ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিল্প-সাহিত্য

শিল্পকলা পদক পাচ্ছেন ৭ গুণী শিল্পী

ফিচার রিপোর্টার | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১১৯ ঘণ্টা, মে ২৭, ২০১৮
শিল্পকলা পদক পাচ্ছেন ৭ গুণী শিল্পী পুরস্কারপ্রাপ্ত সাত গুণীজন

ঢাকা: দেশের শিল্প-সংস্কৃতির ক্ষেত্রে জাতীয় পর্যায়ে বিশেষ অবদান রাখার জন্য সাত গুণী শিল্পীকে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির পক্ষ থেকে দেওয়া হচ্ছে ‘শিল্পকলা পদক-২০১৭’।

এবছর শিল্পকলা পদকপ্রাপ্ত গুণীজনেরা হলেন- কণ্ঠসঙ্গীতে মিহির লালা, যন্ত্রসঙ্গীতে মোহাম্মদ আলাউদ্দিন মিয়া, নাট্যকলায় এস এম মহসীন, লোকসংস্কৃতিতে কাঙ্গালিনী সুফিয়া বেগম, চারুকলায় চন্দ্র শেখর দে, ফটোগ্রাফিতে নাসির আলী মামুন এবং নৃত্যকলায় শর্মিলা বন্দ্যোপাধ্যায়।

রোববার (২৭ মে) দুপুরে জাতীয় শিল্পকলা একাডেমিতে সংবাদ সম্মেলনে এবছর সম্মাননাপ্রাপ্তদের নাম ঘোষণা করা হয়।

 

সংবাদ সম্মেলনে ‘শিল্পকলা পদক-২০১৭’ এর বিস্তারিত তুলে ধরেন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির সচিব জাহাঙ্গীর হোসেন চৌধুরী ও উপ-পরিচালক (অর্থ ও হিসাব) মো. শহিদুল ইসলাম।

আগামী ২৮ মে সোমবার দুপুর ২টায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালা মিলনায়তনে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ গুণীশিল্পীদের হাতে সম্মাননা তুলে দেবেন বলে জানানো হয় সংবাদ সম্মেলনে। শিল্পকলা পদকের জন্য নির্বাচিত গুণীজনদের প্রত্যেককে একটি স্বর্ণপদক, এক লাখ টাকা সম্মানী ও একটি সনদ দেওয়া হবে।

সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. নাসির উদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন সংস্কৃতি মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর। স্বাগত বক্তব্য রাখবেন শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী। আলোচনা পর্ব ও সম্মাননা শেষে অনুষ্ঠিত হবে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির শিল্পীদের পরিবেশনায় অ্যাক্রোবেটিক প্রদর্শনী।

লিয়াকত আলী লাকী জানান, নীতিমালা অনুযায়ী ১৬ সদস্যের কমিটি প্রতিবছর সম্মাননার জন্য গুণীজন নির্বাচন করেন। গুণীজনদের কর্ম মূল্যায়ন করে সংস্কৃতির বিকাশ সাধনে এ সম্মাননা দেওয়া হয়। এছাড়া প্রতিটি জেলায় শিল্পকলা একডেমির মাধ্যমে প্রতিবছর সারাদেশে ৩২০ জন গুণীব্যক্তিকে 'জেলা শিল্পকলা পদক' দেওয়া হয়।

তিনি বলেন, সম্মাননার জন্য তালিকাভুক্ত ক্ষেত্র ১০টি। এগুলো হলো- কণ্ঠসঙ্গীত, যন্ত্রসঙ্গীত, নৃত্যকলা, নাট্যকলা, চারুকলা, আবৃত্তি, ফটোগ্রাফি, যাত্রাশিল্প, চলচ্চিত্র ও লোকসংস্কৃতি। তালিকাভুক্ত ক্ষেত্র থেকে নির্বাচিত সাতটি ক্ষেত্রে প্রতিবছর ‘শিল্পকলা পদক’ দেওয়া হয়। এছাড়া আগামী বছর থেকে সংগঠক, সংগঠন ও লোক সাহিত্য গবেষক; এ তিনটি ক্ষেত্র যুক্ত হবে। অর্থ্যাৎ, মোট ১৩টি ক্ষেত্রে ১০ জন গুণীব্যক্তিকে এ সম্মাননা দেওয়া হবে।

বাঙালি জাতির প্রতিটি সংগ্রাম, আন্দোলন ও অর্জনে এদেশের শিল্পী ও সংস্কৃতিকর্মীরা নাটক, সঙ্গীত, নৃত্য, আবৃত্তি, চিত্রকর্মসহ শিল্পের সব শাখার মাধ্যমে তাদের অপরিসীম অবদান রেখেছেন। হাজার বছরের সমৃদ্ধ ঐতিহ্য লালন, ভাষা আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধের মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে কাজ করে চলেছেন দেশের শিল্পী ও সংস্কৃতিকর্মীরা। তাদের অবদানকে সম্মান জানাতে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির উদ্যোগে ২০১৩ সাল থেকে এ সম্মাননা দেওয়া হচ্ছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৭১৫ ঘণ্টা, মে ২৭, ২০১৮
এইচএমএস/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।