ঢাকা: ভার্চ্যুয়াল নয়, শারীরিক উপস্থিতির অমর একুশে বইমেলা আয়োজনের দাবি নিয়ে বাংলা একাডেমিতে এসেছেন প্রকাশকরা।
রোববার (১৩ ডিসেম্বর) বেলা সোয়া ১১টার দিকে তারা বাংলা একাডেমিতে আসেন।
এখন প্রকাশকদের দুই সংগঠন বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতি এবং বাংলাদেশ জ্ঞান ও সৃজনশীল প্রকাশক সমিতির নেতারা মেলার আয়োজক প্রতিষ্ঠান বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক হাবীবুল্লাহ সিরাজীর সঙ্গে রুদ্ধদ্বার বৈঠকে বসেছেন।
প্রকাশকদের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রয় সমিতি সভাপতি আরিফ হোসেন এবং জ্ঞান ও সৃজনশীল প্রকাশক সমিতির সভাপতি ফরিদ আহমেদ।
বৈঠকে উপস্থিত রয়েছেন মেলা পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব ও বাংলা একাডেমির পরিচালক জালাল আহমেদ।
শুক্রবার (১১ ডিসেম্বর) রাতে জালাল আহমেদ বাংলানিউজকে বলেন, ‘বৃহস্পতিবার (১০ ডিসেম্বর) বাংলা একাডেমির নির্বাহী পরিষদের বৈঠকে করোনা ভাইরাসের কারণে আগামী অমর একুশে গ্রন্থমেলা স্থগিত করা হয়েছে। আপাতত ভার্চ্যুয়ালি অনুষ্ঠিত হওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এরপর থেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আলোচনা শুরু হয়। সেখানে বাংলা একাডেমির সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার দাবি উঠে আসে।
এর পরিপ্রেক্ষিতে শনিবার (১২ ডিসেম্বর) পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রয় সমিতি সভাপতি আরিফ হোসেন এবং জ্ঞান ও সৃজনশীল প্রকাশক সমিতির সভাপতি ফরিদ আহমেদ গণমাধ্যমে যৌথ বিবৃতি দেন।
বিবৃতিতে প্রকাশক নেতারা বলেন, বাংলা একাডেমি কর্তৃপক্ষ একতরফা মিটিংয়ে আসন্ন ‘অমর একশে বইমেলা ২০২১’ স্থগিতের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বইমেলার সার্বিক দায়িত্বপ্রাপ্ত অমর একুশে বইমেলা পরিচালনা পর্ষদ বিষয়টি নিয়ে ওয়াকিবহাল নয়। এ ছাড়া বইমেলার অংশীজন প্রকাশকদের প্রতিনিধিত্বকারী দুই সংগঠন বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতি এবং বাংলাদেশ জ্ঞান ও সৃজনশীল প্রকাশক সমিতি কারো সঙ্গেই এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক কিংবা অনানুষ্ঠানিক কোনো আলোচনা হয়নি।
তারা বলেন, অমর একুশে বইমেলা আমাদের ঐতিহ্যের অহংকার। অথচ এরকম একটি আয়োজন স্থগিতের একতরফা কর্তৃত্ববাদী সিদ্ধান্ত নিলো বাংলা একাডেমি। আমরা, বাংলাদেশের প্রকাশক সমাজ, বিষয়টির তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। আমরা বিশ্বাস করি, করোনাকাল বিবেচনায় এ বিষয়ে অমর একুশে বইমেলা পরিচালনা পর্যদে বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করে প্রয়োজনে বইমেলা আয়োজনের সময় পুনর্নিধারণ করে বিকল্প ব্যবস্থা করা যেত। কী করে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করা যায়, তাও ভাবার সুযোগ ছিল। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা হলো, মাক্ক পরে স্বাস্থ্যবিধি মেনে অর্থনৈতিক কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা করা। অথচ এসবই অগ্রাহ্য করা হলো।
বাংলাদেশ সময়: ১২৪৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৩, ২০২০
ডিএন/এফএম