ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিল্প-সাহিত্য

নজরুলের মতো ক্ষুরধার লেখনি আর আসবে না

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৩৮ ঘণ্টা, আগস্ট ২৭, ২০২০
নজরুলের মতো ক্ষুরধার লেখনি আর আসবে না

ঢাকা: জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের লেখনির যে ক্ষুরধার তা এই পৃথিবীতে আর আসবে না বলে মন্তব্য করেছেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কেএম খালিদ।  

কবি কাজী নজরুল ইসলামের ৪৪তম মৃত্যুবার্ষিকীর ক্ষণে কবিকে স্মরণ করে একথা বলেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী।


 
বৃহস্পতিবার (২৭ আগস্ট) নজরুলের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে কবি নজরুল ইনস্টিটিউটের উদ্যোগে এক আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়। এতে অনলাইনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী কেএম খালিদ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রণালয়ের সচিব বদরুল আরেফিন।  

আয়োজনে সভাপতিত্ব করেন নজরুল ইনস্টিটিউট ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান ও জাতীয় অধ্যাপক অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম। স্বাগত বক্তব্য দেন ইনস্টিটিউটের নির্বাহী পরিচালক জাকির হোসেন। আলোচনা উপস্থাপনা করেন কবি নজরুলের নাতনি খিলখিল কাজী।
 
সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কেএম খালিদ বলেন, কবির প্রতিটি গানের কথা, প্রতিটি লেখার মতো এই ক্ষুরধার লেখা আর এই পৃথিবীতে আসবে না। কবি ৩৭ বছর ১২০ দিন অসুস্থ ছিলেন। এই ৩৪টি বছর যদি তিনি নির্বাক না থাকতেন বাংলা সাহিত্য কোথায় যেত সেটি কল্পনাও করা যায় না। অভাবের তাড়না নিয়েও লিখে গেছেন কবি।  

‘তিনি এক জায়গায় থিতু হতে চেয়েছিলেন কিন্তু অভাব তাকে সেই সুযোগ দেয়নি। অবশ্য সেই অভাবই তাকে আরও পরিণত করেছে। জীবিকা নির্বাহের জন্য তাকে সেনাবাহিনীর হাবিলদারও হতে হয়েছিল। ’
 
খালিদ বলেন, কবির রণসঙ্গীত মুক্তিযুদ্ধে অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করেছে। জাতির জনকের ডাকে যখন সবাই উদ্বুদ্ধ যে কে কার আগে যুদ্ধে জীবন দেবে তখন কবির কবিতা, গান অনুঘটক হিসেবে কাজ করেছে। জাতির জনকেরও তার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ছিল। সে কারণে তাকে ভারত থেকে নিয়ে এসে দেশের নাগরিকত্ব দিয়েছেন, জাতীয় কবির আখ্যা দিয়েছেন।
 
কবির মৃত্যুক্ষণ সকাল ১০টা ১০ মিনিটে ছিল জানিয়ে ভবিষ্যতে এই দিনে কোনো অনুষ্ঠান হলে ঠিক ১০টা ১০ মিনিটে শুরুর আহ্বান জানান সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী।
 
আলোচনা সভায় নজরুল গবেষক খিলখিল কাজী বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কবিকে বাংলাদেশে নিয়ে আসায় আমরা খুব খুশি হয়েছি। তার প্রতি আমরা সব সময় কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করি। তিনি কবিকে নাগরিকত্ব ও জাতীয় কবির আখ্যা দিতে কোনো দ্বিধা করেননি। বাংলাদেশে যে কবির কবর হচ্ছে এ নিয়ে তিনি (কবি) স্বস্তির নিশ্বাস নিয়েছিলেন শেষ সময়ে। যদিও কবির মৃত্যু নেই। কারণ তিনি সাম্যের কবি।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৩ ঘণ্টা, আগস্ট ২৭, ২০২০
এসএইচএস/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।