ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিল্প-সাহিত্য

‘জঙ্গিবাদ নির্মূলে নাটক বড় ভূমিকা রাখতে পারে’

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৩২১ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৪, ২০১৯
‘জঙ্গিবাদ নির্মূলে নাটক বড় ভূমিকা রাখতে পারে’ ‘আনন্দের মুক্তি চাই ও অন্যান্য নাটক’র গ্রন্থ হাতে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদসহ অন্যরা। ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: দেশ ও জাতি গঠনে নাট্য আন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, আশির দশকে নাটক একটি আন্দোলন হিসেবে গড়ে উঠেছিলো। এই নাটককে আবারও আন্দোলনে রূপ দিতে হবে। নাটক দেশ ও জাতি গঠনে ভূমিকা রাখতে পারে। আসুন, দেশ ও জাতি গঠনে  আমরা সবাই মিলে নাটককে আবারো আন্দোলন রূপান্তরিত করি।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) সন্ধ্যায় রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমিতে জাতীয় নাট্যশালার পরিবীক্ষণ থিয়েটার হলে মহাকাল নাট্য সম্প্রদায় সদস্য ও নাট্যকার জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক কানাই চক্রবর্তী রচিত ‘আনন্দের মুক্তি চাই ও অন্যান্য নাটক’ গ্রন্থের প্রকাশনা উৎসবে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন।

হাছান মাহমুদ বলেন, জঙ্গিবাদ বর্তমানে সারাবিশ্বে মাথা চাড়া দিয়ে উঠেছে।

আজকের বাস্তবাতায় জঙ্গিবাদ একটি সমস্যা। আমাদের দেশেও জঙ্গিবাদ মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছিলো। আমরা এই জঙ্গিবাদ পুরোপুরি নির্মূল করতে না পারলেও নিয়ন্ত্রণে আনতে পেরেছি। এই জঙ্গিবাদ নির্মূলের ক্ষেত্রে নাটক বড় ভূমিকা রাখতে পারে।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, আমাদের জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যেমন বাঙালি জাতির মুক্তির জন্য আজীবন সংগ্রাম করেছেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারও তেমনি দেশের ঐতিহ্য-শিল্প-সাহিত্য-সংস্কৃতিচর্চাকে লালনে বদ্ধপরিকর।

এসময় নাট্যকার ও জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক কানাই চক্রবর্তী ও মহাকাল নাট্য সম্প্রদায়ের তিন যুগ ব্যাপী নাটক ও অন্যান্য সাংস্কৃতিক উদ্যোগের প্রশংসা করেন তথ্যমন্ত্রী।

মহাকাল নাট্য সম্প্রদায়ের প্রতিষ্ঠা সদস্য অ্যাডভোকেট আফজাল হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম-৩ আসনের সংসদ সদস্য মাহফুজুর রহমান মিতা ও  সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট সভাপতি গোলাম কুদ্দুছ।

অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন একুশে পদকপ্রাপ্ত নাট্যকার আতাউর রহমান, কবি আসাদ মান্নান, অধ্যাপক ড. রতন সিদ্দিকী ও ঝুমঝুমি প্রকাশনীর প্রকাশক শায়লা রহমান প্রমুখ।

স্বাগত বক্তব্য রাখেন নাট্যকার কানাই চক্রবর্তী।

সভা শেষে ‘যখন আমার পিতার নাম শেখ মুজিবুর রহমান’ গীতি আলেখ্য এবং কানাই চক্রবর্তী রচিত ‘আনন্দের মুক্তি চাই’ নাটক থেকে পাঠ পরিবেশিত হয়।

বাংলাদেশ সময় ২৩২০ ঘন্টা, এপ্রিল ২৩, ২০১৯
এসকে/টিএম/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।