ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিল্প-সাহিত্য

তৃতীয় লিঙ্গকে সমাজের মূল ধারায় ফেরাতে ‘সুন্দর বাজুক’

ফিচার রিপোর্টার | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫১৮ ঘণ্টা, জুলাই ২১, ২০১৮
তৃতীয় লিঙ্গকে সমাজের মূল ধারায় ফেরাতে ‘সুন্দর বাজুক’ .

ঢাকা: রাজধানীতে হিজড়া সম্প্রদায়ের জীবনমান উন্নয়ন এবং সদাচারণ প্রশিক্ষণ প্রকল্পের আওতায় অনুষ্ঠিত হয়েছে হিজড়া সম্প্রদায়ের শিল্পীদের নিয়ে সাংস্কৃতিক আয়োজন ‘সুন্দর বাজুক’।

শনিবার (২১ জুলাই) সন্ধ্যায় রাজধানীর গ্রিনরোডের বিন্দুধারীতে সঙ্গীত এবং নৃত্য পরিবেশন করেন তৃতীয় লিঙ্গের শিল্পী তাসনুভা আনান, লারা এবং জান্নাত।  

এ অনুষ্ঠানের আয়োজনে করে সমাজসেবা অধিদফতর এবং রি-থিংক।

অনুষ্ঠানের শুরুতেই ‘আনন্দ ধারা বহিছে ভূবনে’ গানের সঙ্গে দলীয় নৃত্য পরিবেশন করেন তাসনুভা আনান এবং লারা। একক সঙ্গীত নিয়ে হাজির হন সঙ্গীত শিল্পী জান্নাত। এরপর ‘মন মোর মেঘের সঙ্গী’, ‘ধন্য ধন্য বলি তারে’, ‘বিহুরে লগন মাধুরে লগন’ সহ বিভিন্ন গানের সঙ্গে একক নৃত্য পরিবেশন করেন তাসনুভা আনান এবং লারা।

একক সঙ্গীতে তৃতীয় লিঙ্গের শিল্পী জান্নাত পরিবেশন করেন ‘আমি কেমন করে পত্র লিখিরে বন্ধু’ ‘বনমালী গো তুমি পরজনমে হইয়ো রাধা’ ‘ওকি গাড়িয়াল মুই চলং রাজপন্থে'সহ বিভিন্ন গান। অনুষ্ঠান শেষ হয় ‘একটি বাংলাদেশ তুমি জাগ্রত জনতার’ গানের সঙ্গে দলীয় নৃত্য দিয়ে।

অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সমাজসেবা অধিদফতরের মহাপরিচালক গাজী নূরুল কবির, বিশিষ্ট কথা সাহিত্যিক মঈনুল আহসান সাবের, মোস্তফা কামাল এবং সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব সংগীতা ইমাম। রি-থিংক এর পরিচালক লুলু-আল-মারজান।

অনুষ্ঠানে গাজী নূরুল কবির বলেন, সমাজসেবা অধিদফতর এবং রি-থিংকের উদ্যোগে এ যে আয়োজন, তাতে আপনাদের সবাইকে আমরা পাশে চাই। সবাই পাশে থাকলে লিঙ্গ বৈষম্যের শিকার মানুষদের উন্নয়ন করা আমাদের জন্য সহজ হবে।

কথা সাহিত্যিক ও সাংবাদিক মোস্তফা কামাল বলেন, অসাধারণ একটা আয়োজন। সাধারণত এ ধরনের আয়োজন তো খুব কম হয়। তবে সমাজের সবার সহযোগিতায় এ ধরনের আয়োজন আরো করা উচিত।

রি-থিংক এর পরিচালক লুলু-আল-মারজান বলেন, স্বাভাবিক-সামাজিক, প্রাতিষ্ঠানিক পদ্ধতি থেকে বিতাড়িত হয়ে অন্য একটা ক্ষমতার রুদ্ধদ্বারে তারা আটকে যায়। আমাদের উদ্যোগ হচ্ছে তাদের যে ক্ষমতা, হিজড়াগিরি, সেখান থেকে তাদের বের করে এনে সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে তাদের মূল স্রোতধারায় ফিরিয়ে আনা। ‘সুন্দর বাজুক’ আয়োজনের মধ্য দিয়ে সে ধরনের শৈল্পিকতায় আমরা এনে দিতে চাই সবার মধ্যে।

এ সময় তিনি সমাজের সবাইকে হিজড়া সম্প্রদায়ের এসব শিল্পীদের বিভিন্ন আয়োজনে আমন্ত্রণ জানানোর জন্য আহবান জানান।

বাংলাদেশ সময়: ২১১১ ঘণ্টা, জুলাই ২১, ২০১৮
এইচএমএস/আরআইএস/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।