ঢাকা, শুক্রবার, ১৭ কার্তিক ১৪৩১, ০১ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ রবিউস সানি ১৪৪৬

শিল্প-সাহিত্য

বঙ্গবন্ধুর আদর্শ শিক্ষার্থীদের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে বিকাশের উদ্যোগ

নিউজ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭০৪ ঘণ্টা, মার্চ ৩১, ২০২১
বঙ্গবন্ধুর আদর্শ শিক্ষার্থীদের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে বিকাশের উদ্যোগ

ঢাকা: স্কুলের শিক্ষার্থীদের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শে অনুপ্রাণিত করতে সারাদেশে বাংলা ও ইংরেজি মাধ্যমের ৫শটি স্কুলে এবছর ২০ হাজার কপি গ্রাফিক নভেল ‘মুজিব’ বিতরণ করবে বিকাশ।  

মুজিব শতবর্ষ উদযাপন এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে বই বিতরণের এ উদ্যোগ নিয়েছে দেশের সবচেয়ে বড় মোবাইল ফিনান্সিয়াল সার্ভিস প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান বিকাশ।



বঙ্গবন্ধুর ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ অবলম্বনে গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশন (সিআরআই) প্রকাশিত গ্রাফিক নভেল ‘মুজিব’ বিকাশের পৃষ্ঠপোষকতায় স্কুলগুলোতে বিতরণ করবে আলোকিত মানুষ গড়ার প্রতিষ্ঠান বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র। ৮ খণ্ডে প্রকাশিত গ্রাফিক নভেলের পরবর্তী খণ্ডগুলো প্রকাশিত হওয়ার পর আবার তা বিশ্বসাহিত্যকেন্দ্রের মাধ্যমে স্কুলগুলোতে পৌঁছানোর পাশাপাশি আরও বেশি সংখ্যক স্কুলে এই কর্মসূচির সম্প্রসারণ করবে বিকাশ।

বুধবার (৩১ মার্চ) বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের অডিটোরিয়ামে স্কুল প্রতিনিধিদের হাতে বই তুলে দিয়ে এই মহৎ প্রকল্পের উদ্বোধন করেন আলোকিত মানুষ গড়ার কারিগর, বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ।

বিকাশের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কামাল কাদীর, বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি আরিফ খান এবং বিকাশের চিফ এক্সটার্নাল অ্যান্ড কর্পোরেট অ্যাফেয়ার্স অফিসার মেজর জেনারেল শেখ মো. মনিরুল ইসলাম এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

সংলাপ, গদ্য ও চিত্রের যুৎসই সমন্বয়ে শিশু-কিশোরদের উপযোগী ফরম্যাটে বঙ্গবন্ধুর শৈশব, কৈশোর, সামাজিক ও রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতার বর্ণনা চিত্রিত হয়েছে গ্রাফিক নভেল ‘মুজিব’এ।

কেবল শিশু-কিশোরদেরই নয়, সব বয়সী পাঠককেই সর্বকালের শ্রেষ্ঠ বাঙালি, বাংলাদেশ রাষ্ট্রের স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে জানার সুযোগ করে দেবে এই গ্রাফিক নভেল ‘মুজিব’।

এ পর্যায়ে দেশের বিভিন্ন প্রান্তের বাংলা এবং ইংরেজি মাধ্যমের ৫শটি স্কুলের প্রতিটিকে ৫ সেট করে মোট ৪০টি বই দেওয়া হবে। একইসঙ্গে ৪০ জন শিক্ষার্থী স্কুলের লাইব্রেরি থেকে বইটি পড়ার সুযোগ পাবেন।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ বলেন, আমাদের দেশের যিনি শ্রেষ্ঠ মানুষ তাঁর জীবনী ছেলে-মেয়েদের হাতে পৌঁছে দেওয়ার দায়িত্ব আমাদেরকে দিয়েছে বিকাশ। বিকাশকে ধন্যবাদ। বঙ্গবন্ধুর মধ্যে যে তেজস্বীতা, কাজের প্রতি একাগ্রতা, বিশ্বাসের প্রতি অবিচল নিষ্ঠা, স্বপ্ন দেখার অসাধারণ ক্ষমতা, অনন্য ব্যক্তিত্ব এবং দেশের মানুষের প্রতি ভালোবাসা আমরা দেখেছি তা সবার জন্যই অনুকরণীয়। বাঙালিরা ভাগ্যবান যে তাদের একজন শেখ মুজিব ছিলেন, যার বজ্রকণ্ঠ, অনবদ্য সাহস ও অসাধারণ নেতৃত্ব না থাকলে বাংলাদেশ স্বাধীন হতে হয়তো আরও ৫শ বছর লেগে যেতো। এই উদ্যোগ শিশু-কিশোরদের জন্য বঙ্গবন্ধুকে আরও ভালো করে জানার সুযোগ তৈরি করলো। ‘বঙ্গবন্ধু সকলের রক্তে পাতা মেলুক, বঙ্গবন্ধু সকলের রক্তকে জাগিয়ে তুলুক এই স্বপ্ন দেখি’।

বিকাশের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কামাল কাদীর বলেন, অন্তরীণ থাকাকালীন বঙ্গবন্ধুর লেখা স্মৃতিকথা আমাদের জন্য এক ঐতিহাসিক দলিল। ইতিহাসের অনেকগুলো গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়কে বঙ্গবন্ধু নির্মোহভাবে উপস্থাপন করেছেন তাঁর স্মৃতিকথায়। বঙ্গবন্ধু যেভাবে তাঁর নেতৃত্বের ভিত্তি তৈরি করেছিলেন, তা আজকের শিশু-কিশোরদের জন্য অনুকরণীয়। এই অনুকরণীয় গল্পগুলো ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে আরও আকর্ষণীয় করে তুলে ধরার প্রচেষ্টায় নির্মিত গ্রাফিক নভেল ‘মুজিব’ এক অনন্য উদ্যোগ। মুজিব শতবর্ষ উদযাপন ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর ক্ষণে এই উদ্যোগের সহযোগী হতে পেরে বিকাশ গর্বিত।

বিকাশ তার যাত্রা শুরুর সময় থেকেই বই বিতরণের সঙ্গে সম্পর্ক গড়েছে। আগামী প্রজন্মের মধ্যে বই পড়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে দেশের দায়িত্বশীল কর্পোরেট প্রতিষ্ঠান হিসেবে ২০১৪ সাল থেকে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের বই পড়া কর্মসূচির সঙ্গে যুক্ত থেকে এ পর্যন্ত ২ হাজার ৯শ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ৩২ লাখ শিক্ষার্থীদের মধ্যে ২ লাখ ৫৩ হাজার ৬শ বই দিয়েছে বিকাশ।

২০২০ সালে বইমেলায় আসা দর্শনার্থী ও বিকাশের যৌথ উদ্যোগে অভিযাত্রিক ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের মধ্যে ৭ হাজার ৫শ বই বিতরণ করে বিকাশ। বই কিনতে উৎসাহিত করতে গত ৮ বছর ধরে বইমেলা উপলক্ষে বই কেনায় ক্যাশব্যাকও দিয়ে আসছে বিকাশ। পাশাপাশি বাঙালি জাতির প্রাণের উৎসব অমর একুশে বইমেলায় বিকাশ গত ৪ বছর ধরে মূল পৃষ্ঠপোষক হিসেবে বাংলা একাডেমির সঙ্গে কাজ করে আসছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৭ ঘণ্টা, মার্চ ৩১, ২০২১
এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।