩০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০১, ২০১৮
এইচএমএস/জেডএস