ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিল্প-সাহিত্য

‘উত্তরবঙ্গে বঙ্গবন্ধু’ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন করলেন মেয়র লিটন

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯২১ ঘণ্টা, আগস্ট ৩১, ২০২০
‘উত্তরবঙ্গে বঙ্গবন্ধু’ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন করলেন মেয়র লিটন ‘উত্তরবঙ্গে বঙ্গবন্ধু’ গ্রন্থ হাতে মেয়র লিটনসহ অন্যরা। ছবি: বাংলানিউজ

রাজশাহী: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে রাজশাহী সিটি করপোরেশনের (রাসিক) প্রকাশিত ‘উত্তরবঙ্গে বঙ্গবন্ধু’ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন করা হয়েছে।  

সোমবার (৩১ আগস্ট) দুপুরে নগর ভবনের সিটি হল সভাকক্ষে গ্রন্থটির মোড়ক উন্মোচন করেন অনুষ্ঠানের সভাপতি রাসিক মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন ও অতিথিরা।

বঙ্গবন্ধুর উত্তরবঙ্গে সফরকে কেন্দ্র করে গ্রন্থটি লিখেছেন রাসিকের শিক্ষা কর্মকর্তা আনারুল হক আনা।

অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে মেয়র বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সারাদেশে অসংখ্যবার ভ্রমণ করেছেন। রাজশাহীতে তার বিভিন্ন সময়ে ভ্রমণ বিষয়ে রচিত ‘উত্তরবঙ্গে বঙ্গবন্ধু’ গ্রন্থটি বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে জানতে আগ্রহী করে তুলবে। বইটি বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে নতুন লেখক ও গবেষকদের পাথেয় হবে।

মেয়র আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে অসংখ্য লেখা প্রকাশ করেছেন। তিনি নিজেও বঙ্গবন্ধুর নানা দিক নিয়ে লিখেছেন।

তিনি বলেন, বর্তমানে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে বিভিন্ন গ্রন্থ বের হচ্ছে। কিন্তু ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার পর তাকে নিয়ে কোনো লেখা প্রকাশেও লেখকরা ভয় পেতো। বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে লেখায় অনেককেই নির্যাতিত হতে হয়েছে। অনুষ্ঠানে গ্রন্থটির লেখক আনারুল হক আনাকে ধন্যবাদ জানান মেয়র।

গ্রন্থটির লেখক আনারুল হক আনা বলেন, উত্তরবঙ্গে বঙ্গবন্ধু গ্রন্থে বঙ্গবন্ধুর কর্মময় জীবনের কিছু প্রামাণিক তথ্য ধারণ করেছে। গ্রন্থটির পৃষ্ঠপোষকতা করেছেন মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন।

এর চূড়ান্ত নামকরণ করেছেন গ্রন্থটির গবেষণা কর্মের তত্ত্বাবধায়ক রাসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. এবিএম শরীফ উদ্দিন।

গ্রন্থটির ১৭টি অধ্যায়ে আছে উত্তরবঙ্গ বা বর্তমান রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের মোট ১৬ জেলায় বঙ্গবন্ধুর উপস্থিতি ও তার পার্থিব জীবন প্রবাহের সংক্ষিপ্ত বিবরণ।

সহজভাবে পাঠের উদ্দেশে ১৬ জেলার জন্য পৃথকভাবে নির্মাণ করা হয়েছে ১৬টি অধ্যায়। সপ্তদশ অধ্যায়ে উপস্থাপন হয়েছে বঙ্গবন্ধুর জীবন সংক্ষেপ। ১৭টি অধ্যায়ের মধ্যে শুধুমাত্র রাজশাহী অধ্যায় ৪টি পরিচ্ছেদে ভাগ হয়ে তথ্য বিশেষায়িত হয়েছে। এর কারণে বলা যায়, রাজশাহীতে বঙ্গবন্ধুর আগমন, রাত যাপন, বিভিন্ন এলাকায় পদার্পণ ইত্যাদি বিষয় যেভাবে আলোচনা হয়েছে অন্য কোনো জেলা এভাবে উপস্থাপন সম্ভব হয়নি।

বিভিন্ন ধরনের সীমাবদ্ধতার কারণে লেখকের অনুসন্ধান অন্য জেলাসমূহে পৌঁছাতে পারেনি। রাজশাহীতে বঙ্গবন্ধু অধ্যায়ে ৪র্থ পরিচ্ছেদে এসেছে বঙ্গবন্ধু কর্নার। উত্তরবঙ্গে বঙ্গবন্ধু পাণ্ডুলিপির কাজ শুরু হয়েছিল ২০১৯ সালের ৩০ জানুয়ারি এ কর্নারকে কেন্দ্র করেই।  

বঙ্গবন্ধু সংশ্লিষ্ট স্থানীয় ইতিহাসের তথ্য দ্বারা কর্নারটিকে সমৃদ্ধকরণই ছিল এ অভিযানের প্রাথমিক উদ্দেশ্যে।

রাজশাহী সিটি করপরেশনের বৃহৎ পরিসরের গবেষণামূলক গ্রন্থ রচনার কার্যক্রম মেয়র খায়রুজ্জামান লিটনের আন্তরিকতার ফলেই শুরু হয়েছে। তাই যুক্তিসঙ্গত ভাবনায় তার কর্মের স্বীকৃতিস্বরূপ ‘উত্তরবঙ্গে বঙ্গবন্ধু’ তার উদ্দেশেই উৎসর্গ করা হয়েছে।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাসিকের প্যানেল মেয়র-১ ও ১২ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর সরিফুল ইসলাম বাবু, গ্রন্থটির প্রকাশনা কমিটির সভাপতি ও ৬ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর নূরুজ্জামান টুকু, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. এবিএম শরীফ উদ্দিন, লেখক আনারুল হক আনা, রাজশাহী শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মোকবুল হোসেন, স্থানীয় দৈনিক সোনালি সংবাদের সম্পাদক লিয়াকত আলী।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর হবিবুর রহমান, রাবি অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তার তাপু, প্রফেসর তানবিরুল আলম, রাসিকের সচিব আবু হায়াত মো. রহমতুল্লাহ, মেয়রের একান্ত সচিব মো. আলমগীর কবির, বাজেট কাম হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম খান, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. এফএএম আঞ্জুমান আরা, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা আবু সালেহ নূর-ঈ সাঈদ প্রমুখ।

অনুষ্ঠানের সঞ্চালনা করেন রাসিকের জনসংযোগ কর্মকর্তা মোস্তাফিজ মিশু।

বাংলাদেশ সময়: ১৯১৬ ঘণ্টা, আগস্ট ৩১, ২০২০
এসএস/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।