রোববার (৯ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে সংখ্যাটির প্রকাশনা এবং বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধাজ্ঞাপনের উদ্দেশ্যে রাজধানীর লালমাটিয়ার বেঙ্গল বইয়ে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। বিশিষ্ট কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক বিশ্বজিৎ ঘোষ, বিশিষ্ট কবি ও প্রাবন্ধিক আবুল মোমেন এবং কালি ও কলম সম্পাদক আবুল হাসনাত।
আয়োজনের শুরুতে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে সৈয়দ শামসুল হকের একটি অগ্রন্থিত কবিতা পাঠ করেন আবৃত্তি শিল্পী হাসান আরিফ। এরপর বক্তব্য রাখেন কালি ও কলম সম্পাদক আবুল হাসনাত।
তিনি বলেন, কালি ও কলমের এ সংখ্যায় ৩১টি প্রবন্ধ ও একগুচ্ছ কবিতায় বঙ্গবন্ধুর বহুমুখী রাজনৈতিক কর্মধারা, বাঙালিত্বের সাধনা, অসাম্প্রদায়িক বোধ প্রসারে অঙ্গীকার, শোষণমুক্ত বাংলাদেশ গঠনের স্বপ্ন ও মানবিকতা তুলে ধরা হয়েছে। একই সঙ্গে নবগঠিত রাষ্ট্রের সাধারণ মানুষের কল্যাণ ও ন্যায়ভিত্তিক সমাজনির্মাণের জন্য বঙ্গবন্ধু যে-দিকনির্দেশনা দিয়েছিলেন, সে-সম্পর্কেও প্রয়াসী হয়েছে আলোচনায়।
অনুষ্ঠানে কবি ও প্রাবন্ধিক আবুল মোমেন বলেন, আমরা এ দেশের জন্য কিছু করার অনুপ্রেরণা পেয়েছি বঙ্গবন্ধুর কাছ থেকে। তিনি ছিলেন সত্যিকার অর্থেই জনগণের নেতা, সব বাঙালির প্রাণের নেতা।
রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক বিশ্বজিৎ ঘোষ বলেন, কালি ও কলমের এ সংখ্যাটি বাংলা সাহিত্যে একটি মূল্যবান সংযোজন। বঙ্গবন্ধু একজন সংস্কৃতিমনা মানুষ ছিলেন। তিনি রবীন্দ্রসংগীত, নজরুল সংগীত অনেক পছন্দ করতেন। এমনকি ১০ জানুয়ারির ভাষণ শুরু হয়েছিল রবীন্দ্রসংগীত দিয়ে।
সভাপতির বক্তব্য কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবন দর্শন আমাদের আজো অভিভূত করে। সমাজের সব স্তরের মানুষকে প্রভাবিত করার এক সহজাত ক্ষমতা শেখ মুজিবুর রহমানের ছিল। তিনি কখনো বিভেদ করতেন না। ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সব বাঙালিকেই তিনি ভালোবাসতেন।
বাংলাদেশ সময়: ১০১৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১০, ২০২০
এইচএমএস/আরআইএস/