সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) নবম দিনে মেলায় পাঠক, ক্রেতা আর দর্শনার্থীদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। বিকেল ৩টায় মেলার দরজা খুলতেই দর্শনার্থীরা আসতে শুরু করে।
এদিকে মেলা জমে ওঠার সঙ্গে সঙ্গে বেড়ে চলেছে নতুন বইয়ের প্রকাশ সংখ্যাও। কেবলমাত্র এ দিনেই মেলায় নতুন বই এসেছে ১৭৯টি।
পাঞ্জেরি পাবলিকেশন্সের প্যাভিলিয়নের সামনে কথা হয় বাসাবো থেকে আগত আকবর আলীর সঙ্গে। তিনি বলেন, এবারের মেলায় এবারই প্রথম আসলাম। কিছু বন্ধুবান্ধবের বই বেরিয়েছে। সেগুলো সংগ্রহ করলাম। সেই সঙ্গে কিছু প্রকাশনীর ক্যাটালগ সংগ্রহ করলাম। সেগুলো ঘেঁটে পরে পছন্দ মতো বই সংগ্রহ করবো।
এবারের মেলার পরিসর বড় হওয়ায় খুশি প্রকাশ করছেন দর্শনার্থীরা। সেগুনবাগিচার শারমিন বিনতে আলম বলেন, বিশাল পরিসর, তারপরও স্বস্তিবোধ করছি, কারণ, খোলামেলা পরিবেশে ঘুরেফিরে বই দেখা যাচ্ছে।
মেলা নিয়ে ইত্যাদি গ্রন্থপ্রকাশের অন্যতম স্বত্বাধিকারী আদিত্য অন্তর বলেন, ভালোই হচ্ছে এবারের মেলা। এখনও পুরো দমে বেচাবিক্রি শুরু হয়নি। সামনের দিনগুলোতে পাঠকের আনাগোনা আরও বাড়বে, তখন বিক্রিও বাড়বে বলে আশা করা যাচ্ছে।
অবসর প্রকাশনীর ব্যবস্থাপক মাসুদ রানা বলেন, গেলো শুক্র ও শনিবার ভালো বিক্রি হয়েছে। তবে রোববার বা সোমবার সেভাবে বিক্রি হচ্ছে না। তবে পাঠক আসছেন, ক্যাটালগ সংগ্রহ করছেন। তারাই পরবর্তীতে বই কিনবেন।
ওদিকে মেলার লিটলম্যাগ চত্বরে ধীরে ধীরে বড় হচ্ছিল আড্ডা। এবারই প্রথমবারের মতো বাংলা একাডেমির বহেরা তলা থেকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে নেওয়া হয়েছে লিটলম্যাগ কর্নার।
আড্ডা জমে উঠতে দেখা যায় মেলার লেখক মঞ্চের সামনেও। গতবারের ধারাবাহিকতায় এবারও মেলার উদ্যান অংশে বসানো হয়েছে ‘লেখক বলছি’ নামের এ মঞ্চ। সোমবার এ মঞ্চে নিজেদের নতুন বই নিয়ে কথা বলেন কবি সৈয়দ তারিক, টোকন ঠাকুর ও আখতারুজ্জামান আজাদ ও কথাসাহিত্যিক সাগুফতা শারমীন তানিয়া।
মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) দশম দিনও মেলা শুরু হবে বিকেল ৩টা থেকে। চলবে রাত ৯টা পর্যন্ত। গত ২ ফেব্রুয়ারি শুরু হওয়া এ মেলা চলবে ২৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। সামনের দিনগুলোতে এ মেলা আরও জমে উঠবে বলে আশা লেখক-পাঠক-প্রকাশকদের।
বাংলাদেশ সময়: ২১২৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১০, ২০২০
ডিএন/এইচজে