শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) রাজধানীর শংকরে অবস্থিত ছায়ানট ভবনে অনুষ্ঠিত হয় ছায়ানটের নৃত্য উৎসব। এসময় নৃত্যগুরু ও শিক্ষার্থীদের নৃত্য পরিবেশনার মধ্য দিয়ে ছুটির সন্ধ্যায় বর্ণিল উৎসব উপভোগ করেন দর্শকরা।
উৎসবের উদ্বোধন হয় ছায়ানটের নির্বাহী সভাপতি ডা. সারোয়ার আলীর স্বাগত বক্তব্যের মধ্য দিয়ে। তিনি বলেন, শরীরী সঞ্চালনের মধ্য দিয়ে কোনো ঘটনা বা উপলব্ধি প্রকাশ করে থাকেন নৃত্যশিল্পীরা। মুক্তিযুদ্ধের পর গত কয়েক দশকে নৃত্য চর্চার বিকাশ ও বিস্তার ঘটতে দেখা যায় আমাদের এই ভূখণ্ডে।
উৎসব সম্পর্কে তিনি বলেন, ছায়ানট নৃত্যের ধ্রুপদি রূপের চর্চা করে আসছে। ধ্রুপদি নৃত্যের যেসব ধারা, তার প্রকাশ এ উৎসবের মধ্য দিয়ে দেখা যাবে। একইসঙ্গে এ উৎসবের মধ্য দিয়ে মনের যেসব কলুষতা রয়েছে, তা থেকে মুক্ত হব- এটাই কামনা।
স্বাগত কথনে আরও অংশগ্রহণ করেন ছায়ানটের নৃত্য শিক্ষক বেলায়েত হোসেন খান। তিনি বলেন, প্রকৃত শিক্ষার জন্য সংস্কৃতির যোগ জরুরি। সেদিক থেকে সংগীত ও নৃত্যের চর্চা যত প্রসার পাবে, সমাজ তত অগ্রসর হবে।
সিলেটের একাডেমি ফর মনিপুরী কালচার অ্যান্ড আর্টসের শিল্পীদের ‘সূর্য প্রণাম’ পরিবেশনা দিয়ে শুরু হয় উৎসব। সূর্য প্রণাম শেষে মঞ্চে আসেন ঢাকার শিল্পী বাবরুল আলম চৌধুরী। তিনি পরিবেশন করেন ‘শিবস্তুতি’। এরপর নৃত্য পরিবেশন করেন সামিনা হোসেন প্রেমা। তামান্না রহমানের পরিচালনায় দলীয় নৃত্য পরিবেশন করে নৃত্যম নৃত্যশীলন কেন্দ্র। এছাড়াও নৃত্য পরিবেশন করেন ধৃতি নর্তনালয় ও ছায়ানটের শিল্পীরা।
উৎসবে রং ছড়িয়ে ওড়িশি নৃত্য পরিবেশন করেন নৃত্যছন্দের শিল্পীরা। গৌড়ীয় নৃত্য পরিবেশন করেন শিল্পী র্যাচেল প্রিয়াংকা প্যারিস। ভরতনাট্যম পরিবশনায় আনেন রুবাশা মারিয়ামা খান, অর্ণ কমলিকা, অর্থী আহমেদ, অমিত চৌধুরী, সৃষ্টি কালচারাল সেন্টার ও ছায়ানটের শিল্পীরা।
এরপর কত্থক নৃত্য পরিবেশন করে কত্থক নৃত্য সম্প্রদায় ও রেওয়াজ পারফর্মার্স স্কুল। এসময় একক নৃত্য পরিবেশন করেন মাসুম হোসাইন।
উৎসব উপলক্ষে ছায়ানট মিলনায়তন উপচে পড়ে দর্শকদের ভিড়ে। শাস্ত্রীয় নৃত্যের পাঁচটি ধারায় ভাগ করা হয় উৎসবের পর্বগুলো। সারাদেশ থেকে শাস্ত্রীয় নৃত্য সাধনায় সম্পৃক্ত শিল্পীদের মিলনমেলার স্বাদ আস্বাদন করে শেষ হয় এই নৃত্যযজ্ঞ।
বাংলাদেশ সময়: ২১২৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৭, ২০২০
এইচএমএস/টিএ