ঢাকা, শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

শিল্প-সাহিত্য

স্বপ্ন নিয়ে এগিয়ে যেতে চাই: ড. রফিকউল্লাহ 

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০২২১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২২, ২০১৯
স্বপ্ন নিয়ে এগিয়ে যেতে চাই: ড. রফিকউল্লাহ  সান্ধ্য আড্ডায় কথা বলছেন ড. রফিকউল্লাহ খান। ছবি: বাংলানিউজ

নেত্রকোণা: শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (শেহাবি) উপাচার্য প্রফেসর ড. রফিকউল্লাহ খান বলেছেন, মানুষ স্বপ্ন দেখে। সে স্বপ্নেরও একটা লেভেল থাকে। আমিও স্বপ্ন দেখি, অনেক বড় স্বপ্ন। যে স্বপ্ন সুন্দর ও সমৃদ্ধ শিল্প সাহিত্য এবং সংস্কৃতির। সেই স্বপ্ন নিয়েই এগিয়ে যেতে চাই, নতুন স্বপ্ন দেখাতে চাই।  

নিজের জন্মদিনে কবি-সাহিত্যিকদের সঙ্গে এক আড্ডায় তিনি এমনটাই বলেন। মুক্তচিন্তক, গবেষক ও শিক্ষাবিদ ড. রফিকউল্লাহ খানের জন্মদিন উপলক্ষে সোমবার (২১ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় শহরের মোক্তারপাড়ার একটি রেস্তোরাঁয় এ আড্ডার আয়োজন করে নেত্রকোণা সাহিত্য সমাজ।

 

উপস্থিত সবার উদ্দেশ্যে ধন্যবাদ জানিয়ে ড. রফিকউল্লাহ খান বলেন, আজকের দিনটি আমার কাছে জন্মদিনের জন্যই শুধু গুরুত্বপূর্ণ নয়। এখানকার মানুষ ও সাহিত্যিক এবং বিদগ্ধজনদের সঙ্গে দেখা হয়েছে-এটাই আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ। ভবিষ্যতে এগিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে এটা প্রেরণা হতে পারে।  

প্রফেসর ড. রফিকউল্লাহ খানকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান নেত্রকোণা সাহিত্য সমাজ।  ছবি: বাংলানিউজ  তিনি বলেন, নেত্রকোণা সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক ও ঐতিহ্যের অধিকারী। বিশ্ববিদ্যালয়ের যাত্রা শুরু হচ্ছে, যা এখানকার সংস্কৃতিতে নতুন মাত্রা যোগ করেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বপ্নের যে চারা রোপিত হয়েছে সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় সেটাকে বৃক্ষে রূপান্তরিত করতে হবে।  

আড্ডায় নেত্রকোণা সাহিত্য সমাজের সভাপতি অধ্যাপক কামরুজ্জামান চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক সাইফুল্লাহ এমরান, নেত্রকোণা সরকারি কলেজের বাংলা বিভাগের সরোজ মোস্তফা, সাংবাদিক ও কবি কামাল হোসাইন, পল্লব চক্রবর্তী, শিমুল মিল্কীসহ কবি-সাহিত্যিকরা উপস্থিত ছিলেন।

১৯৫৭ সালেল ২১ জানুয়ারি মানিকগঞ্জের চর গোবিন্দপুর গ্রামে জন্ম নেওয়া ড. রফিকউল্লাহ খান একজন প্রাবন্ধিক, গবেষক ও সাহিত্যসমালোচক। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের এই অধ্যাপক বর্তমানে নেত্রকোণায় প্রতিষ্ঠিত শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য।  

তার বাবার নাম এ কে এম সাইফুল ইসলাম খান। তিনি ছিলেন বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও হোমিও কলেজের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ ও চিকিৎসক। মা নূরুন্নাহার ফিরোজা খানম ছিলেন বালিকা বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও লেখক। তারা দুজনেই সাহিত্যচর্চা করতেন। নূরুন্নাহার ফিরোজা খানমের ‘আমার স্বপ্ন, আমার সংগ্রাম’ (২০১৫) এক শিক্ষানুরাগী গ্রামীণ সংগ্রামী নারীর অনবদ্য জীবনকথা।  

পশ্চিম মানিকগঞ্জের অজ পাড়াগাঁয় নারী শিক্ষা বিস্তারে তারা ১৯৪৬ সালে প্রতিষ্ঠা করেন ‘গোলে-মনির জুনিয়র বালিকা বিদ্যালয়’। নয় ভাই-বোনের মধ্যে রফিকউল্লাহ খান তৃতীয়।

বাংলা উপন্যাস ও আধুনিক কবিতা নিয়ে ড. রফিকউল্লাহ গবেষণা সবিশেষ উল্লেখযোগ্য। এছাড়া মাইকেল মধুসূদন দত্ত, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, কাজী নজরুল ইসলাম ও হাসান হাফিজুর রহমানের সৃষ্টিকর্ম নিয়ে তার উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ ও প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে।

গবেষণায় সামগ্রিক অবদানের জন্য ২০১৭ সালে বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কারে ভূষিত হন ড. রফিকউল্লাহ। এছাড়া তিনি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে বিভিন্ন শিক্ষা ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন। ব্যক্তিজীবনে তিনি দুই সন্তানের জনক।  

বাংলাদেশ সময়: ২১০১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২১, ২০১৯
এসআই/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।